সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আসল কাহিনি

মোহাম্মদ সালিমুল্লাহ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫

তৃতীয় শতাব্দীর রোমান যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। পৌত্তলিক রোমান সাম্রাজ্যে নির্যাতিত খ্রিস্টানদের তিনি সেবা করতেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি সম্রাটের রোষানলে পড়েন। ফলে তাকে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয়।

ভিয়া ফ্ল্যামিনিয়াতে তাকে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুদিন খ্রিস্টান ইস্টার্ন অর্থোডক্স সম্প্রদায় ৭ জুলাই এবং রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায় ও প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায় ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করে। ভ্যালেন্টাইন ২৬৯ সালে নিহত হলেও ৩৫৪ সাল পর্যন্ত কোনো সম্মানিত ব্যক্তির তালিকায় তার নাম ছিল না। ৩৫৪ সালে সম্মানিত ব্যক্তির তালিকায় তাকে কেবলমাত্র ধনী রোমান খ্রিস্টান হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

৪৬৯ সালে পোপ গেলাসিয়াস ১ প্রথম তার মৃত্যুদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করেন, যা ৯ম শতাব্দীতে ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেখানে তিনি ছিলেন সম্মানিত যাজক, যার সুনির্দিষ্ট কোনো কিংবদন্তি পাওয়া যায় না।

ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া ও বিভিন্ন খ্রিস্টান সূত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারির সাথে সম্পর্কিত তিনজন ভ্যালেন্টাইনের বর্ণনা পাওয়া যায়; যাদের একজন রোমান যাজক, একজন ইন্টারামনার (ইতালির টার্নি) যাজক; এদের উভয়কে রোমের বাইরে ভিয়া ফ্ল্যামিনিয়ায় সমাহিত করা হয়েছে। আর, তৃতীয়জন রোমান আফ্রিকা প্রদেশে অনেক সঙ্গীসহ নিহত যাজক। এদের কোনো কিংবদন্তি জানা যায়নি।

আবার, উপরোক্ত প্রথম দুজনের কর্ম উপাদানে মিল থাকায় তাদেরকে একই ব্যক্তি হিসেবে ধারণা করা হয়, যাদের বিবরণ বহু দেরিতে লিখিত হওয়ার কারণে ভিন্ন ব্যক্তি হয়ে গেছেন। অথচ তাদের ভিন্ন সমাধি রয়েছে। টার্নিতে পাওয়া জীবনী অনুসারে ভ্যালেন্টাইন ইন্টারামনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বাস করতেন। যুবক বয়সে তিনি রোমে যান, সেখানে ২৬৯ সালে বন্দি ও নির্যাতিত হন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারিতে নিহত হন। তার মৃতদেহ নিকটবর্তী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়, যা কয়েকদিন পর তার শিষ্যরা উদ্ধার করে জন্মস্থানে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, রোমান ক্যাথলিক চার্চের তালিকায় তালিকায় ১৪ ফেব্রুয়ারিতে আত্মত্যাগী যাজকদের মধ্যে কেবল একজন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ভিয়া ফ্ল্যামিনিয়ায় মারা গেছেন। ঐ তালিকায় ভ্যালেন্টিন নামে আরো ১১ জন যাজক রয়েছেন।

মূলত, ভ্যালেন্টাইন নামটি ভ্যালেন্স (যোগ্য, বলবান, শক্তিশালী) শব্দ থেকে উদ্ভূত প্রাচীনকালে জনপ্রিয় একটি নাম। পশ্চিমা চার্চের তালিকায় অনেকজন সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম-ইতিহাস উল্লেখ রয়েছে। প্রাপ্ত বিবরণে যার বিষয়ে আপাত নিশ্চিত হওয়া যায় সেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন রোমের পুরোহিত অথবা টারনির বিশপ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অপরাধে প্যাগান বিচারক অ্যাস্টেরিয়াসের আদেশে তাকে গৃহবন্দি করা হয়।

