মুন্নী সাহাকে আটক, পরে পরিবারের জিম্মায়
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হলে ভোররাতে মুছলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “পুলিশ তাকে আটক করেনি। সাধারণ মানুষ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রথমে তাকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছিল। পরে নিরাপত্তার কারণে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ডিবি কার্যালয়ে আনার পর তার প্যানিক অ্যাটাক হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মুন্নী সাহা একজন নারী সাংবাদিক, এসব বিষয় বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারার উপধারা (১) অনুসরণ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করবেন এবং যখনই প্রয়োজন হবে তিনি পস্থিত হবেন, এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে কারওয়ানবাজারের জনতা টাওয়ারে একটি মিডিয়া অফিসে যান মুন্নী সাহা। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পরে একদল মানুষ তাকে ঘিরে ধরে। পরে তেজগাঁও থানাপুলিশ তাকে উদ্ধারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মুন্নী সাহা মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন, এমন অভিযোগ তোলে কারওয়ানবাজারে উপস্থিত জনতা।
১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় শিক্ষার্থী নায়েম হাওলাদার নিহত হন। ওই ঘটনায় নায়েমের বাবা কামরুল ইসলাম ২২ জুলাই ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি তালিকায় মুন্নী সাহাসহ সাতজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে। সেই মামলায় মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।