পুরো দ্বীপে একাই বসবাস ৮১ বয়সী বৃদ্ধার
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। প্রায় ২৩০০ মিটার উঁচু একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এ দ্বীপের কাছে সমুদ্রের নিচে। দ্বীপটিতে বসবাস করেন কিম সিন ইওল নামের ৮১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। এছাড়া সেখানে আর কোনো মানুষ নেই।
অবশ্য এর আগে তার সঙ্গে থাকতেন তার স্বামী। তারা ১৯৯১ সাল থেকে একসঙ্গে দ্বীপটিতে বসবাস করতেন। কিন্তু ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একাই এখন দ্বীপের বাসিন্দা।
কিম একজন ফ্রি-ডাইভার। ২০১৭ পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে প্রায়ই তিনি ডুব দিতেন। তবে অসুস্থতার কারণে বছর দু’য়েক আর এ কাজ তিনি করতে পারে না। জাপানে এ দ্বীপটাকে তাকেশিমা বললেও কোরীয়রা বলে ডোকডো দ্বীপ। লিয়ানকোর্টস রক নামেও দ্বীপটি পরিচিত বহির্বিশ্বের কাছে।
বেশির ভাগ সময়ই ঝড়বৃষ্টির কারণে আশপাশের জগৎ থেকে দ্বীপটি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। ৭০ দশক নাগাদ ডাইভারদের বেশ কিছু পরিবার এ দ্বীপে থাকত। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে দ্বীপটি।
কিমের নাতি বলেন, “দাদির কাছে দ্বীপটি শান্তির একটি জায়গা। তাই তিনি এখানে থাকতেই ভালোবাসেন।”
কিম বলেন, “দ্বীপে একা থাকতে কোনো একাকিত্ব নয় বরং বেশ শান্তিতেই আছি। মাছ ধরেই আমার বেশির ভাগ সময় কেটে যায়। নিজের ছেলে ও পুত্রবধূকে দ্বীপের বাসিন্দা করতে চাই। নাবিক, পর্যটক, পুলিশ ও লাইটহাউস অপারেটরসহ অনেকেই এ দ্বীপে বেড়াতে আসে। তাদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করে দিব্যি চলে যাবে।”
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এ দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে তিনশো বছর ধরে। দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও বানিয়েছে।