ফেসবুকে তারেক মাহমুদের শেষ স্ট্যাটাস ছিল মৃত্যুকে নিয়ে

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৭, ২০২৩

মৃত্যু কী আকস্মিক! বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি ও অভিনেতা তারেক মাহমুদ। ওই দিনই ফেসবুকে তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস শফি আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে একটি স্ট্যাটাস লেখেন। তখন কি তিনি জানতেন, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাকেও চলে যেতে হবে মৃত্যুর হিমশীতল ঘুমে!

ডাকসুর সাবেক জিএস শফি আহমদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা


ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ডাকসুর সাবেক জিএস, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ত্যাগী রাজনীতিবীদ শফি আহমদের আজ ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এইদিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শফি আহমদ ১৯৩৯ সালে পাবনা জেলার পৈলানপুরে জন্মগ্রহন করেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র পৈলানপুরে তার পৈত্রিক বাড়ির নাম ‘সাবের মঞ্জিল’। তার রাজনৈতিক জীবনে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন সততা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়ে।

অল্পবিস্তরে তার রাজনৈতিক পরিচয়ে উল্লখ করা যেতে পারে। তিনি ছিলেন পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে ছাত্র ইউনিয়নের পাবনা জেলার সাধারন সম্পাদক, ১৯৬১-৬২তে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক, বাষট্টির শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বিরোধী আন্দোলন, মৌলিক গনতন্ত্রীদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফাতেফা জিন্নাহর পক্ষ অবলম্বন, রাজশাহীতে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কালো পতাকা প্রদর্শনে নেতৃত্ব দান ও পুলিশের লাঠিচার্জ আহত, ৬৬এর বঙ্গবন্ধুর ৬দফা আন্দোলনে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, ১৯৬৬-৬৭ ডাকসুর জিএস, ১১ দফা আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা, ১৯৭২ সালে পাবনা জেলা ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭৩ সালে পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহন এবং বিজয়ী হয়েও পরাজিত।

এছাড়া  বাংলাদেশ-আফগান মৈত্রী সমিতির সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নিজেকে গভীরভাবে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন শফি আহমদ।

আজ তার চলে যাওয়ার এইদিনে দেশপ্রেমিক লড়াকু যোদ্ধা শফি আহমদকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই।