রাহমান চৌধুরীর নাটক ‘ক্রীড়নক’

পর্ব ৯

প্রকাশিত : আগস্ট ০২, ২০২১

বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯৪ সালে পুস্তক আকারে নাটকটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই নাটকটি দেশের সুধীমহলের দৃষ্টি কাড়ে। নাটকটার পটভূমি প্রাচীন যুগের কাল্পনিক এক গ্রীকরাষ্ট্রকে ঘিরে। থিউস রাষ্ট্রটাই কাল্পনিক, ভিতরের বাকি সার কথাগুলোর প্রায় সম্পূর্ণটাই ঐতিহাসিক। মহাত্মা আহমদ ছফা নাটকটি পাঠের পর মন্তব্য করেছিলেন, ‘বহুদিন পর আমি গ্রিক ধ্রুপদী নাটক পাঠ করার আনন্দ পেয়েছি। নাটকটা আমি ইংরেজিতে অনুবাদ করাবো। সারা বিশ্বকে আমি নাটকটা পড়াতে চাই, বাঙালিরা যে নাটক লিখতে জানে, সেটার প্রমাণ দিতে চাই।’ ছাড়পত্রের পাঠকদের উদ্দেশ্যে নাটকটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো:

ক্রানমার: নাও, যুবক পান করো। (ক্রানমার নিজ গ্লাসের মদে চুমুক দেয়। ক্রোনাস নিজের জন্য একটি পাত্রে মদ ঢালতে গেলে।) না ক্রোনাস, এ মদ তোমার জন্য নয়। এ মদ শুধু আমার বিশেষ অতিথিদের জন্যই। নাও, যুবক পান করো।
(দ্রিমাস পান করে।)
ক্রোনাস: ক্রানমার, তুমি আমাকে অপমান করছো?

ক্রানমার: না ক্রোনাস। যারা আমার কাছে বিশেষভাবে সম্মানিত তারাই শুধু এ মদ পান করবার যোগ্য। এ যুবক হচ্ছে আমার দ্বিতীয় অতিথি যাকে আমি এ মদ পান করতে দিয়েছি। আমার প্রথম অতিথি ছিল রাজা হলোফারনেস।
ক্রোনাস: তবে আমাকে নয় কেন?

ক্রানমার: কারণ যে কাচ কখনো ভাঙে না, তা তুমি আবিষ্কার করনি। করেছে এই যুবক। নাও, যুবক পান করো।
ক্রোনাস: ক্রানমার, আমার মতো একজন পদস্থ রাজপুরুষকে তুমি ঐ যুবকের চেয়ে খাটো করে দেখছো। এত বড় স্পর্ধা তোমার!

ক্রানমার: ক্রোনাস, ক্ষেপে যাচ্ছ কেন?
ক্রোনাস: কেন ক্ষেপবো না? হলোফারনেস যে মদ পান করতে পারে, ঐ যুবক যে মদ পান করতে পারে, কেন তা আমি পারব না? আমি এ রাষ্ট্রের প্রধান বিচারক।

ক্রানমার: ক্রোনাস, তুমি কি আফিম খাও? রাজা হলোফারনেস আফিম খায়। যে অফিম খায় না তার জন্য এ মদ নিষিদ্ধ।
(ক্রোনাস কথাটা শুনে ধাক্কা খায়। সামলে উঠে জানতে চায়)
ক্রোনাস: তাহলে ঐ যুবক? সে কি আফিম খায়?

ক্রানমার: ওই যুবকের কথা জানি না।
ক্রোনাস: তাহলে ওকে এ মদ দিয়েছো কেন?

দ্রিমাস: মহান ক্রানমার, এ আমাকে আপনি কি খেতে দিয়েছেন। আমার বুক জ্বলে যাচ্ছে। আমার মাথা ছিড়ে পড়ছে। আহ আঃ!
ক্রানামার: আমার কাছে না আসলেই তুমি ভালো করতে যুবক। কেন যে তুমি আমার কাছে আসতে গেলে।

দ্রিমাস: আমার এমন করছে কেন?
ক্রানামার: যুবক, তুমি মদের সাথে বিষপান করেছো। একটু পর তুমি মারা যাবে। আমি দুঃখিত যুবক, তোমাকে হত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। দু’লক্ষ সেস্টাস আমি তোমার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেব। তাদের সারাজীবন এ অর্থে সুন্দরভাবে চলে যাবে।

দ্রিমাস: আহ! আহ! মহান ক্রানমার।
(যুবকের মৃত্যু)
ক্রোনাস: এ তুমি কি করলে ক্রানমার? কেন করলে?
ক্রানমার: আমার বাণিজ্যের স্বার্থে।

ক্রোনাস:  বাণিজ্যের স্বার্থে!
ক্রানমার: হ্যাঁ। যে কাচ একবার কিনলে আর কখনো ভাঙবে না সে কাচ ক্রানমারের প্রয়োজন নেই। ক্রানমারের দরকার ভঙ্গুর কাচ। যে কাচ সামান্য আঘাতে ভেঙে যায়। টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
ক্রোনাস: কীসব বলছো?

