মাহিনুর রহমানের প্রবন্ধ ‘আইন জালুতের প্রান্তরে’
প্রকাশিত : মে ০৮, ২০২১
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ও নিকৃষ্টতম কয়েকটি সেনাবাহিনীর নাম যদি আনা হয় তবে উঠে আসে মোঙ্গলবাহিনীর নাম। চেঙ্গিস খানের পতাকাতলে সমবেত হওয়া সুসজ্জিত এই বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা ইতিহাসখ্যাত। ১২০৬ সালে চেঙ্গিস খান `গ্রেট খান` হিসেবে মোঙ্গলদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এশিয়া ও ইউরোপে তাদের অভিযান শুরু হয়। চেঙ্গিস খানের ছিল অসম্ভব নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। যার দ্বারা মোঙ্গলদের তিনি একত্রিত করেন আর অভাবনীয় রণকৌশলে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলেন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ও কুখ্যাত সেনাবাহিনী, যারা তার নেতৃত্বে আসার পর আর পেছন ফিরে তাকায়নি। একে একে এশিয়া, এশিয়া মাইনর হয়ে আফ্রিকা, ইউরোপ, চীনসহ প্রায় সারাবিশ্বে অভিযান চালিয়ে যায়। সৃষ্টি করে খুন, লুণ্ঠন, রাহাজানি ও ধ্বংসযজ্ঞের এক একটি রেকর্ড।
প্রায় অর্ধশত বছর ধরে চলছিল তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ। কেউ এই লম্বা সময়ে তাদের প্রতিরোধ করার জন্য এগিয়ে আসেনি, আসলে আসতেই সাহস পেত না। কিভাবে পাবে? তারা যখন একটা এলাকা ধ্বংস করতো তখন তা দেখে বুঝারই উপায় থাকতো না যে এখানে কোনো জনপদ ছিল। এভাবে একরকম পরাজিত হওয়ার মনোভাব গেঁথে গিয়েছিল সবার মনে।
এই সময়ে মুসলমানদের শাসন বিস্তৃত ছিলো প্রায় অর্ধবিশ্ব জুড়ে। কিন্তু সালাহউদ্দিন আল আইয়্যুবীর ঐক্যবদ্ধ করে রেখে যাওয়া মুসলমান জাতি তখন আবার ক্ষমতার লোভে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে বসে ছিল তারই বংশধরদের মাধ্যমে। মিশর, সিরিয়া, হিজাজ, ইয়েমেন সব বিভক্ত হয়ে ছিল আর শাসকরা নিজেদের ভোগ বিলাস আর গদির চিন্তায় নিয়েই মগ্ন থাকতো। উম্মাহর কথা ভাবার এত চিন্তা কই পায় তারা!
আর মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের এই ফাটলের সুযোগ খুব ভালোভাবে নিয়েছিল মোঙ্গল বাহিনী। তারা একে একে মুসলমানদের এলাকাগুলোতে আক্রমণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২৫৮ সালে চেঙ্গিস খানের ছেলে হালাকু খান বাগদাদ আক্রমণ করে। বাগদাদে ছিল তখনকার ইসলামি খিলাফতের কেন্দ্রবিন্দু। নামেমাত্র টিকে থাকা আব্বাসীয় খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে মোঙ্গলরা ইতিহাসের ঐযাবৎকালের নিকৃষ্টতম ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। মাত্র ১৬ দিনে প্রায় বিশ (২০) লাখ মানুষকে হত্যা করে। কী নারী কী শিশু কী বৃদ্ধ আর কীই বা দুর্বল, কেউ ছাড় পায়নি সেদিন। বাগদাদের প্রবেশপথগুলোতে ছিল কাটা মাথার স্তূপ।
এরপর মোঙ্গলরা আলেপ্পো আক্রমণ করে। সিরিয়া হয়ে মিসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। মূলত মিসরে প্রবেশ করতে পারলেই হতো, এরপর আফ্রিকা আর স্পেন হয়ে পুরো ইউরোপ, এরকমই ছিল তাদের ইচ্ছা আর একই সাথে হয়তো এর মধ্য দিয়ে ধ্বংস হয়ে যেতো মুসলিম সভ্যতা।
