তানভীর রাতুলের খুদে গল্প
প্রকাশিত : জুলাই ১৮, ২০২৩
পূর্বজন্ম
গত মাসের এক দাওয়াতে মীর জাফরের সঙ্গে দেখা। কথাচ্ছলে সে বলল, ভাই, আগের জন্মে আমি তোমাকে চিনতাম। তখন তুমি মেষপালক ছিলে।
তাই নাকি? আমি বিস্মতি। বললাম, ব্যাপারটা শুনতে তত খারাপ না, বেশ ভালোই তো।
সে বলল, আসলে তুমি ছিলে সন্ত্রাসীদের প্রতিপালক যে কিনা চলাফেরায় দেখতে রাখাল বালক।
এমন কিছু করার কথা নয় আমার, দেরি হয় না আমার জবাব দিতে।
হ, সে বলে, কিন্তু তুমি তোমার সাত সন্তান আর তিন বউকে আদর করতে বহুগুণ।
তিন স্ত্রী? আমি অবাক।
সে বলে, তবে তুমি অন্যদের দিয়েই করাতে গুমহত্যাখুন।
ওহ! তারমানে আদতে স্বভাব ভালো, তাই না? আমি জিজ্ঞাসা করি।
শুধু ব্যতিক্রম যখন কেউ তোমার দেওয়া সীমা অতিক্রম করে। সাবধান! এমন কিছু নেই যা তোমার
সাধ্যের বাইরে: আঙুলের নখ বা চোখ উপড়ে ফেলা।
বালছাল কথা বন্ধ কর এবার, আমি চিল্লাই। আর লোকটার চোখে খোঁচা মারার ভঙ্গি করে যেই না এগিয়ে এক কদম যাই, সে ভয়ে লাফিয়ে উঠে বলে, নির্ঘাত তুমিই সেই।
আরে সে তো অনেক জনম আগের কথা। আমি বললাম, আর হাত বাড়িয়ে দিলাম, আপনাকে তামাক খাওয়াই, চলেন।
উনি বললেন, বানিয়ে বলছি না কিন্তু।
আমি বলি, আমারও বানানো নাই।
আতিথেয়তা ও প্রতিশোধ
তোমার পড়শি বাড়িতে আসে তোমার মালটাল খাওয়ার ডাকে। সে ভুলে তোমার ঈদ নিয়ে উল্টোপাল্টা কিছু বলাতে তুমি তাকে গুলি করো, তিনবার, একদম মুখ বরাবর। তুমি তার প্রথম ছেলের কাছে কার্পেটের দাগ ওঠানোর দাম চাইতেই সে একদম
না ভেবেই তোমাকে গুলি করে, পাঁচবার, মুখের উপর।
এরপরে, তোমার জানাজা শেষে তোমার বড় ছেলে ওকেও গুলিবর্ষণ করে। তোমার বউ প্রতিবেশীর বিধবাকে দাওয়াত দেয় চায়ের আসরে।