রাদ আহমদ

রাদ আহমদ

রাদ আহমদের দুটি কবিতা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০৯, ২০২৫

জুম্মাবারে মাংস আমি কাটতে হে গিয়েছিলাম

আলীর মতো রক্তজোশ টের আমি পেয়েছিলাম
অথচ এখন শিয়া আমার দুই চক্ষে সহে না
আমেরিকার প্রেসক্রিপশন কেন বুকে বহে না? —এই কি বলো
আমি হলাম সেই লোকটা কারবালাতে গর্দান
দিব কেন, বরং খুব সহজে সেই

গর্দান আমি নিয়েছিলাম
সহজতর রাজনীতিতে সহসা আমি জিতেছিলাম
ফলে এখন লাল মাংস, আগে থেকেই কাটতেছিলাম
সুন্নি বারে শিয়ার ওপর আমি এখন প্রচণ্ড গীত

মহেশখালীর ভিজিটর

মেয়েটা ভয়ংকরের মতো ডানে উইন্ডমিল কক্সবাজারের
থেকে বের হবার কথা বলি। নদীপথে।

আসল ঘাটের থেকে সত্যিকারের ঘাট। একেবারে আদি, অকৃত্রিম ও জাগ্রত মূর্তির মতো
কক্সবাজারের যে অংশটাতে গুইজ্জা মাছ এসে জড়ো হয়, সকালে ও হোটেলে অর্ধশতাধিকের বেশি মাছ ধরা

ট্রলার— সেখানে পুরোহিতের অক্লান্ত যোগাযোগের প্রতিষ্ঠা একটা

আপামর বাংলা-কলা বিচিকলা বিক্রি হতেছে
পনের টাকা দামে আর দশ টাকাতে কতক কলা পাওয়া যায়, সাদা,  ন্যাড়া তবে যারা বিচিকলা চেনেন, আমি তো বলব তারা...

মেয়েটা আমি নিশ্চিত সস্তা গান শুনে তার চোখে কাজলের টানটাও, ও জামাটা, সাদা, দুপুরবেলাকার নিম্নমধ্যবিত্তের দর্জির কাটে বানানো যে দর্জি সকালে অসুস্থ পটল কিনে আনতেছেন

ও সুরমা, বিচ্ছিন্ন সবুজ, চোখে
নীলে রুজ

স্পিডবোটে দাঁড়ানো একা

ও সুরমা, মেয়েটা তার প্রেমিককে নিয়ে বেড়াতে এসেছে
এত এত বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রের ভিতর?