শাহেদ কায়েস
শাহেদ কায়েসের ৫ কবিতা
প্রকাশিত : মার্চ ১৮, ২০২১
নীলিমা নীলিমা
ক্ষমা করো, আপনা-আপনি
বুজে আসা রাতের ফুল—
বাতাসের প্রার্থনা, কোকিল
তোমাদের ধ্যান ভাঙিয়েছি...
প্রতিটি ভাবের থাকে তার নির্জনতা
শব্দ আর নৈঃশব্দ্যের মাঝে ঝুলে—
থাকা ব্যাকুলতা, রাতের অস্থিরতা...
কথার যে দুর্গমতা— অতি গোপনে
নাম না জানা একটি নদী বয়ে চলে…
জানে শুধু সে, আকুল হয়ে যে—
ডাকে বারবার— নীলিমা নীলিমা!
লেখক
এক.
যে লেখকের শিরদাঁড়া যত সোজা
সে লেখকের কলম ততই বাঁকা।
দুই.
একজন লেখক পুরোপুরি নিঃসঙ্গ নন
লেখায় তার নির্মিত চরিত্র তাকে সঙ্গ দেয়।
মরমী পাখি
কেন যে ফেলে যাও
মায়াবী পালক
উড়েই যাবে যদি—
মরমী পাখি!
হয়নি বলা স্পষ্ট করে
যেই কথাটি, সেই কথাটি
জানে শুধুই একতারাটি
অসীমের কথা
নদীর ঠোঁটে একটি কালো তিল
তাকিয়ে আছে তীব্র অহংকারে!
গাঙের বাঁকে ছোট্ট একটা চিল
গেল উড়ে মোহন চিৎকারে...
প্রতিটি সম্পর্ক অভিযোজনের—
ভিতর দিয়ে অসীমের কথা বলে
সম্পর্ক একটি অলৌকিক স্পর্শ
উপরে শান্ত— চোরা স্রোত তলে...
কত কথা তার আকাশের সঙ্গে
নদীর বুকে কত যে সুপ্ত অভিমান
দিগন্তের কাছে অঙ্গ ছুঁয়েছে অঙ্গে—
স্পর্শে আকাশ ভেঙেছে জলমান
জীবনতরীর নেয়ে
এলো মধুঋতু— মাদলের মতো লাজুক কণ্ঠস্বর
ভেসে আসে সমুদ্র সি-গাল, জাহাজের পিছু-পিছু
ইচ্ছে এক বাউল পাখি, ইচ্ছে এক বেখেয়ালি নদী
স্থানিক গতিতে মন, গন্তব্যহীন যেদিকে ইচ্ছে চল
কোমল আঙুল গড়িয়ে ঝরছে অনুচ্চারিত ঢেউ
কেঁপে উঠছে প্রাচীন বুক— সাংকেতিক আলো
মায়াবী বৃত্তের মাঝে খেলা করে উজ্জ্বল মাছেরা
মন যখন অস্থির, গতিতে পা— তুমি বললে `না`
স্বপ্নে যেদিন আর সময় থাকবে না জেগে ওঠার
বাউণ্ডুলে কবি বলে ডেকো আমায় সমুদ্র-মেয়ে
প্রণয়ে বিলাপ— ‘ও সখি, ও জীবনতরীর নেয়ে’