পুলিশের হাতে আটক সাথী আক্তার
শিশু সন্তানটির মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র কেন নেবে না
লাবনী মণ্ডলপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
মেয়েটির নাম সাথী। বয়স মাত্র ২১। এই বয়সে দু’দুটি সন্তানের মা। দু’বছরের একটি কন্যা সন্তানের পরই দু’মাস আগে একটি পুত্র সন্তানের মা তিনি। অথচ সাথীর এখনও কলেজে পড়ার কথা। জীবনকে উপভোগ করার সময়। ঘুরে বেড়িয়ে, আমোদে-আহ্লাদে সময় কাটানোর কথা! কিন্তু সাথীকে দু’দুটি সন্তানের মা হতে হয়েছে। একটি সন্তানকে দুধের টাকা জোগাড় না করতে পেরে লবণ খাইয়ে মেরেও ফেলতে হয়েছে! ভাবতে পারেন, ভাবা যায়!
তারপরও আমাদের চারপাশে শুনতে পাব উন্নয়নের ধ্বনি। ক্ষমতাসীন শাসকশ্রেণির উন্নয়ন। যে উন্নয়নের সময়কালে সামান্য দুধের অভাবে একটি সন্তানকে মা লবণ খাইয়ে মেরে ফেলে। এক্ষেত্রে এই সাথীকে আমি দোষারোপ করতে পারছি না, আমার সাহসে কুলোচ্ছে না।
শ্রেণিবিভক্ত সমাজে এ বিষয়গুলো অস্বাভাবিকও নয়। যেখানে চারদিকে ডায়েটিং চার্টের খবর, কে কত কেজি ওজন কমিয়েছে, কার কতটুকু কমলো বলে জানার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে, সেখানে সামান্য দুধের অভাবে শিশুসন্তান মরছে! কী সেলুকাস! কী ভয়ংকর চিত্র! এই আপনারাই যখন মানবতার কথা বলেন, উন্নয়নের কথা বলেন, তখন কি লজ্জা হয় না, বলুন!
শিশুপ্রেমীরা, শিশু সংগঠনগুলো ‘শিশুরাই আমাদের সেরা সম্পদ’ বলে শ্লোগানে শ্লোগানে বাতাস মুখরিত করে তুলবে। শিশুদিবস পালন করবে। কিন্তু তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র তাদেরই স্বার্থে। যেখানে সাথী আক্তারদের মতো ‘মা’দের কোনো মূল্যায়ন হয় না। শিশুও পুঁজি বটে, সেরা পুঁজি। কিন্তু সেই পুঁজিটাকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন, কতটুকু ব্যবহার করবেন কার প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন— বিষয় সেটাই!
কারো শিশু খাদ্যের চোটে নড়তে পারছে না, কারো শিশু খাদ্যের অভাব মরছে। এই চিত্রগুলো মনে রেখেও কিন্তু মানুষ সমাজটার বাস্তবতা বুঝতে পারে। কিন্তু আমাদের চোখ যে অন্ধ! একটা শ্রেণির হাতে বন্দি। শিশু সম্পদই হোক কিংবা বোঝা হোক— শিশুকে যে বাঁচাতে হবে, সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রয়োজনেই। এক্ষেত্রে কারো কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। শিশুকে বাঁচাও বলে চেঁচামেচিও কম করি না কিন্তু! বাস্তবে এর ভিত্তিটা কই! সাথী আক্তারদের কেন আজ আদালতে থাকতে হয়? এর দায় কী সাথী আক্তারের একার? মানুষ কি আর সাধে অমানুষে পরিণত হয়, কোনো সুখে-আহ্লাদে? মানুষকে অমানুষে পরিণত করে এই সমাজ, রাষ্ট্র। তাহলে এই শিশু সন্তানটির মৃত্যুর দায় কেন রাষ্ট্র নেবে না, সমাজ নেবে না?
আমরা জানি শ্রেণিবিভক্ত সমাজে শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপন্ন। শিশু জন্মেই মরে, অধিকাংশ শিশু মরতে মরতে কোনো মতে বাঁচে এবং সমস্ত জীবন ধরে বাঁচতে বাঁচতে মরে। কারণ এই রাষ্ট্র শিশুদের জন্য উপযোগী রাষ্ট্র নয়। অনাহারে, অর্ধাহারে, অপুষ্টি ও নিরাপত্তাহীনতা শিশুর পিছু পিছু ঘোরে, সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে বসে। কথাগুলো কিন্তু অসত্য নয়! বাস্তব সত্য!
