সঙ্গীতা দাশ
সঙ্গীতা দাশের ৩ কবিতা
প্রকাশিত : জুন ২৩, ২০২৪
স্মৃতি গান
বিশুষ্ক পাহাড়ে আগুন বড় ভেসে থাকে
পলাশের ত্বক খেয়ে ফেলে
বুঝি কিবা খুন বাকি আর
পাহাড়ে চড়ার সফলতা নেই।
নেমে যাওয়ার নিষ্ফলতা নেই।
পাখার ব্লেডে ধুলোর ফোস্কা পড়ে আছে
একেক সময় স্মৃতি হৃদয়কে এমতি কালো করে।
অন্ধ গান
বাসের তপ্ত টিন মা গো
বড়ই বেদনা দেয় খালি পায়ে আমার।
গম্ভীর যাত্রীদলে জলপ্রপাত,
শুরু করি কিমতি?
কন্ডাক্টরের হল্লা,
শুরু হই কিমতি?
হু হু গতি মনে হয় এইবার।
এই সু্যোগে গানে টান দিই:
`তুমি আছো কি না আছো`...
মা গো টান গুলো ঠিকমতোন দিতে পারছি।
খুচরোখুচরোভারিখুচরোপাঁচদশ
নোট!
`আপনার বাড়ি কোথায়?
খালি পায়ে এত ঘোরেন
একজোড়া চটি কিনবেন।`
মুখখানা দেখতে পেলাম না মা গো
আমি হীরাবন্দরের বাসে বাসে
গান গাই সুরদাস।
হাওয়া গান
জানালা ভেঙে মুখ বের করে দিই
ডান হাতে কাঁচের খন্ডচিত্র
ওসবে মন দেব, অবকাশ পাই না
বরফ ছুঁয়ে আসা হাওয়া হাড়ের ভিতর
কানের কচি পর্দায় সাকুলেন্ট ঠাহর হয়
খড়দেহ কুটোদেহ পাগলের প্রায়
ওসবে মন দেব, অবকাশ পাই না
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে থাকি
তথাপি হাহাকারে মত্ত ফুসফুস
ভোররাতে শ্বাসকষ্ট হলে এইমতি অনুভব হয়।