দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৩, ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী মজুদ এখন ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। এর আগে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) মতে মজুদ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

আরিফ হোসেন খান বলেন, “বর্তমানে রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় থাকতে হবে। আশা করছি, সংস্থাটির শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হবো।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির শর্তপূরণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে। সংস্থাটির শর্তানুযায়ী, জুনে নিট রিজার্ভ-এনআইর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি যেখানে নিট মজুদ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের রয়েছে।

এর আগে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস মজুদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডকার বা ২ হাজার ৫৬৩ কোটি ডলার ছিল। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী মজুদ ছিল ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৪৬ কোটি ৫ লাখ ডলার।

এর আগে মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস মজুদের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। মার্চ মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।