সরকারি নথিপত্র গায়েব সন্দেহে ২ ট্রাক জব্দ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্রসহ দুটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছ নীয় জনতা। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রাক দুটি শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, “সম্প্রতি সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার সন্দেহের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে পুরোনো নথিপত্র বহনকারী দুটি ট্রাক আটকে পুলিশকে খবর দেয় জনতা।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ এসে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সবাইকে জানান, এগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের পুরোনো কাগজ ও আসবাবপত্র। পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়ার পর ট্রাক দুটি ছেড়ে দেয় স্থানীয় জনতা।”
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রায় এক যুগের পুরোনো দাপ্তরিক নথিপত্রগুলোর কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে বিধায় পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব নথিপত্র ও আসবাবপত্র ভর্তি করে তা নগরের ময়লা খোলার ভাগাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অফিসের ২ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “তবে অফিসের ২ কর্মকর্তার কেউ বরিশালের ময়লার ভাগাড় চেনে না। অফিস কর্মচারী ও ট্রাক চালক নিজেদের সিদ্ধান্তে সেগুলো কাগাশুরা এলাকার বাজারের পেছনে নিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ধারণা, এসব কাগজ না পুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করতে চেয়েছেন ২ কর্মকর্তা। এ সময় এক বান্ডিল কাগজ ট্রাক থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয় জনতা তা তুলে দেখে এবং সচিবালয়ের আগুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ট্রাক দুটি আটকে দেয়।”
শহিদুল ইসলাম বলেন, “কিন্তু সত্য হলো, সেগুলো আমাদের অফিসের পুরোনো নথিপত্র। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা এসে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সেগুলো ফেরত দিয়ে দেয়।”
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম বলেন, “সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামে দুটি ট্রাক ভর্তি কাগজপত্র আটক করেছে জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরপর সবার উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়ে তাদের কাগজপত্র বুঝে নিয়ে যায়।”