তিনি বিচারকের সাথে হযরত ঈসার (আ.) বিষয়ে আলোচনা করেন। তার আলোচনায় বিচারক অত্যন্ত প্রভাবিত হন। তিনি তাকে পরীক্ষা করার জন্য নিজ দত্তক অন্ধ শিশু কন্যাকে নিয়ে আসেন; ভ্যালেন্টিন যদি মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারেন তাহলে তিনি যা দাবি করবেন তা মঞ্জুর করা হবে।

ভ্যালেন্টিন শিশুটির চোখে হাত রেখে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করলে শিশুটি দৃষ্টি ফিরে পেল। বিস্মিত বিচারক নত হয়ে ভ্যালেন্টিনকে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কী চান! ভ্যালেন্টিন দাবি করলেন বিচারককে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে হবে, বাড়ির ভিতর-বাইরে সকল মূর্তি ভাঙতে হবে এবং বিচারককে তিনদিন সাওম পালন করতেব।

বিচারক দাDH মেনে নেন; তিনি ও তার পরিবারের চুয়াল্লিশ সদস্য খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, সিয়াম ও অন্যান্য ইবাদত পালন করেন এবং সকল খ্রিস্টান বন্দিকে মুক্তি দেন। তখন খ্রিস্টধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে ভ্যালেন্টিন রোমে যান। রোমে ভ্যালেন্টিন খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অপরাধে পুনরায় গ্রেফতার হন এবং রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস গথিকাসের (দ্বিতীয় ক্লডিয়াস) দরবারে তাকে আনা হয়। এখানে ক্লডিয়াস তার ব্যক্তিত্ব ও আলোচনায় বেশ মুগ্ধ হন।

কিন্তু তিনি তাকে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করাতে চেষ্টা করলে ক্লডিয়াস ক্ষিপ্ত হন এবং আদেশ করেন যে, ভ্যালেন্টিন তার ধর্মমত ত্যাগ না করলে বেত্রাঘাত করা হবে। তাতেও তিনি সম্মত না হলে তার শিরশ্ছেদ করা হবে। ভ্যালেনটিন ধর্মমত ত্যাগ করতে চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। সম্রাটের আদেশে ২৬৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্ল্যামিনিয়ান গেটের বাইরে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বে ভ্যালেন্টাইন টার্নির বিচারক অ্যাস্টেরিয়াসের কন্যাকে ‘আপনার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে’ শিরোনামে একটি নোট লিখেছিলেন। ধারণা করা হয় যে, ঐ নোটকে প্রণয়ঘটিত মনে করে একালে রোমান্টিক ধারণাকে অনুপ্রাণিত করে।

১২৬০ সালে জ্যাকবাস ডি ভোরাজিন সংকলিত Legenda Aurea তে ভ্যালেন্টিনের সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনায় ঐ নোটের বিষয়ে প্রথম বর্ণনা পাওয়া যায়। নুরেমবার্গ ক্রনিকল-এ ১৪৯৩ সালে কাষ্ঠনির্মিত ভ্যালেন্টিনের প্রতিকৃতিতে লিখিত রয়েছে, তিনি একজন রোমান যাজক ছিলেন, যিনি ক্লডিয়াস গথিকাসের রাজত্বকালে নিহত হওয়ার আগে অ্যাস্টেরিয়াসের কন্যা ও আরো ঊনচল্লিশ জনকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করেছিলেন।

তার আরও কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। যেমন: তৃতীয় শতাব্দীর উদ্ধৃতিতে বলা হয় যে, যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশ অমান্য করেছিলেন এবং গোপনে লোকদের খ্রিস্টাধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন এবং তাদের বিবাহ পড়াতেন। এতে ঐ পুরুষরা বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদান থেকে বেঁচে যায়। ফলে, বাহিনীতে সৈন্য-স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল।

