‘সরকারের মূল লক্ষ্য কর্তৃত্ববাদ যেন আর ফিরে না আসে’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৪, ২০২৫

কর্তৃত্ববাদ যেন আর ফিরে না আসে সেটাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তুরস্কে চলমান আন্তালিয়া কূটনৈতিক ফোরামে অংশগ্রণের ফাঁকে তুর্কি টেলিভিশন টিআরটি ওয়ার্ল্ডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার টেকসই ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের মূল লক্ষ্য এমন একটি রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা, যেখানে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা যেন আর ফিরে না আসে।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার মানুষের দাবি মেটাতে এসেছে। জীবন দেওয়া ও আন্দোলনকারীদের চাওয়া এমন একটি টেকসই ব্যবস্থা, যেখানে আর কেউ ক্ষমতা অপব্যবহার করতে না পারে। নতুন সংবিধান আসছে, আমরা কখনোই সরাসরি এমন কথা বলিনি। এ বিষয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সিদ্ধান্তটি আসবে।”

তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা চাই, বিগত সরকার যে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে পেরেছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, সেসব যেন আর ফিরে না আসে। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থনীতি। আগের ১৫ বছরে দেশ একপ্রকার লুটপাটের শাসনে পরিণত হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “৪২ থেকে ২০ বিলিয়নে নেমে এসেছিল বৈদেশিক রিজার্ভ। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। আমরা এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি- বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটা আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অংশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমার ধারণা, ভারতও সেই সম্পর্ক চায়। নতুন বাস্তবতায় মানিয়ে নিতে হয়তো তাদের একটু সময় লাগছে।”

তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে তুরস্কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে। আমরা চাই, তুরস্কের সঙ্গে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। আমরা সেই দিকেই এগোচ্ছি।”