অলঙ্করণ: দীপাঞ্জন সরকার
মিছিল খন্দকারের ৩ কবিতা
প্রকাশিত : জুলাই ৩১, ২০২৪
সন্ধ্যা
১.
কোনও কোনও সন্ধ্যা নিজেরই
মৃত্যুশোক নিয়ে হাজির হয়।
২.
সন্ধ্যার মধ্যে
একটা পরিত্যক্ত ধুলোর বাড়ি
স্মৃতির বারান্দা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
যার উঠানে দাঁড়িয়ে থাকে
প্রাচীন শৈশব,
সামান্য বাতাসে ওড়ে চুল,
শিস বাজায় ঠোঁটে
প্রতিটা সন্ধ্যায় হৃদয় মোচড় দিয়ে ওঠে!
৩.
পৃথিবীর ধূসরতম একা সন্ধ্যা আমি দেখেছি
কত যে শীতকালে!
জুয়ার আসর
কবরে শুয়ে-শুয়ে সে ভাবে,
দুনিয়ায় এমন রাতের বেলা
কত কী করতো
দূর বাজার থেকে ফিরতে-ফিরতে
এই যেখানে তার কবর,
এখানে আলগাভাবে বসে ধরাইতো গাঁজা।
জোৎস্নার মাতলামি করা রাতে,
আলপথে হাঁটতে-হাঁটতে
নিজেকে রাজা মনে হতো।
হঠাৎ কোনও রাতে গোপনে, ভ্যান ড্রাইভার নান্টুর
বউয়ের পাশে গিয়ে শুয়ে থাকতো চুপে।
বিভিন্ন রূপে তার কাছে হাজির হতো দিন—
কোনও কোনও দিন খেতের কাজ
রিকশা বাওয়া, আবার কোনও দিন জেলে,
কিংবা টিকিট চেকার সিনেমা হলের।
সন্ধ্যায় সে চোলাই খাইতো, জুয়া খেলতো
হয়তো নদীতে জাল ফেলে অনর্থক বসে থাকতো
মাছের আশায়।
এখন ইচ্ছা করে তার
কবরে একটা জুয়ার আসর বসায়!
সেল্যুকাস
১.
তারা
তুঁতেকে মধু বলে
সাধুবাদ পেতে উন্মুখ,
মিঠা পানিতে খুঁজে ফিরছে নুন—
বেগুনকে কলা আর
কলাকে বলছে বেগুন!
২.
সে দাঁত ক্যালাইয়া হাসে
আর কয়, কান্দি!
আর আপনারা তারে দেন সান্ত্বনা,
কান্দে না সোনা!