ইতালিতে তার নামে বহু চার্চে বহু কিংবদন্তি রয়েছে। তবে, তিনি ক্যাথলিকদের নিকটে অন্যান্য আত্মত্যাগী যাজকের চেয়ে বেশি সম্মানিত ছিলেন না। আর, তিনি ২৬৯ সালে নিহত হলেও প্রথম ৪৬৯ সালে পোপ গেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন উৎসব চালু করেন।

লুথেরান ক্যালেন্ডারে এই দিনকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইংল্যান্ডের চার্চে ১৬৬১-৬২ সালের প্রস্তুতকৃত তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারিতে তাকে স্মরণ করে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে চিহ্নিত করে এমন বহু কিংবদন্তি ১৪ শতকে ইংল্যান্ডে উদ্ভাবিত হয়েছে। রোমান ক্যাথলিক চার্চ তাকে যাজকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সাধারণভাবে স্মরণ করা হতো।

পোপ দ্বাদশ পিয়াস ঐ স্মরণ অনুষ্ঠান বাদ দেন এবং ১৯৬৯ সালে ক্যাথলিক চার্চ ক্যালেন্ডার থেকে তার নাম বাদ দেয়। তারা তাকে অন্যদের মতো একজন সাধারণ যাজক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের ভ্যালেন্টিনোস (পুরুষ) বা ভ্যালেন্টিনা (নারী) নামীয় সদস্যরা পশ্চিমা ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে তাদের নাম দিবস পালন করে থাকে। ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ ৬ জুলাই রোমান বিশপ ভ্যালেন্টাইন’কে স্মরণ করে এবং ৩০ জুলাই ইন্টারামনার আত্মত্যাগী বিশপ ভ্যালেন্টাইনের উত্সব পালন করে।

কিন্তু ঐসকল ক্যালেন্ডারে প্রণয়-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যুক্ত হওয়ার বিবরণ পাওয়া যায়নি। ১৪ শতকের ফরাসি Vies des Saints গ্রন্থে ভ্যালেন্টাইনের বিবরণ থাকলেও রোমাঞ্চ বিষয়ে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। টার্নি ব্যাসিলিকায় প্রাপ্ত তাঁর প্রতিকৃতির সাথে লিখিত বিবরণেও রোমাঞ্চ সম্পর্কে বর্ণনা ছিল না।

এ বিষয়ে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় যে, মধ্যযুগে বিশ্বাস করা হতো, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পাখিরা জুটি বাধে প্রজনন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। সময় মিলে যাওয়ায় এটাই ধীরে ধীরে ভ্যালেন্টাইন দিবসের সাথে যুক্ত হয়।

সর্বপ্রথম চতুর্দশ শতাব্দীতে জিওফ্রে চসার ১৪ ফেব্রুয়ারিকে রোমান্টিক প্রণয়ের সাথে যুক্ত করেন। তার Parlement of Foules এ সর্বপ্রথম রোমান্টিক প্রণয়কে লিপবদ্ধ করা হয়। তখন থেকে ধীরে ধীরে ১৪ ফেব্রুয়ারির সাথে রোমান্টিক প্রণয় যুক্ত হতে থাকে।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ফুলের মুকুট পরিহিত কথিত খুলি রোমের কসমেডিনের সান্তা মারিয়ার ব্যাসিলিকায় স্থাপিত রয়েছে হয়। বহু পরে সেই ফুলের চর্চা শুরু হয়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের দেহাবশেষ ১৭শ শতাব্দীর শেষদিক পর্যন্ত মাদ্রিদের সেন্ট অ্যান্টন চার্চে কবরস্থ ছিল। তারপর পোপ ঐ দেহাবশেষ রাজা চতুর্থ কার্লোসকে উপহার পাঠান।