ক্রানমার: চিন্তা করতে পারো, একটি কাচপাত্র তুমি একবার কিনবে আর তা কখনো ভাঙবে না। তাহলে আমার কাচপাত্রের ব্যবসা চলবে কী করে? বারবার মানুষের কাচপাত্র ভেঙে যাবে, আর ক্রানমার সেখানে নতুন কাচপাত্র নিয়ে হাজির হবে, এই তো আমার বাণিজ্যের মূলকথা। ঐ যুবক যা আবিষ্কার করেছিল, বিজ্ঞানের জগতে হতে পারে তা মহাকীর্তি, কিন্তু আমার বাণিজ্যের জগতে তা এক মহাপ্রলয়।
ক্রোনাস: বাণিজ্য ছাড়া তুমি কি আর মহৎ কিছুই বুঝবে না কখনো। সামান্য বাণিজ্যের স্বার্থে একটি মানুষের জীবন তুমি হত্যা করলে।

ক্রানমার: তোমার কাছে যা হত্যা, আমার কাছে তাই আমার ভবিষ্যৎ। আমার অগ্রগতি। মানুষের অগ্রগতির কাছে ভাবাবেগের কোনো মূল্য নেই। ক্রানমার যদি সব সময় তার ভাবাবেগের মূল্য দিতো, যদি সে তাৎক্ষণিক প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করতো তাহলে সে আজ এখানে এসে দাঁড়াতে পারতো না। সে থেকে যেতো এক রাখাল বালক।
ক্রোনাস: রাখাল বালক!

ক্রানমার: হ্যাঁ, হ্যাঁ, রাখাল বালক। আজ যে ক্রানমারকে তুমি দেখতে পাচ্ছো একদা সে ছিল এক ক্রীতদাস রাখাল বালক। সমুদ্রের তীরে সারাদিন সে পশুচারণ করে বেড়াতো। সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে মালিকের চাবুক খেতে হতো। এখনো আমার পিঠের সে চাবুকের দাগগুলো মুছে যায়নি ক্রোনাস।
ক্রোনাস: কীসব বলছো তুমি?

ক্রানমার: ক্রোনাস, ভাগ্য আমাকে কিছুই দেয়নি এক ক্রীতদাসের জীবন ছাড়া। এখন যা কিছু দেখছো তার সবকিছু আমায় গড়ে তুলতে হয়েছে নিজ বুদ্ধি বলে। জন্মের পর থেকেই আমি জেনেছিলাম আমি মনিবের ক্রীতদাস ছাড়া আর কিছু নই। তারপর, হঠাৎ একদিন এক জাহাজ আমার ভাগ্য খুলে দিয়েছিল।   
ক্রোনাস: একটা জাহাজ!

ক্রানমার: হ্যাঁ, একটা জাহাজ এবং আমার মেধা। একদিন যখন সমুদ্রের পাড়ে পশু চড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা জাহাজ এসে ভিড়লো সেখানে। কয়েকজন নাবিক জাহাজ থেকে নেমে এসে সমুদ্রের পাড়ে ঝিনুক কুড়াতে শুরু করলো। সারাদিন তারা ঝিনুক কুড়ালো এবং সন্ধ্যায় তারা ফিরে গেল।
ক্রোনাস: হ্যাঁ তারপর?

ক্রানমার: হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল আমার। নিশ্চয় ঝিনুক কোনো দামী জিনিস হবে। পরদিন থেকে আমি একা একা ঝিনুক কুড়াতে লাগলাম। প্রতিদিন ঝিনুক কুড়িয়ে জমাতে থাকলাম এক গুহায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা কখনো বা রাতে। একটু বিশ্রাম, একটু ঘুমিয়ে নিয়ে আবার। সব ঝিনুক কুড়াতে হবে ওদের আবার আসার আগে, ওদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে সব। ওরা বিশজন যে ঝিনুক কুড়ালো একদিনে, আমি একাই তার চেয়ে বেশি কুড়ালাম ত্রিশ দিনে। (খানিকটা থেমে) একমাস পর আবার ওদের জাহাজ এলো। কিন্তু সমুদ্রের পাড়ে কুড়াবার মতো তেমন ঝিনুক তখন বাকি নেই। ওরা সব বোকা বনে গেল।
ক্রোনাস: চমৎকার গল্প। তারপর বলে যাও ক্রানমার।

ক্রানমার: সব কিছু দেখার পর, ওদের প্রধানের কাছে এগিয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম ওরা কি খুঁজছে। ওরা যখন বললো ওরা ঝিনুকের জন্য এসেছিল, তখন আমি বললাম আগে অন্য নাবিকরা এসে সব ঝিনুক নিয়ে গেছে।
ক্রোনাস: তার মানে তুমি ওদেরকে মিথ্যা বললে?