কিন্তু মোঙ্গলদের এই জয়রথ ঠেকিয়ে দিলেন আল্লাহরই এক সৈনিক সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি তার নেতৃত্বে মুসলমানদের নিয়ে আইন জালুত প্রান্তরে মোঙ্গলদের অপরাজেয় থাকার যে অহংকার তা ভেঙে দিয়েছিলেন। ইসলামের পতাকাকে সমুন্নত করে ধরেছিলেন আর আল্লাহ তাআলা ও তাঁর হাতে বিজয় দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করেছিলেন।
মামলুক সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ ক্ষমতা গ্রহণের একবছরের মাথায় মোঙ্গলদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, মোঙ্গল বাহিনী সিরিয়া হয়ে মিসরে ঢুকবে। তাই তিনি প্রথমেই দামাস্কাসের আমীর সালাহউদ্দিন আইয়্যুবীর ছেলে নাসির ইউসুফ আল আইয়্যুবীর কাছে গেলেন, তাকে একত্রিত হয়ে মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে অভিযান করতে আহ্বান জানালেন। কিন্তু, নাসির ইউসুফ আল আইয়্যুবী এতে কর্ণপাত করলেন না বরং মনে করলেন এতে তিনি হয়তোবা ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন। তাই তিনি মোঙ্গলদের সাথে আঁতাত করেন এবং সাইফুদ্দিন কুতুজের বিরুদ্ধাচরণ করেন। অথচ কয়েকদিন পরই মোঙ্গলরাই নাসির ইউসুফ আল আইয়্যুবীকে দামাস্কাস থেকে তাড়িয়ে দেয়, তা দখল করে নেয়।
নাসির অগত্যা সাইফুদ্দিন কুতুজের কাছে এসে আশ্রয় চায় এবং তার দলে যোগ দেয়। এতে সাইফুদ্দিন কুতুজের মনে স্বস্তি নেমে আসে কারণ এ অনেকটা পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন কুতুজের দরকার যুদ্ধ প্রস্তুতি আর উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা। অপরদিকে হালাকু খান সিরিয়ায় অবস্থান করে মিসর আক্রমণের পূর্বে সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজের কাছে চিঠি পাঠান যার মূল বক্তব্য ছিল এরকম, হয় আত্মসমর্পণ করো, নয়তো ফল ভালো হবে না।
চিঠিটা যে কতখানি ভয়ংকর তা পড়লেই বোঝা যায়, চিঠিটা ছিল এরকম, অন্যদেশগুলোর ভাগ্যে কী ঘটেছিল তোমার সেটা চিন্তা করে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত। তুমি শুনেছ কীভাবে আমরা বিশাল বিশাল সাম্রাজ্য জয় করেছি এবং বিশৃখলাময় দূষিত পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ করেছি। আমরা বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড জয় করে সেখানকার সব মানুষকে হত্যা করেছি। তাই আমাদের আতংকের হাত থেকে তুমিও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
তুমি কোথায় লুকাবে? কোন রাস্তায় দিয়ে পালিয়ে যাবে? আমাদের ঘোড়াগুলো যেমন তেজী, আমাদের শরগুলোও তেমন তীক্ষ্ণ। আমাদের তরবারিগুলো বজ্রের মত আর আমাদের হৃদয় পর্বতের মত শক্ত। মরুবালুকার মত আমাদের সৈন্যসংখ্যাও গুণে শেষ করা যাবে না। না কোন দুর্গ আমাদের আটকাতে পারবে, না কোন সৈন্যদল পারবে আমাদের রুখতে। তোমার আল্লাহর কাছে তোমাদের ফরিয়াদ আমাদের বিরুদ্ধে কোন কাজেই আসবে না। কোন শোকের মাতম আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারবেনা, না অশ্রু গলাতে পারবে আমাদের মন। শুধু যারা প্রাণ ভিক্ষা চাইবে তারাই আমাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে।
যুদ্ধের দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আগেই তোমার উত্তর পাঠিয়ে দিও। কোন প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে তার ফল হবে ভয়ঙ্করতম। আমরা তোমাদের মসজিদগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলব আর তোমাদের রবের দুর্বলতা সবার সমানে প্রকাশ করব তারপর তোমাদের শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করব। মনে রেখ এই মুহুর্তে তোমরা আমদের একমাত্র শত্রু।"
সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজের মাথায় ছিল যে মোঙ্গলরা কি করতে পারে। কিন্তু চিঠির উদ্ধত ভাষা তাকে রাগিয়ে তুললো। তিনি চল্লিশ জন বার্তাবাহক মোঙ্গল সৈন্যের শিরচ্ছেদ করলেন এবং শহরের বাইরে ঝুলিয়ে দিলেন যাতে মোঙ্গলরা উপযুক্ত জবাব পায়। এরপর যে যুদ্ধ নিশ্চিত তা সুলতান জেনে তিনি লেগে গেলেন যুদ্ধ প্রস্তুতিতে। আল্লাহভীরু সুলতান জানতেন এতো বড় বাহিনীর সঙ্গে লড়তে হলে আল্লাহর সাহায্যের কোনো বিকল্প নেই কারণ যুগে যুগে মুসলিমরা ঈমানের বলেই বিজয়ী হয়েছে, সৈন্য সংখ্যা ও রসদপত্রের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকার পরও।
তিনি তৎকালীন সময়ের হকপন্হী আলেম শাইখ ইজ্জউদ্দীন আব্দুস সালামের শরণাপন্ন হলেন। শাইখ আব্দুস সালাম সেসময়ের সেরা আলেমদের একজন এবং সকল আলেমদের কেন্দ্রবিন্দু। আল্লাহভীরু এই আলেম পরিচিত ক্রুসেড ও তাদের সাথে আঁতাত রচনাকারী শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আর এজন্য সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ও ছিলো অনেক বেশি।
সাইফুদ্দিন কুতুজ শাইখের কাছে পরামর্শ চাইলেন।শাইখ আব্দুস সালাম দৃঢ়চিত্তে বললেন, যুদ্ধ করো, আমি তোমাদের বিজয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে যুদ্ধ করতে বললেন। সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজের পক্ষে আব্দুস সালাম ফাতওয়া দিলেন আর তাঁর কথায় মুসলিমরা দলে দলে যোগ দিলো। সুলতান অর্থ সংকটের কথা জানালে আব্দুস সালাম পরামর্শ দিলেন বায়তুল মালের সব সম্পদ ব্যবহারের। এরপর বিত্তশালী মুসলিমরা তাদের সম্পদ ও দিলো তারই নির্দেশে। এমনকি তা যথেষ্ট না হওয়ায় প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর এক দিনার করে ট্যাক্স ধার্য করা হলো। এতে সুলতান ও যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারলেন।
সুলতান কুতুজ মোঙ্গলদের যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাদের ঘোড়াগুলোর ক্ষিপ্র গতি, তীরগুলোর দীর্ঘ পাল্লা আর তীর চালানোর দক্ষতা এবং শত্রুকে ফাঁদে ফেলে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে হত্যাযজ্ঞ চালানো—এসব মাথায় রেখে সুলতান তাঁর পরিকল্পনা সাজালেন। অপরদিকে এও জানতেন যদি শত্রুবাহিনী এগিয়ে এসে যুদ্ধ করে তবে মিসরে কি পরিমান তান্ডবই করতে পারে। তাই সবকিছু ভেবে তিনি নিজেই তাঁর বাহিনী নিয়ে এগিয়ে গেলেন আর যুদ্ধের জন্য বেছে নিলেন আইন জালুতের প্রান্তর, যা ফিলিস্তিনে অবস্থিত।
অবশেষে ১২৬০ সন মোতাবেক ৬৫৮ সালের ২৫ রামাদান সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ আল্লাহর উপর ভরসা রেখে মাত্র ২০ হাজার সৈন্যের ছোট্ট একটা দল নিয়ে মোঙ্গলদের প্রায় ২ লক্ষ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হন আইন জালুত প্রান্তরে। ইসলামের ইতিহাসের আরেক বীর কমান্ডার জহির উদ্দিন বাইবার্স কুতুজের দলে যোগ দেন।