১৯৮৪ সাল থেকে ঐ দেহাবশেষ একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হচ্ছে এবং প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ  দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। ডাবলিনের হোয়াইটফ্রিয়ার স্ট্রিট কারমেলাইট চার্চেও তার কিছু দেহাবশেষ রয়েছে।

পোপ ষোড়শ গ্রেগরির পৃষ্ঠপোষকতায় কার্ডিনাল কার্লো ওডেসকালচি ১৮৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের কারমেলাইট ফাদার জন স্প্র্যাটের নিকট সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আংশিক দেহাবশেষ প্রেরণ করেন। ঐ আংশিক দেহাবশেষ, তার সাথে ভ্যালেন্টাইনের রক্ত-রঞ্জিত একটি ছোট পাত্র এবং কার্ডিনাল ওডেসকালচির চিঠি তখন থেকে ঐ গির্জায় প্রবেশ পথের ধারে বেদীতে জনসাধারণের জন্য স্থাপিত রয়ে গেছে।

ভ্যালেন্টাইনস দিবসে সত্য ভালবাসার অনুসন্ধানে বহু আইরিশ তরুণ-তরুণী ডাবলিনে হোয়াইটফ্রিয়ার স্ট্রিট কারমেলাইট চার্চে ভ্যালেন্টাইন বেদীতে তীর্থযাত্রা করে থাকে। তারা রোমান্স খুঁজে পাওয়ার আশায় বেদীতে প্রার্থনা করে। সেখানে একটি রেজিস্টার রয়েছে, যাতে স্থানীয় ও বিদেশীরা তাদের ভালবাসার জন্য প্রার্থনার অনুরোধ লিখে থাকে।

স্লোভাকিয়াতেও সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের দুটি দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। শ্যাস্টিনে শহরের ইমাকুলেট কনসেপশনে ১৭২০ সালে তার দেহাবশেষ স্থাপিত হয়েছে। আবার, নোভাকি শহরে সেন্ট নিকোলাস চার্চে স্থাপিত ভ্যালেন্টাইনের দেহাবশেষ ছিল, যা ৯০ এর দশকে চুরি হয়ে যায়। তবে, নোভাকির চার্চ থেকে দেহাবশেষ চুরি হলেও তার মাথাটি থেকে গিয়েছিল। ঐ মাথার সাথে একটি নতুন মূর্তি তৈরি করে ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছিল।

তার মাথার খুলির একাংশ-সম্বলিত রৌপ্যপাত্র পোল্যান্ডের চেলোমনো শহরে সেন্ট মেরিস অ্যাসাম্পশনের ধ্বংসপ্রাপ্ত চার্চে পাওয়া গেছে। মাল্টার বালজান ক্যাথেড্রাল, ভিয়েনার সেন্ট স্টিফেন ক্যাথেড্রাল, ফ্রান্সের রোকমাউর গার্ড ও স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর গরবাল এলাকায় ব্লেসড জন ডানস স্কটাস চার্চেও ভ্যালেন্টাইনের কথিত দেহাবশেষ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ওরেটরি প্রধান গির্জার বেদিতে Corpus St. Valentin, M লিখিত স্বর্ণপাত্রে তার দেহাবশেষ রয়েছে। সর্বশেষ, ২০০৩ সালে প্রাগের সেন্ট পিটার ও সেন্ট পল ব্যাসিলিকায় তাঁর আরেকটি দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।

গ্রিসের লেসবোস দ্বীপের মাইটিলিনেও তাঁর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সাভোনায় সান্তা মারিয়া আসুন্তা ক্যাথিড্রালে একটি দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। এমন আরও অনেক দেহাবশেষ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে। তবে, এটা নিশ্চিত যে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নবী ঈসা (আঃ) এর নিষ্ঠাবান উম্মত ছিলেন, খ্রিস্টবাদ প্রচারের ‘অপরাধে’ তিনি নিহত হয়েছেন এবং আধুনিক রোমাঞ্চের সাথে তাঁর সম্পর্ক নেই।