রাশিয়ায় ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল ইউক্রেন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ২১, ২০২৪

ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর এই হামলা চালালো ইউক্রেন।

ইউক্রেনের হয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা তথা ন্যাটো জোটের দ্বিতীয় কোনো দেশের হামলা এটি। বুধবার রুশ সামরিক ব্লগারদের টেলিগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, ইউক্রেনের সীমান্তে কুরস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপক শব্দ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৪টি বিশাল বিস্ফোরণ শোনা যায়, যার বেশিরভাগই ক্ষেপণাস্ত্রের মতো তীক্ষ্ণ হুইসেলের মতো।

একই সঙ্গে রুশপন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেল টু মেজর্সের দাবি, ইউক্রেন রাশিয়ান সেনাদের বিরুদ্ধে কুরস্ক অঞ্চলে ১২টি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তারা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ‘স্টর্ম শ্যাডো’ লেখা স্পষ্ট দেখা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে আরও জটিল পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধের লাগাম টেনে ধরার পক্ষে। প্রয়োজন হলে রাশিয়ার স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখেই দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চায় রিপাবলিকান শিবির।

মঙ্গলবার ইউক্রেন যুদ্ধের ১ হাজার তম দিনে বাইডেনের বিদায়ী প্রশাসনের কাছ থেকে সদ্য মঞ্জুর করা সুবিধা নিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ট্যাংকবিরোধী মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায় জেলেনস্কি সরকার।

মস্কো বলেছে, সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াশিংটন এখনও ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছে। এটি একটি স্পষ্ট সংকেত যা পশ্চিমারা সংঘাত বাড়াতে চেয়েছিল। মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রচলিত হামলার বিস্তৃত পরিসরের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্ত কমিয়ে দিয়েছেন।

রাশিয়া বারবার বলে আসছে, ওয়াশিংটন যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে মার্কিন, ব্রিটিশ ও ফরাসি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার অনুমতি দেয় তবে মস্কো সেই ন্যাটো সদস্যদের ইউক্রেনের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত বলে বিবেচনা করবে। সূত্র: আল জাজিরা