অপরদিকে মোঙ্গলবাহিনীর নেতৃত্বে হালাকু খানের দক্ষ ও চৌকস সেনাপতি কিতবুকা। তিনি সরাসরি চেঙ্গিস খান থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাপতি আর তার ছিলো দীর্ঘ ত্রিশ বছরের ও বেশি যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। তাই কেউ যদি বলে হালাকু খান না থাকায় মোঙ্গল বাহিনী দুর্বল ছিল তবে তার ধারণা ভুল, তারা তখনও অপরাজিত ছিল এবং অপরাজেয় সেনাপতির অধীনে যুদ্ধের ময়দানে এসেছিল।
সুলতান মোঙ্গলদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি দল প্রেরণ করেন। ঐ দলটি যখন মোঙ্গলদের উপর নজরদারি করতে গিয়ে দেখতে পায় যে তারাও মুসলমানদের উপর নজরদারি করছে। আর এর মধ্য দিয়েই যেন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। সুলতানের এই অগ্রগামী ছোট দলটি প্রেরণের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল মোঙ্গলদের তাড়িয়ে নিয়ে আসা যুদ্ধক্ষেত্রে। আর এই দলটি সেই সিরীয় দল যারা একবার পালিয়েছিলো মোঙ্গলদের ভয়ে, তাই তারা যে মোঙ্গলদের তাড়িয়ে নিয়ে আসতে পারবে এ ব্যাপারে সুলতান নিশ্চিত ছিলেন।
মোঙ্গলরা চলে আসলো আইন জালুত প্রান্তরে, সবসময়ই বিস্তৃত প্রান্তরে পাশাপাশি অবস্থান করে যুদ্ধ করার অভ্যাস থাকলেও এখানে তারা এক ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো। সরু প্রান্তরে তারা সুলতানের সিরীয় সেনাদের ভেদ করে প্রবেশ করতেই ঘেরাও হলো সুলতানের বিশেষ বাহিনী দ্বারা যার নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার জহির উদ্দিন বাইবার্স। তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। চারদিক থেকে তীরবর্ষণ হতে লাগলো। মঙ্গোলদের বিশেষ কৌশলগুলো মাঠে মারা যেতে লাগলো।
যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুসলিমরা পিছু হাঁটলে তাদের মধ্যে কিছুটা ভয় দেখা দেয়।তখন সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ নিজ হ্যালমেটটি খুলে ফেলেন এবং তাঁর সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ওয়া ইসলামা! ওয়া ইসলামা! ওয়া ইসলামা! অর্থাৎ ইসলামের জন্য, ইসলামের জন্য, ইসলামের জন্য। এবং তিনি যুদ্ধের ময়দানে ঢুকে পড়লেন। এতটা দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বললেন যে, সৈন্যদের হারানো মনোভাব ফিরে এলো। এরপর আর কখনও যেন মুসলমানরা পিছিয়ে যায়নি যুদ্ধে।
মঙ্গোল সেনাপতি কিতবুকা নিহত হলো। একের পর এক মঙ্গোলের লাশ পড়তে থাকলো। যারা বধ্যভূমি রচনা করতো তারাই আজ যেন সমাধিস্থ হতে লাগলো।মুসলিম বাহিনী সেদিন ছয়শো কিলোমিটার তাড়া করে মঙ্গোলদের হত্যা করে। এভাবেই আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা থাকার প্রতিদান সেদিন মুসলমানরা পেয়েছিল, ক্রমাগত ধ্বংস হতে থাকা মুসলমানদের আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে রক্ষা করেছিলেন সেদিন আর আরেকবার দেখিয়েছিলেন যে আল্লাহর ওয়াদা সত্য, ইসলাম রক্ষার যুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য সত্য। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই বলেছেন, তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক। যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত কওমকেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে শহীদদেরকে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না। সূরা আল ইমরান:১৩৯-১৪০