যেসব লক্ষণে বুঝবেন যক্ষ্মা হয়েছে
স্বাস্থ্য ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ২৭, ২০২৪
টিবি বা যক্ষ্মা একটি ব্যাকটেরিয়া গঠিত রোগ। এই রোগটি সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। তবে ফুসফুস ছাড়াও দেহের অন্যান্য অংশ যেমন, হাড় এবং লিম্ফ নোডেও এই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।
টিবি নিয়ে সাবধান হতেই হবে। নইলে যে বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে। এবার এই পরিপেক্ষিতে মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, এই রোগের লক্ষণগুলো ঠিক কী কী? কী ভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়? এর চিকিৎসাই বা কী?
যেসব লক্ষণে বুঝবেন যক্ষ্মা হয়েছে
টিবি বা যক্ষ্মা একটি ব্যাকটেরিয়া গঠিত রোগ। এই রোগটি সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। তবে ফুসফুস ছাড়াও দেহের অন্যান্য অংশ যেমন, হাড় এবং লিম্ফ নোডেও এই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।
কীভাবে ছড়ায়?
আক্রান্তের হাঁচি, কাশি এবং থুতুর মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া একজনের থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
এইসব লক্ষণ দেখলেই সাবধান হন
৩ সপ্তাহের বেশি কাশি
রাতেরবেলায় জ্বর
দুর্বলতা
অকারণে ওজন কমা
কাশিতে রক্ত ইত্যাদি। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখলে যত দ্রুত সম্ভব নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।
দ্রুত করান টেস্ট
সাধারণত সিবি ন্যাট টেস্ট করলেই এই রোগকে সহজে চিহ্নিত করা। তবে অনেক চিকিৎসক প্রথমে এই পরীক্ষা করান না। বরং তাঁরা প্রথমে রোগীকে চেস্ট এক্স রে এবং কফ পরীক্ষা করতে বলেন। তারপর দিয়ে থাকেন সিবি ন্যাট। তাই আপনার চিকিৎসক ঠিক যেভাবে যেই টেস্ট করাতে বলছেন, সেই টেস্টটাই করুন। তাদের কথা মতো চললেই আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।
ভালো চিকিৎসা রয়েছে
টিবির বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকরী কিছু ওষুধ রয়েছে। আর এই ওষুধগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিয়ম মেনে খেলেই কিন্তু রোগকে অনায়াসে বশে আনা সম্ভব। তবে অনেক রোগীর শরীরে প্রবেশ করে ড্রাগ রেজিস্টেন্স টিবির জীবাণু। আর এইসব জীবাণুকে কিন্তু সহজে কাবু করা যায় না। বরং এই রোগকে বাগে আনতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো একাধিক ওষুধ অনেকটা সময় ধরে খেয়ে যেতে হবে।
যক্ষ্মা রোগীরা পুষ্টিকর খাবার খান
নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি টিবি রোগীকে পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। তাহলেই রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন।
যারা টিবি রোগীর সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করছেন, তাদের মাস্ক পরতেই হবে। এমনকি প্রয়োজনে করিয়ে নিতে হবে টিবির টেস্ট।