নাবিহ বেরি
লেবাননে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উদ্যোগ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ০৩, ২০২৪
প্রায় দুই বছর ধরে লেবাননে প্রেসিডেন্ট নেই। এই শূন্যতা পূরণে উদ্যোগ নিচ্ছেন দেশটির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন রাজনীতিবিদ।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লেবাননে প্রেসিডেন্ট পদ খালি। মন্ত্রিসভাও তেমন কার্যকর নয়। হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্সির ইস্যুটি আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন শিয়া পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চান, যাকে নিয়ে কেউ আপত্তি তুলবে না।”
লেবাননের প্রেসিডেন্ট পদটি সবসময় ম্যারোনাইট খ্রিস্টান কোনো ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ থাকে। হিজবুল্লাহ ও তার মিত্রদের দাবি ছিল, এই পদে তাদের পছন্দের প্রার্থী সুলেইমান ফ্র্যাংগিয়েহকে মনোনীত করা হোক।
লেবাননের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট মাইকেল আওউন ছিলেন সাবেক আর্মি কমান্ডার ও হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক মিত্র।
হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্সির বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে স্পিকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পার্লামেন্টারি ভোটের মাধ্যমে লেবাননে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সমঝোতা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।
জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা ওয়ায়েল আবু ফাওউর রয়টার্সকে বলেন, “ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিশ্ববাসীর কাছে একটি শক্তিশালী সরকারের অস্তিত্ব জানান দেবে। ফলে তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাবে যে, আমরা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।”
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান ইজরায়েলি আগ্রাসনে লেবাননে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিমা একজন কূটনীতিবিদ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে লেবাননের রাজনীতিবিদদের কাছে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো আগে থেকেই আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান করায় হিজবুল্লাহরও স্বার্থ রয়েছে।