বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রস্তাব গণমানুষের

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ০১, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা ৮ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের ৮ বিভাগের  ৪৪টি জেলায় সফর করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। সমন্বয়করা জানিয়েছেন, সভায় বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রস্তাব এসেছে।

এছাড়া রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি ও প্রস্তাব পেশ করেছেন তৃণমূলের মানুষ। এসব দাবি ও প্রস্তাব এক জায়গায় এনে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন তৈরি হলে আলোচনা করে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবেন সমন্বয়করা।

জেলা সফরে ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা’ শিরোনামে সভা হয়। প্রতিটি সভায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের কাছে রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজেদের নানা প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে।

জেলা পর্যায়ের মতবিনিময় সভা শেষে ২০ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আরেকটি মতবিনিময় সভা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা। এই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কীভাবে আরও সংগঠিত করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়।

জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া সমন্বয়করা বলেন, জেলা পর্যায় থেকে উঠে আসা বক্তব্য ও প্রত্যাশাগুলো লিপিবদ্ধ করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে এখন। জেলা সফর করে আসা সমন্বয়কদের ৮টি দলের সদস্যরা শিগগিরই একসঙ্গে বসবেন। সেখানে আলোচনা করে মানুষের প্রত্যাশার বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।

সমন্বয়করা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে যাতে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে ওঠে, সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বহু মানুষ।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম সফর করেছেন খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। তিনি  বলেন, “সবাই চাইছে পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে নতুন কিছু তৈরি হোক। দ্বিতীয় স্বাধীনতার অংশীজনদের সবাই চাইছেন দেশে আবার যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি জন্ম নিতে না পারে।”

বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় সংবিধান সংশোধন-পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। একইভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা রক্ষা করা, আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ তাদের নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে কাজ করার পরামর্শ এসেছে মতবিনিময় সভাগুলোয়।

এছাড়া চাঁদাবাজি বন্ধ, টেন্ডারবাজির রাজনীতির অবসান, শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারসহ স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়গুলো এসেছে।

সফরে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কথা শুনে আমাদের মনে হয়েছে, মানুষ একটা বিকল্প শক্তি চাইছে।”