ফারুকীরা কিভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন: সারজিদ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১৬, ২০২৪
ফারুকীরা কিভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত জুলাইয়ে নিহতদের পরিবারের মাঝে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
সারজিস আলম বলেন, “ফারুকী তার পুরো সময়ে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য যেভাবে তোষামদি করার দরকার, তা করেছেন। এই ফারুকীরা কিভাবে এই উপদেষ্টা পরিষদে আসেন! এরকম কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও গা বাঁচিয়ে চলা লোকজনকে আমরা উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই না।”
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৩ উপদেষ্টা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে কাউকে উপদেষ্টা করা হয়নি। ৩ বিভাগ থেকে কি একজনও নেই, যিনি মন্ত্রণালয় চালানোর যোগ্য? অঞ্চলবৈষম্য আমরা সমর্থন করি না।”
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ বলেন, “আমরা দেশ নিয়ে ভাবছি। অঞ্চলভিত্তিক ভাবনাগুলো আমাদের সংকুচিত করে দেয়, সংকীর্ণ করে দেয়। আপনারা আঞ্চলিকভাবে চিন্তা করবেন না। এটা যদি করেন, তাহলে আপনারা নিজেদের ছোট করে ফেলবেন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা যাদের মনে করেছেন উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত করা দরকার, তাদের যুক্ত করা হয়েছে। কাউকে ছোট বা বড় করে নয়। আমাদের সমালোচনা করুন। আমরা সেগুলো শুধরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
পরে জুলাই-আগস্টে রংপুর বিভাগের সব শহিদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতার চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, জুলাই শহিদ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ।