বইমেলায় শাহেদ কায়েসের ভাষান্তরে ‘মুক্তিকামী মানুষের কবিতা’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪

কবি শাহেদ কায়েসের ভূমিকা ও ভাষান্তরে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবিশের ‘মুক্তিকামী মানুষের কবিতা’। বইটি প্রকাশ করেছে ‘বৈভব’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত।

বইটির প্রকাশক জানান, মেলায় বৈভব প্রকাশনীর ৬৪৩ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। দাম ২৫০ টাকা। মেলায় ২৫ ভাগ ছাড়ে ক্রেতারা বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

শাহেদ কায়েস বলেন, “মাহমুদ দারবিশ ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি। ১৯৪৮ সালের আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময় ইজরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের দারবিশের দখল করে নেয়। সেই সময় তিনি সপরিবারে পালিয়ে যান লেবাননে। তখন তার বয়স ৭ বছর।”

শাহেদ আরও বলেন, “সেই যে উদ্বাস্তু জীবনের শুরু, এরপর মাঝে-মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য দেশে ফিরে এসেছেন। কিন্তু প্রায় সারা জীবনই দেশছাড়া থাকতে বাধ্য হন। আজীবন কবি স্বপ্ন দেখেছেন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের। সাহিত্যজগতে মাহমুদ দারবিশকে আরব বিশ্বের কণ্ঠস্বর বলা হয়। তার কবিতাই আরবদের দেশপ্রেম ও সংগ্রামের ভাষা হয়ে ওঠে।”

কবি শাহেদ কায়েস বলেন, “কবিতাই ছিল কবির বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন, তার প্রতিবাদের অস্ত্র। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি কবিতা রচনা করেছেন। তার সাহিত্য, বিশেষত কবিতা প্যালেস্টাইনের জনগণের মাঝে ফিলিস্তিনি পরিচয়ের শক্তিশালী অনুভূতি তৈরি করেছিল, যা তাদের মাতৃভূমির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এখনও সহযোগিতা করছে। দারবিশ বেঁচে আছেন তার সৃষ্টিতে, তার কবিতায়, হাজারও বিপ্লবী ফিলিস্তিনির অনুপ্রেরণা হয়ে।”

ভাষান্তর প্রসঙ্গে শাহেদ কায়েস বলেন, “কবিতার অনুবাদ বেশ দুরূহ একটা কাজ। প্রতিটি ভাষার নিজস্ব একটা রিদম থাকে, ভাষার জাদু থাকে, অনুবাদে অনেকটাই তা অধরা থেকে যায়। ‘মুক্তিকামী মানুষের কবিতা’ গ্রন্থে কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতাগুলো আমি অনুবাদ করেছি ইংরেজি থেকে। ঠিক আক্ষরিক অনুবাদ নয়, কবিতাগুলো অনুবাদ করেছি ভাব ধরে। তবে যতটা সম্ভব মূলের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “কতটা পেরেছি জানি না, তবে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। বাকিটা পাঠকের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি। পাঠকের ভালো লাগলে আমার এই কাজ সার্থক বলে গণ্য হবে। আমি এই বইটি উৎসর্গ করেছি ফিলিস্তিনের জনগণকে, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছেন এবং লড়াই করছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য।”