সাঈফ ইবনে রফিক
সাঈফ ইবনে রফিকের চারটে কবিতা
প্রকাশিত : মে ১৯, ২০২১
এ কবিতা তোমার জন্য হারাম
অন্ধ হলেই এখন
প্রলয় বন্ধ হয়ে যায়?
লগ আউট করলেই ফেসবুক,
যদি ভাবো বন্ধ হয়ে যাবে ভাইরাল—
তবে তুমিও সেই বলদ
শুয়োরের সাথে যার
কাদা মাখামাখি।
যদি ভাবো
আগুন শুধু আমাকে পোড়াবে—
তোমাকে নয়।
তবে এ কবিতা তোমার জন্য হারাম।
এই শহরে দেবালয় পুড়েছে আগে—
এরপর হাসপাতাল, পুলিশ ব্যারাক
টিভি স্টেশন আরও আরও ছিটমহল!
হাত কেটে ফেলো,
করোনা তোমাকে ছোঁবে না।
চুরি
গাছ থেকে সব ক্লোরোফিল
চুরি হয়ে যাচ্ছে। আকাশ থেকে
লুট হচ্ছে মেঘ। সাগরের
জল ছিনতাই হয়েছে আগেই।
এমন কি মরুভূমির মরিচীকা,
তাও বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে—
গ্রাম্য নদী দখলের অনেক অনেক আগে
অ্যান্টার্টিকা দখল করে আছে
ইউরোপ! চাঁদের জমিও ভাগাভাগি।
আমার আকাশ কিনতে হচ্ছে
রাশিয়ার কাছ থেকে।
অক্সিজেনের ওপর ট্যাক্স বসিয়েছে
বাতাস করপোরেশন!
তোমাকে দেখলাম এক ধাপ এগিয়ে—
সূর্য নিলামে তুলেছো
মোমবাতি কিনবে বলে!
ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!
দুঃখের পানি যখন
নীরবে ঘোমটা পরে;
অশ্রুকে বলেছি, জেরুসালেম যাও।
পথে শুনলাম, কান্নার ঘোলাজল
আটকে দিয়েছে ইজরায়েলি নৌ সেনারা!
বন্ধ রামাল্লা। হেবরনের দোকানপাটেও
নষ্ট মেমোরি কার্ড থেকে
ডাটা উদ্ধার নিষিদ্ধ।
যদি বুঝতে যাও—
কিভাবে এই দুঃখের শুরু?
কাঠগড়ায় পূর্বপুরুষদের ডেকে
দাঁড় করাবে তোমরা!
ঘৃণার বাণিজ্যে যারা
ব্যবসাসফল। নিরাপত্তার তাগিদে
তারাও এখন কাঁদে!
আর কান্না বিক্রি করে
পৃথিবীজুড়ে—
ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!
দৈত্য
ধৈর্য একটি অতিকায় দৈত্যের নাম।
যা তোমার সব না পারা যন্ত্রণা
গিলে খায়। পিপাসায় ডুবে যায়
আশাবাদী মরিচীকায়।
হেরে যাওয়া মৃতদের
আবারও রণক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে—
যে আফিম তাজা করে তোলে
জীবনসিন্ধুর এ পাড়েই,
তাকে তোমরা ভালোবেসে
ধৈর্য নামে ডাকো।