সাঈফ ইবনে রফিক
বার্মিজ কফিতে মুখ পুড়লো আলাওলের
সাঈফ ইবনে রফিকপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
১.
রাখাইন বনে
বিপ্লবের এই দাবানল দেখে—
রাজা সন্ত্রুদাম্মা আলাওলকে ডেকে বললেন,
পদ্মাবতী বাদ দাও, ওখানে ব্রিজ হয়ে গেছে।
তুমি বরং নাফের দুঃখগাথা লেখো।
এখানে মহাকাব্যের ট্রাজেডি আছে
আছে প্রেম, প্রতারণা, অবিশ্বাস
ধূমায়িত কফিতে ভারি বাতাস
আর আফিমের মায়া।
২.
হত্যাকারীর পক্ষে অস্ত্র ধরেছে
গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া
একদল মানুষ; যারা নিছক যন্ত্র।
এমন জটিল সমীকরণের মুখে
তুমি যদি বিভেদের রেখা টানো হে আলাওল—
তাহলে মানুষও নিছক জীবজন্তু,
অথবা খেলনা।
মংডুতে দেখবে,
মানবাধিকার একটি মানববিধ্বংসী বোমার নাম।
৩.
নির্দেশনা পেয়ে চন্দ্রনারায়ণ সিংহের বাড়ি থেকে
বের হলেন মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ মুসলিম কবি।
প্যালেতায়ায় তখন বোমারু বিমানের তাণ্ডব
লণ্ডভণ্ড গ্রামে রক্তনদী থেকে
আলাদা করা যাচ্ছে না
রোহিঙ্গা-রাখাইন ডিএনএ!
আকিয়াবের পাখিরা মাতৃভাষা ভুলে গেছে
সবখানে বাজে স্বাধীনতার গান।
৪.
আলাওল এসে দেখলেন,
রোহিঙ্গা ফুলের মধু
লুট করে নিয়ে গেছে
বার্মিজ মৌমাছি!
পাল্টা হামলায় যখন
মৌচাকে ঢিল ছুঁড়লো আরাকান আর্টিলারি
দলে দলে রোহিঙ্গা ছুটে গেল
বুথিডং গ্যারিসনে।
তোমরা ভাবছো, ওরা বেঈমান।
অথচ ওরা জানে না, ঈমান কী?
আলাওলও এমন অপহরণের শিকার।
চোখের সামনে পিতা খুন,
সেই লুটেরা সময় আজও বহমান
এখানে ঈমান বলে কিছু নেই।