ক্রানমার: সম্ভবত জীবনের প্রথম গুছিয়ে বলা মিথ্যা ছিল সেটা। ওরা যখন হতাশ হয়ে পড়লো, তখন ওদের সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, তোমরা যদি চাও, আমি তোমাদের জন্য এখন থেকে সব ঝিনুক কুড়িয়ে রাখবো। আমার প্রস্তাব শুনে ওরা মহা খুশি হলো।
ক্রোনাস: তারপর?

ক্রানমার: তখন আমি ওদেরকে বললাম, গতদিন যারা এসেছিল তারা জানিয়েছে। ঝিনুক খুব দামি জিনিস। তোমাদের জন্য আমি যে কষ্ট করে ঝিনুক কুড়িয়ে রাখবো তার জন্য তোমরা কী দেবে আমাকে? তাছাড়া সেগুলো পাহারা দিয়েও রাখতে হবে।
ক্রোনাস: তুমি খুব চালাক ছিলে।

ক্রানমার: চালাক ছিলাম না, ঘটনা আমাকে চালাক হতে বাধ্য করেছিল। চাবুকের ঘা খেয়ে খেয়ে শিখেছিলাম সম্পদহীন জীবন আর পশুর জীবন একই কথা।
ক্রোনাস: গল্পটা শেষ করো।

ক্রানমার: আমার কথা শুনে ওরা আমাকে পাঁচশো সেস্টাস দেয়ার কথা বললো। শুনে তো অবাক। সামান্য কাজের জন্য মানুষ যে এত টাকা পেতে পারে আমি ভাবতেই পারিনি। কিন্তু তবুও আমি দরদাম করতে ছাড়লাম না। ওরা তখন আমার সেস্টাসের পরিমাণ বাড়িয়ে সাতশো করে দিলো।
ক্রোনাস: আর তুমি ক্রীতদাস রাখালের জীবন ছেড়ে ধীরে ধীরে হয়ে গেলে একজন ঝানু ব্যবসায়ী।

ক্রানমার: প্রিয় ক্রোনাস, সেটা কি আমার দোষ? নাবিকদের ঝিনুক কুড়াতে দেখে সেদিন আমার মাথায় হঠাৎ যে চিন্তার উদয় হয়েছিল সে জন্য কি তোমরা আমাকে দোষ দেবে? সে চিন্তা যদি সেদিন আমার মাথায় না আসতো, আর যদি আমি আজও ক্রীতদাসই থেকে যেতাম, তাহলে কি তোমরা খুশি হতে, আমাকে মহৎ ভাবতে? আমার মাথায় সেদিন যে সম্পদের চিন্তা এসেছিল তার জন্য তোমরা কি আমাকে খারাপ ভাববে?
ক্রোনাস: সেদিন তুমি যা করেছিলে সেটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু তারপর তোমার লোভ বাড়তেই থাকলো। দেশের চেয়ে মানুষের চেয়ে তোমার কাছে ব্যবসাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

ক্রানমার: কে তার জয়ের পথে নিজে থেকে থামছে? তুমি কি নিজে থেমেছো? তুমি ছিলে থিউসের সামান্য একজন সভাসদ। আর আজ তুমি প্রধান বিচারক। জয়ের পথ ধরে তুমি ক্রমাগত উপরে উঠে গেছ, তাহলে আমিই বা থামবো কেন?
ক্রোনাস: তোমার বহু টাকা হয়েছে, যা দরকার তার চেয়ে বেশি। প্রচুর খ্যাতিও পেয়েছো। যে সম্পদ আছে তা এক জীবন কেন হাজার জীবনেও তুমি ভোগ করে শেষ করতে পারবে না। তাই এবার তোমার থামা উচিত।

