সেনাবাহিনী নিয়ে গুজব, মিডিয়ায় বিএনপি-জামায়াতি প্রফেশনাল

সাঈফ ইবনে রফিক

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৫, ২০১৫

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে আঁটসাট বেঁধে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। সরকারবিরোধী এই চক্রের সাথে যোগ দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোও। রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দেয়ার উস্কানি ব্যর্খ হওয়ার পর-- বিচারপতি ইস্যুতে নতুন করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনলাইনে এই গুজবই হয়ে উঠছে ট্রাফিক জালিয়াতির হাতিয়ার।

ওপার বাংলার সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের পারপার্স সার্ভ করেছেন। ওই গুজবের ধাক্কা এসএসএফ সামলে ওঠার পরপরই ৭ ওয়ান স্টার জেনারেল খুনের গুজব। মিলিটারি ক্যাম্পাস ‘মিরপুর সেনানিবাস’ থেকে শত শত সশস্ত্র সাঁজোয়া যান বের হওয়ার আজগুবি খবর। যেন গণতন্ত্রের মুখোশে ক্যান্টনমেন্ট বেইজড দলটি তার কুকীর্তিময় অতীতের স্মৃতিচারণ করছে!

প্রধান বিচারপতির প্রাইভেসি ভাঙছেন আইনজীবীরা (কথাটা মোটাদাগে জেনারালাইজ করে কুতর্ক করবেন না।) এই বিপথগামী পেশাজীবীরা প্রমাণ করলেন, কমনসেন্সই সবচেয়ে আনকমন। এমন হাইপ্রোফাইল কেউ ছুটিতে গেলে তার আবেদনপত্র মিডিয়ায় হাজির করাটা যেমন অশোভন, তিনি গুম হয়েছেন-- এমন প্রচার করাও রাষ্ট্রবিরোধিতা। তবে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এই ননসেন্স অ্যাক্ট বটতলার উকিলদেরও হার মানিয়েছে।

ঘটনাটিকে অহেতুক গুরুত্ব দেয়ার দায় মিডিয়া এড়াতে পারে না। প্রধান বিচারপতি কখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন, মধ্যরাতে তার বাড়ির সামনে ক্যামেরা তাক করে রাখাও অশোভন। এটা নিউজ না, কেবল সেন্সসেশন তৈরি করছে। গণমাধ্যমের এই আচরণের নেপথ্যেও রাজনীতি আছে, আছে মূলধারার মিডিয়ায় ঘাপটি মারা বিএনপি-জামায়াতের প্রফেশনালরা।