শিশুরা মরেই থাকে অথবা আধমরা— পেট কখনো সেঁটে যায় পিঠের সঙ্গে, কখনো-বা স্ফীত হয়ে জানিয়ে দেয় ভেতরে সে অসুস্থ, হয়তো আছে প্লীহা, হয়তো ঘটেছে বহুবিধ রোগ-জীবাণুর তৎপরতা। চকচক করে দুই চোখ। ক্ষুধায়, আতঙ্কে। হয়তো বা খাদ্যের সন্ধানে। সবই তো দেখি আমরা, সবই তো প্রত্যক্ষ করি। তারপরও কেন সাথী আক্তারেরই দায় নিতে হবে! মধ্যমআয়ের দেশ বলে যখন গলা ফাটানো হয়, গর্জন তোলা হয় তখন শিশুদের এ অবস্থা আপনাদের ভাবা না? চেতনার জগতে বিদ্রোহ প্রবেশ করে না? এই রাষ্ট্র, এই সমাজকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে ইচ্ছে করে না? এই রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করার মনোবাসনা জাগে না? কেন জাগে না? আপনাদের আছে বলে? আপনাদের ডায়েটিং চার্ট অনেক লম্বা বলে!
শিশুর শ্রমের উপর অতিনির্মম শোষণ চলে-যদি শিশু হয় দরিদ্র, এবং অধিকাংশ শিশুই দরিদ্র বটে। দারিদ্র্য ও শোষণ অভিন্নহৃদয়-সখা, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ যেন। কিন্তু না, ভুল হলো এই উপমা। আসলে তো শোষণ ও দারিদ্র্য হচ্ছে কার্য ও কারণ। শোষণই দারিদ্র্যের জন্ম দেয়। খরা হলে যেমন মাটি শুকানো একেবারে অবধারিত, তেমনি অবধারিত শোষণ থাকলে দারিদ্র্য থাকা। শিশুর প্রতি যে-ঔদাসীন্য বিরাজমান আমাদের সমাজে, শিশুশ্রমের প্রতি সেই ঔদাসীন্য আদপেই নেই। শিশুকে দাম দেই না, দাম দেই তার শ্রমকে। দামও দেই না, কম দামে তাকে শোষণ করি। শিশুই সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে অরক্ষিত, অসংগঠিত; তাই তার শ্রমকে শোষণ করা সবচেয়ে সহজ, সর্বাধিক নির্বিঘ্ন! সামাজিক অন্যায় ও নিপীড়নের ঝড়ঝাপ্টা মেয়েদের ওপর দিয়েই বেশি যায়, তার চেয়ে বেশি যায় শিশুদের উপর দিয়ে। আর সেই জন্যই তো আওয়াজ ওঠে, শিশুকে বাঁচাও।
কিন্তু সেই আওয়াজ কতটা জোরালো, প্রখর, কতটা সংগঠিত- প্রশ্নটা আজ বড় মুখ্য! সাথী আক্তারকে নিয়ে কোনো অভিযোগ, কোনো সুশীলিয় পোস্ট আমি দিতে পারি নি। সাথী ‘মা’ নামের কলঙ্ক। তা বলে নিজের নগ্ন চরিত্রের উন্মোচন করতে পারেনি। আমি জানি উপলব্ধি করতে পারি মায়ের মর্মার্থ। একজন মা শিশুকে বাঁচানোর জন্য কি কি করতে পারে? এমন কোনো কাজ নেই যা মা করতে পারে না। কিন্তু সাথী আক্তার কেন লবণ খাইয়ে মারলেন, নিজে কাজ করতে পারতেন বলে যারা চেঁচাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি— বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করুন, তার স্বামীর সাথে তার সম্পর্কটাকে বোঝার চেষ্টা করুন, ওইসময় তার মনোভাব বোঝার চেষ্টা করুন। তার পাওয়া-না পাওয়ার ক্ষোভকে ধারণ করতে চেষ্টা করুন? অহেতুক নিজের পণ্ডিতি জাহির করে শ্রেণিবিভক্ত সমাজকে প্রশ্রয় দেবেন না।
