সজীব দে’র দুটি কবিতা

প্রকাশিত : মার্চ ১৯, ২০২১

মৃত্যুদণ্ড

একটা নদী ঢুকে পড়েছে আমার ঘরে। ঘরময় মাছের ঝাঁক চেয়ে আছে আমার দিকে। আমি ডুবে গেছি।
মাছেদের চোখ আমাকে গিলে নেয়। পৌঁছে যাই মাছেদের ঘরবাড়িতে। সেখানে বুদ্ধের সাথে সমাহিত আমার দেহ।
কোনো প্রশ্ন নেই আর
পাণ্ডুলিপি পুড়ে গেছে, গথিক জীবন কে চায়?
পাইন গাছের মতো আকাশের গায়ে মেখে থাকি
পথে পথ হারিয়ে যায়।
আমাকে কেউ একজন বলেছিল, অজ্ঞাত থাকো।
হও বোহেমিয়ান
বৃষ্টি এলে মরে যেও।
জলের সাথে জল মিলে হয়ে যেও ভস্ম।
একজন জাপানি রমণীর হাতে পরিবেশিত হয় আমার মাংসের ভুনা।
অথচ রাস্তার পাশে ফুটে থাকা নাম না জানা বনফুল বেশি সত্য।
তোমাদের মতো বুদ্ধিমান না হয়ে বরং শান্তি পাই হাওয়া হতে।
কত কত ভরসার কথা ইরানি মেয়েটি বলেছিল আমাকে
আর আব্বাস কিরস্তামির টেস্ট অব চেরি
সব ছোট ছোট কবিতার সংশ্লেষে আমি গাছ হই
ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম অব ঢাকায়
তোমরা দেখেছিলে আমার মৃত্যুদণ্ড।

ভগাঙ্কুর

অনেক বিপন্ন আলোয় হাওয়া ঘুমিয়ে পড়ে।
জানালাটি তবু অপেক্ষারত
লাল এক পর্দার পিছনে
নারীটি অযান্ত্রিক
নদীতে
ছবি হয় যায়।
তবু
কেউ কেউ এমন কল্পদৃশ্যে
বিভ্রান্ত হয় বলে
জীবনের সহজ
কথা
বা
ধরন
কারও কারও মিথ্যে লাগে
আমি রক্তে
কলধ্বনি শুনে শুনে মৃত লাশের পাশে হরিণ চোখ রেখে দেই।
যেনবা কেউ কেউ অন্ধ হলে হরিণ চোখে মৃতের বারো মিনিট দেখতে পায়।
ওই ছিল শাপলা ফুলে মরিয়মের ভগাঙ্কুর।