ক্রানমার: নাট্যকার ইসকাইলাস তার প্রথম নাটক লিখেই যথেষ্ট খ্যাতি পেয়েছিল, এবং দ্বিতীয় নাটকে তারও দ্বিগুণ খ্যাতি। কিন্তু সে জন্য কি সে তার লেখা বন্ধ করে দিয়েছিল? তাহলে কেন শুধু আজ এক ক্রানমারকেই থামতে হবে?
ক্রোনাস: কারণ তুমি তোমার প্রয়োজনেরও অতিরিক্ত পেয়েছো।

ক্রানমার: ক্রোনাস, যে কৃষকের আশা থাকে তার মাঠে দশ হন্দর ফসল জন্মাক, সেখানে যদি পনের হন্দরও ফসল জন্মে যায় সেকি থেমে থাকে? না সে তখন বিশ হন্দর ফসলের জন্য লড়াই শুরু করে? কেউ নিজে থেকে তার বিজয়কে প্রত্যাখান করে না।
ক্রোনাস: কিন্তু এই বিজয়ের জন্য তুমি প্রায়শই নিষ্ঠুর হচ্ছো। মানুষের প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছো।

ক্রানমার: হলোফারনেস আর তোমরা মানুষের প্রাণ কেড়ে নাওনি ক্ষমতা লাভের জন্য? রাজা ফিলোটাসের হত্যাকে কি নীরবে সমর্থন দাওনি? ভেবে দেখো, নিজেকে প্রশ্ন করো, শুধুমাত্র ওপরে ওঠার জন্য কি নীরবে অনেক হত্যাকে সমর্থন দিয়ে যাওনি? দিনের পর দিন নানা হত্যাকাণ্ডকে দেখেও কি না দেখার ভান করনি? কোথায় তাহলে তোমার আদর্শ?
ক্রোনাস: ঠিকই বলেছো ক্রানমার। ক্ষমতার লোভে বহুবার নিজেই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছি আর অন্যের ত্রুটি খুঁজে বেড়িয়েছি।

ক্রানমার: নিজের দোষগুলো তাহলে দেখতে পাচ্ছো?
ক্রোনাস: হ্যাঁ। মানুষ অন্যের দোষ যতো সহজে দেখতে পায় নিজের দোষ ততো সহজে চোখে ধরা পড়ে না। তুমি ঠিকই বলেছো। আমি ভাবছি আমি আমার বিচারকের পদ ছেড়ে দেবো।

ক্রানমার: কিছু মনে করো না, তা হবে তোমার জন্য চূড়ান্ত বোকামি। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার চেয়ে এ ক্ষমতা মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করাটাই শ্রেয়তর। বোকারা মহানুভব হতে চায় কিছু না করেই। কিন্তু যারা সত্যিকার মহৎ তারা মানুষের মঙ্গল সাধনের জন্য দোষ এবং গুণ দুটোই স্কন্ধে তুলে নেয়।
ক্রোনাস: চমৎকার কথা বললে ক্রানমার। জীবনের এক চরম সত্য তুলে ধরলে চোখের সামনে। সক্রেটিস, প্লেটো আর মহাজ্ঞানী এ্যারিস্টোটলের সমস্ত গ্রন্থ আমি পড়েছি। কিন্তু যে সত্যগুলো তুমি এক ক্রীতদাস রাখাল বালক আমার সামনে তুলে ধরলে তা আমার আগে জানা ছিল না।

ক্রানমার: কারণ তুমি শুধু শিখেছো, কিন্তু সংগ্রাম করনি। তুমি যেখানে আজ পৌঁছে গেছো, তোমার ভাগ্যই তোমাকে হাত ধরে সেখানে পৌঁছে দিয়েছে। কারণ তোমার পিতাও ছিলেন রাজপুরুষ। কিন্তু যেখানে আমি এসেছি, আমাকে আসতে হয়েছে লড়াই করে। যেপথ তুমি ডিঙিয়ে পার হয়েছো, সে পথ আমাকে পার হতে হয়েছে হেঁটে হেঁটে। অতএব পথের সমস্ত যন্ত্রণার কথা আমার জানা আছে, যা তোমার জানা নেই।
ক্রোনাস: এতসব যখন জেনেছো, এত লড়াই করে যখন এতটা পথ এসেছো। তাহলে এখনও কেন অন্ধকারেই থাকতে চাও? সম্পদের জগত ছেড়ে তাহলে কেন চলে আসছো না সেই জগতে, যেখানে মানুষের ভালোবাসাই শেষ কথা?

ক্রানমার: ক্রোনাস, মানুষ পৃথিবীর পথে চলতে চলতে ঘটনা পরম্পরায় নিজের একটা জগৎ তৈরি করে নেয়। সে জগতের চারদিকে থাকে খাড়া দেয়াল। চাইলেও সে জগৎ থেকে বের হয়ে আসা যায় না। চলবে