হামাস প্রধানসহ ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালানোসহ বিভিন্ন অপরাধে ফৌজদারি মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন: হামাসের সাবেক প্রধান প্রয়াত ইসমাঈল হানিয়া, মারওয়ান ইসা, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দেইফ ও আলি বারাকা। তাদের মধ্যে ইজরায়েলি হামলায় ৩ জন নিহত হতে পারেন। আর সিনওয়ার সম্ভবত গাজার নিচে কোনো টানেলের লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলাবর ভিডিও বার্তায় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, “হামাসের ৬ নেতার বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা, সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের ষড়যন্ত্র ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মার্কিন নাগরিকদের হত্যা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ষড়যন্ত্র ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারসহ ৭টি অভিযোগে হামাসের ৬ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, হামাসের কয়েক দশকের কথিত হামলার পাশাপাশি গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে চালানো হামলার ঘটনাও রয়েছে।
 
৭ অক্টোবরের হামলার মূল হোতাদের জবাবদিহির জন্য মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রথম পদক্ষেপ এটি। যদিও এ অভিযোগে অভিযুক্ত ৩ হামাস সদস্য এরই মধ্যে মারা গেছেন। আর, হামাস নেতা সিনওয়ার গাজায় কোনো সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়।

মঙ্গলবার ভিডিও বার্তায় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, “আসামিরা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য দেশব্যাপী প্রচারাভিযানের অর্থায়ন ও পরিচালনার জন্য দায়ী। এই গোষ্ঠীটি ইসরাইলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বেসামরিক লোকদের হত্যা করার জন্য হামাসের প্রচেষ্টাকে নেতৃত্ব দিয়েছে।”

তিনি ৭ অক্টোবরের ইজরায়েলে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর চালানো মারাত্মক এ হামলায় বেশ ক’টি পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করেছে হামাস। তারা বয়স্কদের, এমনকি ছোট শিশুদেরও হত্যা করেছে। তারা নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতাকে অস্ত্র বানিয়েছে।” সূত্র: বিবিসি