সন্‌জিদা খাতুন আর নেই

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ২৫, ২০২৫

ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন আর নেই। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এক সপ্তাহ ধরে সন্‌জীদা খাতুন এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী এই ব্যক্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ছায়ানট।

ফেসবুকে পোস্টে ছায়ানট লিখেছে, “সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুনের প্রয়াণে ছায়ানট গভীর শোক জ্ঞাপন করছে।”

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা ড. কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন ছিলেন গৃহীণী।

সন্‌জীদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

সন্‌জীদা খাতুনের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষক হিসেবে। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ইডেন কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।

সন্‌জীদা খাতুনকে জীবনের প্রায় শুরু থেকে দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায়। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন সন্‌জীদা খাতুন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ও দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।

এছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাকে `রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য` উপাধি দেয়। ২০১৯ সালে `নজরুল মানস` প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পান। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।