৭২ এর সংবিধান ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক নয়

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৩, ২০২৪

৭২ এর সংবিধান ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেটি ছিল মূলত আওয়ামী সংবিধান। সেখানে মুজিববাদীদের যে আদর্শ সেই আদর্শের আড়ালেই বাংলাদেশ এত বছর পরিচালিত হতো। তাই বাকশালী যে সংবিধান, সেটি `২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কখনোই প্রাসঙ্গিক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “৩ আগস্ট আমরা যে এক দফা ঘোষণা করেছিলাম, সেই দফার মধ্যে ছিল ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলুপ্তি ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক অর্জন শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিলোপের যে প্রশ্নটি, সেটি এখনও অমীমাংসিত।”

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যেসব রাজনৈতিক দল গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে একাত্মতা জানিয়েছে, তারা কখনো ‘৭২ এর সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না। কারণ এই সংবিধানের মধ্য দিয়েই আমাদের এই ফ্যাসিবাদ  কাঠামো সবসময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও বিস্তৃত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে যখনই পদত্যাগ করতে বলা হতো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হতো, যখনই নির্দলীয় সরকারের কথা বলা হতো, তখনই তারা বলতেন, তাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আজ আমরা দেখেছি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে মো.সাহাবুদ্দিনকে তারা রাষ্ট্রপতি পদে আসীন দেখতে চান।”

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধানের ফলেই স্বৈরাচারের জন্ম হয়েছে। ফলে এই সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বাড়াতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পরে এই ৭২ এর সংবিধান থাকতে পারে না। যারা স্বৈরাচারবিরোধী এক দফায় বিশ্বাসী ছিল তাদের কেউ এই সংবিধানকে সমর্থন করতে পারে না। সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হয়ে নতুন সংবিধান লিখতে হবে। যে সংবিধানের ফলে কোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।”