
থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতার হামলায় দুই শিক্ষার্থী আহত
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ২২, ২০২৫
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের ওপর হামলার বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্র প্রতিনিধি ইলমান ফারাবিসহ কয়েকজন। আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে সদর মডেল থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সৈকতসহ তার লোকজন ফারাবিদের মারধর করেন। এতে ২ শিক্ষার্থী আহত হন।
এর আগে পৌর শহরের বাইশমারা এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে রিকশা ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেশিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারকে মারধর করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র প্রতিনিধি ফারাবিসহ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। পরে তারা সদর মডেল থানায় বিচারের জন্য এসে জড়ো হয়।
এ সময় থানার ভেতরেই তাদের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সৈকতসহ তার লোকজন তাদের মারধর করেন। এতে ফারাবিসহ ২ জন আহত হন। এ ঘটনায় তারা বিচারের দাবিতে থানা গেইটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আহত অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক একেএম ফরিদ উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তারা কোনোভাবে শান্ত হচ্ছিল না। পরে ঘটনাটি নিয়ে ওসির কক্ষে বৈঠকে বসেন পুলিশ ও যুবদল-জামায়াতের সিনিয়র নেতারা।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সৈকত বলেন, “রিকশা ভাড়া নিয়ে পলিটেকনিকের সামনে এক ছাত্রের ওপর হামলার ঘটে। এতে তারা পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বিপ্লবকে দোষারোপ করেন। তাকে ধরে এনে মারধরের হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি জানতে থানায় আসলে তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তেড়ে আসে। এ সময় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “পলিটেকনিকের সামনে ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অটোচালক আটক আছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরের হামলার ঘটনায় দলীয়ভাবে সমঝোতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”