পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৯ বস্তা টাকা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ৩০, ২০২৪

কিশোগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা। এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, “এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এবারেও তাই ১টি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।”

এর আগে ১৭ আগস্ট ৩ মাস ২৭ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খুলে ২৮ বস্তা টাকার গণনা শেষে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকাল ৭টায় মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে এতে ২৯ বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন টাকা গণনার কাজ চলছে।

কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুবেল মাহমুদ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদরাসার প্রায় ২৮৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৮৫ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করেন।