দেবাশীষ তেওয়ারীর ৩ কবিতা

প্রকাশিত : মার্চ ১১, ২০২৫

ছায়া-বাস্তবতা

ব্যালকনিতে ড্রোনের আলো, হয়তো এখন
নিকেলের সূর্যমুখিগুলি চন্দ্রমল্লিকা হয়ে উঠবে।
 
ব্লকচেইনের জলে অ্যালগরিদম,
আ্যাকুরিয়ামে।
মাইক্রোচিপের ধূলায়
কোয়ান্টামে ফুটে থাকা, ও ছায়ার রাতফুল।

নেই, তবু আছে

ইন্সটায় পোস্ট হওয়া নাকফুলে:
হৈমবতী ও অনেক ফ্র্যাক্টালের ঘ্রাণ হিমালয় ব্লগে।

ন্যানো টিউবের শিরা গলে
ধাতব মেঘের দলে মিশে, বুঁদ হয়ে আছে গান,
কোথাও অবয়ব নেই, এই ছায়ায়
আমি আমারই অ্যাভেটার।

ইনফেরনো

ডান চোখ তীব্র খুব,
ডান পা গতিতে অন্ধ
ডান হাতের নাম আজ প্রিন্সেস ডায়না।
বাম চোখে ছানি, লাজে মরে,
বাম পা দ্বিধাতে বন্ধ
বাম হাতের নাম তাই রানি রানিয়া।
ওহো,
পৃথিবীর দুই চাঁদ:

স্বর্গ ও নরকের সমকোণে সকালের একটা কাঠবিড়ালী
বাদাম বোঝাই জাহাজের সাইরেন ছেড়ে গেলে
হাতড়িয়ে পায় সুরঙ্গমুখ: একটা-দুইটা বাদাম
তাই খেয়েপরে থাকা সারাদিন
আহা! শীতকাল।
জুড়ে থাকো এই শীতঘুম...

মহিষের শিং

প্রত্ন একজোড়া মহিষের শিং, একে স্থাপিত করেছো জাদুঘরে
দুইদল মানুষের য়ুদ্ধে খুন হয়েছিল। ডিএনএ বলছে হাজার বছর

ভূগোল বদলে দিলে ইতিহাস বদলে যায়। ইতিহাস বদলালে বদলে ভূগোল
বদলাও যত খুশি। বদলে জাদুঘরের নাম, বদলে প্রণামের দিক
মন্ত্রিসভা ভেঙে ৫ ভাগ করে দিয়ে, দিতে বলো শিং থেকে মহিষ আদল

ভাড়া করে আনা জাদুকর, চিত্রকর, গবেষক, যন্ত্রবিদ ও সমবেত সকল
শিংজোড়া দিয়ে জাদুঘরে, একটা মহিষ আনো অবিকল

ক’জন জুয়াড়ি, মহিষে ধরেছে প্রাণবাজি। আমিও তাদের দলে
এখনও গাইছি মেঘের গান, মেঘ-মল্লারের বদলে