
‘নেতানিয়াহু গাজায় অনাহার অভিযান ঘোষণা করেছেন’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : এপ্রিল ২৬, ২০২৫
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্টতই গাজায় অনাহার অভিযান ঘোষণা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয় সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান মাইকেল ফাখরি।
মাইকেল ফাখরি বলেন, “নেতানিয়াহু স্পষ্টতই গাজায় অনাহার অভিযান ঘোষণা করেছেন। এই অবরোধের কারণে ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলে সব ধরনের খাদ্য, পানি ও ওষুধ প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রায় দুমাস ধরে সেখানে কোনো ধরনের খাবার প্রবেশ করতে পারছে না। এতে তীব্র অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের মার্চ এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গাজায় অনাহার ও দুর্ভিক্ষের বিষয়টিকে গণহত্যার প্রেক্ষাপটে স্বীকৃতি দেয় এবং আমরা আবারও এটি দেখতে পাচ্ছি। ৩ মার্চ নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, ইজরায়েল গাজায় সব ধরনের পণ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করবে। এটা ৫০ দিনেরও বেশি আগের ঘটনা। এই পরিস্থিতি এখনও চলমান রয়েছে।”
ফাখরি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এমন কোনো শর্ত নেই যেখানে কেউ বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিতে পারে। সুতরাং, ইজরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক সহায়তাকে দর কষাকষির উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েল গাজায় মানবসৃষ্ট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনাহার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, সেখানে মজুত থাকা খাবার একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। গাজায় জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন।”
গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যেও নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, গাজাজুড়ে শুক্রবার সকাল থেকে হামলা চালায় ইজরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
দখলদার বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। প্রায় ১৮ মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৫১ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জন। সূত্র: আল জাজিরা