প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বহিষ্কার করলেন নেতানিয়াহু

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এখন থেকে ইসজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাঈল কাৎজ, আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ও এমপি গিদেওন সা’আর।

বিবিসি, টাইমস অব ইসরাইলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্ব এবং তার জেরে পরস্পরের প্রতি আস্থার সংকট থেকেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন নেতানিয়াহু।

এ প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‌“আমার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যকার আস্থা ভেঙে গেছে। তার (গ্যালান্ত) সঙ্গে আমার যেসব মতপার্থক্য ছিল, সেসব নিরসনের জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেসব চেষ্টা কোনো কাজে তো আসেইনি, উপরন্তু জনগণের সামনে খুবই অগ্রহণযোগ্যভাবে প্রকাশিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতপার্থক্য শত্রুদেরও নজরে এসেছে এবং তারা এটি উপভোগের পাশাপাশি এ থেকে ফায়দা তোলারও চেষ্টা করছে। তাই আমার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।”

ইয়োয়াভ গ্যালান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেন, “যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, যতদিন বেঁচে আছি— আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন থাকবে ইজরায়েল ও তার নাগরিকদের নিরাপত্তা।”

পরে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যালান্ত বলেন, “তিনটি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতানৈক্য চলছিল আমার। এই ইস্যুগুলো হলো— অতি রক্ষণশীল ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি, হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহু এবং মন্ত্রিসভায় তার অনুগতদের উদাসীনতা ও হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার দাপ্তরিক তদন্ত শুরু করা নিয়ে নেতানিয়াহুর গড়িমসি।