সাদ রহমান
সাদ রহমানের তিনটে কবিতা
প্রকাশিত : মে ২৩, ২০২২
কুকুর বংশ হইয়া মোরা যাইব যমুনায়
কুকুর বংশ হইয়া মোরা যাইব যমুনায়
হেথায় হাঁটব মোরা
যমুনা নদীর কিনার দিয়া কুকুর যে রূপে
চারটি পাওয়ের ছাপ ফেলবো
যমুনারই ধারে
লোকে ভাববে ভেড়ার ছাপ
হাঁইটা গেছিল অতিভদ্র ভেড়ার দল
একটি ভেড়ার দল
ভেড়াপ্রভু আগে আগে
হাঁইটা গেছিল যমুনারই কিনার দিয়া
লোকে ভাববে
হি হি লোকের ভাবনা ভুল
কিন্তু আমরা কুকুর
কুকুরবংশ
শহরে থাকি
ভ্যাকেশনে ঘুরতে গেছি
যমুনার ধারে
তাহে আমরা যৌনকর্মপ্রবণ
হয়তো একটু আছি
তারই ছাপ তো ফেলতেয়াছি
মোদের কর্মক্রিয়ায়
সেই ছাপ তো খাইয়াই ফেলবে
মোদের যমুনায়
তাই আমরা যমুনারই ধারে
ফেলতেছি রে মোদের পায়ের ছাপ
ছাত্রের উত্তর
হায় ছাত্র
ওগো ছাত্র
তুমি আর কত
ছাত্র হইবা?
নিখিল বিশ্বে
বিশ্ব এ নিখিলে
রামদা ধরিয়া
আর ধরিয়া রামদা
যত জোরে তুমি যাইবা
ও গো ছাত্রভাই
ততদূরে
তুমি যাইতে থাকো
আমি দেখবো নে
তোমার যাওয়ার দৌড়
সকাল তো দেখবোই
দেখার থাকে
সঙ্গে দেখবো ভোর
ভোর মানে শান্তি
শান্তি মানে
মানে শান্তি
যখন ছাত্রের ঘুম ভাঙলো
তারপরে সে রামদা লইয়া
স্কুলের পথে চলিলো...
এইদিকে
আমি বসে আছি
আমার নাম নাহিদ
আমার বউ আছে
ঘরে
আজ এত বেলা গড়ায়
বেলা গড়াইয়া যায়
আমারে কেউ
ক্যানো রে মারে না?
দেশের দেশ
আমাদের দেশ ছোট
মানুষ বেশি
গ্রোথ কম, ইকনমিক্যালি
সবাই ধইঞ্চা
তাই ডিপেন্ডেন্সি বেশি
শিশু ও বৃদ্ধ অনেক
তাদের আবার আছে
বিবিধ পারভারশন
মধ্যবয়স্কগুলা
আরো পারভারশন
নারীরা একটু ভালো
কিন্তু পুরুষেরই মতো
সম্পদ অর্ধেক পায়
ভাই ও আব্বার তুলনায়
তাই আব্বারে খুব তিরষ্কার করে
কিন্তু গোপনে
সামনাসামনি দেখা হইলে
আব্বা আব্বা করে
ভাইরেও আব্বা বইলা ডাকে
সন্তানরে বলে
আমারে ‘মা’ ডাকবি
কিন্তু সন্তান আপা ডাকতে চায়
তাই বলে
দেশ কি আগাইয়া যায়
না তো
অনেক ছোট দেশ
তা আমরা জানি
চারিদিকে সমুদ্র
রোহিঙ্গারা টহল দেয়
চায়না তাকাইয়া থাকে
ভারত কাঁধের ওপরে ঘুমায়
টেকনাফে ইয়াবা বানানো হয়
ইউরোপে কাপড় পাঠানো হয়
তবু আমরা দান-খয়রাত
অল্প অল্প পারি
অল্প অল্প খাই
আমাদের সৌন্দর্য নাই
কিন্তু নাকি ছিল
খালেদা জিয়া নামে
এক সুন্দরী নারী
আমরা বলতাম রাণী
একদা এখানে ছিলেন
কিন্তু এখন মরেন মরেন
এখন দেশ
যত শক্ত
তত শক্ত
মাগুর মাছও হয় না