বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পিলার দিচ্ছে জলপাইগুড়ি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ০৮, ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেড়াহীন ১৬ কিলোমিটার এলাকায় পিলার নির্মাণ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সহযোগিতায় তারা এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারত ভাগের পর ১৯৪৭ সালে জলপাইগুড়ির নাওতারি দেবত্তুর, বড়শশী, কাজলদিঘি ও চিলাহাটি গ্রামগুলো ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকলেও সেগুলো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানচিত্রের অংশ ছিল।
পরে ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে গ্রামগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আইনি জটিলতায় গ্রামগুলো সংলগ্ন সীমান্তে ১৬ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দিতে পারেনি ভারত। এখানে কোনো সীমান্ত পিলারও ছিল না।
৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এসব এলাকার বাসিন্দারা অবিলম্বে সীমান্ত চিহ্নিত করে বেড়া দেওয়ার ও বিএসএফের টহল শুরুর দাবি জানায়। গ্রামবাসী জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায়, এসব কাজের জন্য জমি দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
তবে নতুন সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়, সীমান্ত এলাকায় থাকা বাড়িঘর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল ও ধর্মীয় স্থাপনা। গ্রামবাসী জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায়, যেন এমনভাবে বেড়া দেওয়া হয় যাতে এসব স্থাপনা বেড়ার ভেতরেই পড়ে। ৩ বছর ধরে প্রশাসন এই জটিলতা দূর করতে কাজ করে।
নতুন সমাধান হিসেবে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকা বেড়ার বাইরে পড়ে যাবে সেখানে যাওয়ার জন্য বেড়ায় বিভিন্ন পকেট গেট থাকবে। লোকজন সেখানে গিয়ে সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসবে।
জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন বলেন, “বাড়িঘর, ধর্মীয় স্থাপনা ও অন্যান্য অবকাঠামো যাতে বেড়ার বাইরে না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য তারা বিএসএফ এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভূমি জরিপ ও সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যথাসময়ে এই অস্থায়ী পিলার উঠিয়ে সীমান্ত চিহ্নিত করার জন্য ত্রিভুজাকার আকৃতির স্থায়ী পিলার প্রতিস্থাপন করা হবে।” সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া