সিলেট সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক সবুজ মিয়া (২২) নিহত হয়েছেন। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভিতরগুল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সবুজ মিয়ার সহযোগিরা তার লাশ সীমান্তের ভারতীয় অংশ থেকে বাংলাদেশের ভেতরে নিয়ে আসে। এরপর বিজিবি ও পুলিশ গোয়াইনঘাটের দমদমিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর মারুফ মিয়া (১৬) নিহত হয়। সে জৈন্তাপুর উপজেলার ঝিংগাবাড়ি গ্রামের মো. শাহাবুদ্দীনের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সবুজ মিয়াসহ কয়েকজন চোরাই পথে ভারতের ভিতরে খাসিয়াদের এলাকায় চলে যান। সেখানে খাসিয়াদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়ারা বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তার দেহ ভারতের ভেতরে থেকে যায়।
বিজিবির দমদমিয়া বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি ভারতের সীমান্ত পিলার ১২৬১ থেকে আনুমানিক ২০০ গজ ভেতরে ঘটেছে। বিজিবির সদস্যরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিলারের কাছে যায়। তখন সবুজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিজিবি টহল দলকে জানান, বিকেল থেকে সবুজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত পৌনে ১২টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের ভেতরের জঙ্গলে সবুজের সহযোগিরা তার লাশ নিয়ে আসেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।”
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, “খাসিয়ার গুলিতে নিহত সবুজ মিয়ার পিতা আবুল হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, “বিজিবি এ ব্যাপারে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।”