বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূর্খরাই শিক্ষক

রাহমান চৌধুরী

প্রকাশিত : জুন ১৮, ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কতগুলো মূর্খকে শিক্ষক বানিয়ে রাখা হয়েছে। সংখ্যাটা প্রতিদিন বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূর্খ শিক্ষকদের দৌরাত্ম্য চলছে। তবে কিছু যোগ্য শিক্ষকও নিশ্চয় আছেন। আমি এ বিষয়ে গবেষণা করছি। আমার পর্যবেক্ষণ, আমার তথ্য সংগ্রহ থেকেই বলছি।

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য ও বার্ষিক প্রতিবেদন আছে আমার কাছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যে এশিয়ার তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না তার কারণটা কী? সর্বত্র যে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি, নিম্নগামী দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা কেন?

 

সমাজে শিক্ষিত লোকরা আছেন যারা, তারা অনেকই শিক্ষক হতে পারছেন না। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব মেধাবী শিক্ষকরা যোগদান করে মূর্খ শিক্ষকদের দৌরাত্ম্যে টিকছে পারছেন না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারছেন না যারা, পরে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন।

 

মূর্খ শিক্ষকদের যোগ্যতা একটাই, চাটুকারিতা করা। সত্যিকারের শিক্ষকরা অবশ্যই সম্মান পাবার যোগ্য, কিন্তু মূর্খ চাটুকার শিক্ষকরা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখেন, সত্যিকারের শিক্ষকরা সমাজে ঠিকই সম্মান পাচ্ছেন। বরং তারাই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মূর্খ চাটুকারদের কাছে সম্মান পাচ্ছেন না।

 

সমাজের সব সত্য তুলে ধরা, সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষকদের দায়িত্ব। সেখানে দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বললে, ঘুষখোরদের ঘুষখোর বললে দোষের কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান খারাপ কেন? কারণ শিক্ষকরা বেশিরভাগ মূর্খ। নাকি এ ব্যাপারে আপনি ভিন্নমত পোষণ করেন।

 

মূর্খ চাটুকার দলবাজ শিক্ষকরা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার কী হাল করেছে, তা আমরা অনেকেই প্রতিদিন সবাই টের পাচ্ছি যারা এ নিয়ে গবেষণা করছি। আপনি কি পাচ্ছেন না? যদি কেউ বলেন, বাংলাদেশের সরকারি অফিস-আদালতের প্রায় সর্বস্তরে ঘুষ দুর্নীতি চলছে, এটা কি মিথ্যা?

 

তাহলে এটা বলা যাবে না কেন? সেটা বলা কি দোষের? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজে একবার বলেছিলেন, ঘুষ না দিলে এদেশে ফাইল চলে না। মনে রাখবেন, সমাজে শুধু শিক্ষকরাই সম্মান পাবার যোগ্য নন, সকল পেশার মানুষই সমান সম্মান পাবার যোগ্য, যদি উপযুক্ত হন।

 

সবচেয়ে বেশি সম্মান পাবার কথা তাদের, যারা পরিশ্রম করে আমাদের মুখের আহার জোগান এবং যারা অনেক কম বেতন পেয়ে জীবন বাজি রেখে নানাভাবে আমাদের সেবা দিয়ে চলেছেন।

 

লেখক: শিক্ষক, গবেষক ও সাহিত্যিক