নভেরা হোসেনের কবিতা ‘বৃষ্টির নির্জনতা’

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০

এক.
ঝিররঝির নয় ক্যাটস অ্যান্ড ডগ
একটা সাদা বাস মুষল বৃষ্টিতে
একাকী ভিজতে থাকে
ছাতা হাতে পুলিশ, গোলাপি স্কার্ট নারী
রোজ নিয়ম করে বৃষ্টি নামে
আজকাল মরুভূমিতেও অনেক বৃষ্টি হচ্ছে
ইশারা খাজ্জানের দোতলায়
নীল মুখ মেয়ে কফি হাতে বসে থাকে
পাশের দরজায় মিশরীয় যুবক
মুখোশের আড়ালে ঢাকা পড়া চোখ
আলতামিরার গুহাচিত্র এখন ওল্ড ফ্যাশন
সিগারেট হাতে নারী তেহরানের দেয়ালে দেয়ালে
চেন্নাই ট্রেন খুব লেট করছে
তূর্ণা নিশীথাও
এরা কখনো পরস্পরকে ক্রশ করবে না
দূর থেকে কেটে চলে
হাতের কব্জি
তর্জনীয় ঝড়

দুই.
রোদ ভালো লাগে না
বৃষ্টি? তাও বেশিক্ষণ না
তোমার লম্বা হাত যখন পিঠ ছুঁয়েছে
ভালো লাগছিল
চুল ছুঁতেই ভালো লাগল না
অপেক্ষার শেষে যে দ্রাক্ষাফল ঠোঁটে নেই
ঠোঁট ভিজে যায়
তুমি ভেজো না আমিও না
বেশিক্ষণ তোমাকে ভালো লাগে না
বেশিক্ষণ আমাকেও ভালো লাগে না...

তিন.
প্রিয়তম শহরে আজ বৃষ্টি নেমেছে
সুউচ্চ মিনার, বৃক্ষ, স্বচ্ছ কাচ
ধুয়ে যাচ্ছে জলের ধারায়
তোমার চোখ হৃদপিণ্ড,
কড়ে আঙুল সব ভিজে চুপচুপ
শহরের বুকে আজ বৃষ্টি নেমেছে
একটা জর্দার কৌটো, সিলিকন চিপ
শাড়ির অর্ধভাঁজ,
   কালো স্তন                                                            
        বৃষ্টিতে ভিজছে
রিকশার হুট, গ্যাস পাম্প, কনডমের প্যাকেট          ভিজছে
এবং তুমি, তোমরা
যারা আজ নেই এবং আছো                      
  সকলেই ভিজছো প্রখর বৃষ্টিতে।