দেশ গড়ার সুযোগ কাজে লাগাতে চাই: ড. ইউনূস

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ২৫, ২০২৫

গণঅভ্যুত্থান দেশ গড়ার যে সুযোগ এনে দিয়েছে সেটি কাজে লাগাতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হাজারও শহিদ ও আহত, যারা বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের প্রতি সারা জাতির পক্ষ থেকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে। সেই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “আজ মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত এক হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের আজকের রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরপরাধ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হাজারও মানুষকে হত্যা করেছে। ২৫ মার্চ থেকেই এ দেশের মানুষ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ৯ মাসের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নির্যাতিত নারীর আত্মত্যাগ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্ম দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের এই বীরদের প্রতি আমার সালাম।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোর ব্যবস্থা নিয়েছে। রমজান ও ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জিনিসপত্রের দামের লাগাম টেনে ধরা, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ রমজানে যাতে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে না যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “রমজান মাসজুড়ে সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। দেশের সব জায়গা থেকে খবর এসেছে যে, এই রমজানে দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কমেছে; জনগণ স্বস্তি পেয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে।”

ঈদ সবার জন্য আনন্দদায়ক হোক সেই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানান।