বিদ্যুৎহীন সচিবালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢুকলেও কোনো দাপ্তরিক কাজকর্ম হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে বাইরে অপেক্ষায় থাকা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের ভেতরে ঢোকেন।
কর্মকর্তারা জানান, ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেলেও কোনো কক্ষেই ঢুকতে পারছে না তারা। কারণ, অনেক দপ্তর তালাবদ্ধ। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ নেই। তাই সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকলেও সবাই যে যার মতো অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে, কেউ বসে আছে।
এর আগে গভীর রাতে আগুন লাগলে সকালের দিকে সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ রাখা হয়। সকাল থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসতে শুরু করে। কিন্তু গেটে পাহারায় থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছিল না। পরে আগুন নেভানোর পর একটি গেট খুলে দেওয়া হয়।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী, গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান, শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠতলায় আগুন লাগে। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। এরপর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন বলেন, “আগুনে ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বেশির ভাগ তলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।”
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।