দেবাশীষ তেওয়ারী
দেবাশীষ তেওয়ারীর ৩ কবিতা
প্রকাশিত : এপ্রিল ১৯, ২০২৪
পতন
মারিয়নের কুকুরটার বোল
কাঠঠোকরার মতো ঠুকরে চলেছে রাতের বাকলে।
রক্ত বয়ে যায়। নৌকাবোঝাই; রস ও রসদে।
মোহনায় ছাইলিপি উল্কির ঈগল
সূর্যের জরায়ু ফুঁড়ে
উড়ে উড়ে নিকটে আসতে থাকে পৃথিবীর
এই তো পটভূমি, জেগে ওঠার।
জলপাই বন খুব আলোক শিকারি, মাটিবর্তী অন্তরীক্ষ।
ছোট ঘাসফুল, এই পরিচয় গালিচার গাঁথা।
তুমি তখন, দু‘হাতে
পাজামা টান দিয়ে ধরে, পা রেখেছো রক্তনদীর জলে
পুরুষকাঠ
গলায় আটকে আদম-আপেল! ওকে আদালতে নাও
প্রতীক্ষা কেন করবে?! জানো না কি? যাও মানে যাও!
তুমি তো আসবে না। না মানে না।
লিঙ্গলুপ্ত বসন্তে নারীরা নারীই তবে, পুরুষের পুরুষ হওয়া মানা।
মানুষের চাষাবাদে খুঁজে পাই পিতা-প্রপিতার পাপ,
দিন শেষে মা তিনি, আমি ফেনা ছুঁড়ে দেয়া গুইসাপ।
পুরুষকাঠের আগুন, একে জ্বলতেই দাও
সাপের তো ফেনাই সম্বল, কিছুটা কাবাব ঝলসে নাও
বাজে মরা কাঠ, একে তো কেউ মারেনি!
দাঁড়িয়ে রয়েছে হাহাকার, একা একা ডালহাত ছড়িয়ে
সারাটা দুপুর দাঁড়িয়ে রয়েছো, তবু পুলিশে ছাড়েনি!
ফেনামেঘ উড়ে গ্যাছে, আহরিত তালপাতা জড়িয়ে।
মা ভাত দাও, মা ভাত দাও। চলছে মন্ত্রপাঠ
বেলা পরে এলো। চূলার নিকটে পড়ে আছে বাস্তুকাঠ।
যে ভাস্কর্য উন্মোচিত হবে
অভিমানে গলায় দড়ি দিতে যাওয়া ম্যাথিউসের
কাছে গিয়ে দাঁড়াই। কুড়ানো কাঠবাদাম দুটো খেতে দিয়ে বলি, চলো আরেকবার একটা
বুনো শুয়োর তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মাঝরাতে ডেকে তুলি নাতাশার
বাবাকে।
দৌড়াতে দৌড়াতে চিবুকে স্মৃতির মহিমা আরও আরোপিত হলে চোখ চকচক ম্যাথিউস
ভয়াবহ মাংসাশী হয়ে ওঠে, আত্মহত্যা প্রবণ নয় শুধু হননপ্রিয়
বৃষ্টির সে বিকেলে, খাদের কিনারে এসে আমরা হাঁপিয়ে উঠি, শিকার ও শিকারির
অস্তিত্ববোধ পরম রিরংসার
রুদ্রায়তন থেকে নৌকা খুলে দেয়: দ্যাখো চলে যাচ্ছে...
আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে ম্যাথিউস।
কাঁদতে কাঁদতে ম্যাথিউস মূর্তি হয়ে যায়।
খাদের কিনারে।