শিশুকে রক্ষা করার প্রশ্নটা আজ জরুরি। কার হাত থেকে? কোনো ব্যক্তির হাত থেকে নয়। কোনো পরিবারের হাত থেকে নয়। সমাজের হাত থেকে। সমাজ হচ্ছে শিশুর শত্রু। সমাজই মারছে শিশুকে। প্রশ্নটা শিশুকে যত্ন করার নয়, প্রশ্নটা শিশুকে রক্ষা করার। এ বিষয়টি উপলব্ধি করা জরুরি। শক্তিশালী বৈপ্লবিক রাজনৈতিক শক্তির মধ্যদিয়েই এ উপলব্ধি আরও প্রখর হতে পারে, যা করাটাও সুস্থ মস্তিষ্কের প্রধান দায়িত্ব।
ব্যক্তি নিষ্ঠুর আচরণ করে শিশুর সঙ্গে। অবশ্যই। অন্যের কথা বাদ থাক, শিশুর পিতামাতার আচরণও হৃদয়হীন হয়ে দাঁড়ায়। ওই যে সম্পদ বলা হচ্ছে শিশুকে, দরিদ্র পিতামাতার কাছে অনেক সময় শিশু একপ্রকার পুঁজি বটে, তাকে খাটতে দেয়, খাটিয়ে পয়সা পায়। শিশুর মা যে শিশুকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে পলায়ন করেছে, এমন ঘটনা বিরল নয়, মা শিশুকে বিক্রি করে দিচ্ছে, মা শিশুকে মেরে ফেলছে— কেন দিচ্ছে? যখন বন্যা আসে, অথবা দুর্ভিক্ষ— বাবা তখন শিশুকে পারলে বিক্রি করে, না-পারলে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়ে নিজেকে বাঁচায়। সবই সত্য, কিন্তু এর কারণটা কি? সবচেয়ে নিবিড় ও দৃঢ় যে-সম্পর্কে পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, যে-সম্পর্ক নিয়ে এত শিল্পকলার সৃষ্টি হয়েছে যা ভেঙে গেলে সমস্ত পৃথিবী ক্রন্দনের উপক্রম করে, কেন সেই সম্পর্ক এমনভাবে ভাঙছে, কোন সে দুর্বৃত্ত যে মাকে সন্তানের এবং সন্তানকে মার শত্রুতে পরিণত করছে? না, এ কোনো দৈত্য জিন বা ডাইনি নয়, গ্রীক ট্র্যাজেডির ভাগ্যও নয়, এ হচ্ছে সমাজ। সমাজব্যবস্থা তার শোষণপ্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দারিদ্র্য সৃষ্টি করছে, এবং সেই দারিদ্র্য যখন চরমতম রূপ ধারণ করে, দুজনের একত্র বাঁচা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে, যখন প্রশ্ন দাঁড়ায় সন্তান বাঁচবে নাকি মা— তখন দু’জনেই মরে যায় কখনো কখনো, আবার এর ব্যতিক্রম ঘটে, শিশুকে মেরে ফেলে। মানুষ সাধ করে অমানুষ হয় না, হয় না আহ্লাদে। হয় সমাজের চাপে। সমাজই মাকে দিয়ে সন্তানকে মারছে।
আন্তর্জাতিক শিশুবর্ষে বাংলাদেশে আমরা নানান কথা শুনতে পাই, ‘স্বাস্থ্যবান শিশু ভবিষ্যতের চাবিকাঠি’। এ অত্যন্ত সঙ্গত ধ্বনি। কিন্তু স্বাস্থ্যবান শিশু গড়ে উঠবে কিভাবে? কে নিবে দায়িত্ব? তা নিয়ে এদের কারো মাথাব্যথা নেই। কেননা, এরাও এই রাষ্ট্রের সেবাদাস। রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তাদের যতসব চালবাজি। যতসব আঁতলামি। তাদের মাথায় সাথী আক্তারদের মতো নারীদের নিয়ে চিন্তা নেই, ওদের সন্তানদের নিয়ে তো আরও ভাবনা নেই- তাদের এলিটগোষ্ঠীর সন্তানদের নিয়ে ভাবনা। তাদের স্বাস্থ্য কতটা স্থূল, কতটা পুষ্টিকর, কতটা শক্তিশালী— আরও কি কি করা যায় তা নিয়ে ভেবে ভেবে অস্থির! এসবই এই শ্রেণিবিভক্ত সমাজের দায়। বারবার একই প্রশ্ন আনার পিছনে বড় কারণ এই মেসেজটাই মানুষের মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো জরুরি যে, ব্যক্তির দায়ের চেয়ে অধিকগুণে দায়ী এই সমাজ, রাষ্ট্র।
মা’ই শিশুর আসল অভিভাবক। তাই মাতৃত্বের অবমূল্যায়ন আসলে শিশুরই অবমূল্যায়ন। অন্য সমস্ত কিছুর মতো মাতার যে-দায়িত্বপালন তারও সামাজিক স্বীকৃতি আবশ্যক। আমাদের গৃহগুলো অত্যাশ্চর্যরূপে আনন্দবিহীন। এই আনন্দহীনতার বিরূপ ও বিরুদ্ধ অন্ধকারে শিশু আসে কাঁদতে কাঁদতে। জন্মাবধি কাঁদে সে, কান্না আর থামে না, কান্নায় অন্ধকারের নিচ্ছিদ্র গাঢ়ত্ব এতটুকু কমে না, বরং শ্রাবণের বৃষ্টিতে যেমন অন্ধকার আরো বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়, শিশুর কান্নাতেও তেমনি চারদিকের নিরানন্দতা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। আবহমান বাংলা যাকে বলি সে এই কান্নারই বাংলা আসলে। এই কান্না যত সত্য তত আর কিছুই নয়। শিশু কাঁদে শৈশবে, কাঁদে যৌবনে, কাঁদে বার্ধক্যে— কাঁধে শিশুর মতো করেই।
শিশুকে বাঁচাতে হবে সমাজের হাত থেকে। সমাজই মারছে তাকে, ব্যক্তির হাত দিয়ে। মরছে শিশু দৈহিকভাবে, নৈতিকভাবে। ব্যক্তিগত উদ্যমে একজন, দশজন, বিশজন শিশুকে বাঁচালেও বাঁচাতে পারব হয়তো, কিন্তু লক্ষ লক্ষ বিপন্ন নিমজ্জমান নিমজ্জিত শিশুকে আমরা বাঁচাবো কি করে, কোন সামর্থে, কিসের শক্তিতে? কেননা শিশুকে যে সমাজই মারছে, যত মারছে ততই মরছে সমাজ নিজে। সুতরাং, এর দায় নিয়ে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। শিশুকে সহ বিশে^র সকল নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে হবে।
অনেক সহজেই আমরা, শিশুকে বলি তুমি সৎ হও, চরিত্রবান, আদর্শবান হও, তুমি স্বাস্থ্যমন্ত হয়ে ওঠো, ভিটামিন খাবে নিয়মিত, পানি খাবে পরিষ্কার, থাকবে পরিচ্ছন্ন। এসব কথা বলা আর শিশুকে চাঁদে যেতে বলা একই কথা কেননা উভয়ক্ষেত্রে অভাব শুধু একটি জিনিসেরই উপায়ের। সেই উপায়টাই বলে দেয় না কেউ। দেয় না বাৎলে। কর্পোরেট টিভি, মিডিয়াগুলো সারাক্ষণ এই বিজ্ঞাপনের উপর থাকে— কিন্তু শ্রেণিবিভক্ত সমাজে একটি শিশুর পরিবার এগুলো পাবে কই থেকে তার আর বাৎলে দেয় না। শিশুই ভবিষ্যৎ বলে যারা গলা ফাটান, তারাও একবার উপলব্ধি করতে চান না, এই ভবিষ্যৎকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, টিকিয়ে রাখার জন্য মূল করণীয়টা কী?
না, শিশুকে বাঁচাতে অবশ্যি সমাজকে বদলাতে হবে। পরিবেশকে করতে হবে স্ববিরোধিতামুক্ত, সদয়, সহযোগী। কিন্তু সমাজ বদলাবে কেমন করে? কোন উপায়ে সেকি বদলাবে মুখের কথায়, ধমকে, কিংবা প্রলোভনে? না, সমাজ পরিবর্তনের জন্য বিপ্লবী সংগঠন প্রয়োজন। শিশুকে বাঁচাও আর সমাজকে বদলাও, এ দুই ধ্বনি তাই একই ধ্বনি আদতে। শিশুও ডাকছে। এই ডাক আমরা শুনি না, তাই অব্যাহত থাকে শিশু-পীড়ন। বিদ্যমান সমাজ সম্পর্ককে অক্ষুন্ন রেখে শিশুর চিন্তার পরিবর্তন যে কাব্যিক কল্পনা বৈ নয়, সে-সত্যটা অস্পষ্ট থাকে।
সুতরাং পরিষ্কারভাবে বলতে হবে, এই পৃথিবীকে শিশুরসহ সকল মানুষের বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিপ্লবী পার্টিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপ্লবী শক্তি বাড়াতে হবে।