ডিপ্রেশন কেন হয়

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ০২, ২০২৪

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মানসিক স্বাস্থ্যগত একটি অবস্থা। এটি উদ্বেগের পাশাপাশি বিকাশ লাভ করে। ডিপ্রশন স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী উভয়ই হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, দুঃখ, আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলা, অপরাধবোধ, নিজেকে মূল্যহীন লাগা, ঘুম ও ক্ষুধায় বিরক্তি, ক্লান্তি, দুর্বল মনোযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো ডিপ্রেশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই ডিপ্রেশনের। বিভিন্ন কারণেই ডিপ্রেশন হতে পারে। চলুন জেনে নিই ডিপ্রেশনের প্রচলিত কিছু কারণ-

হরমোনের পরিবর্তন
হরমোনের কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- খিদে কমা, ঘুমের অভাব এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের পরিবর্তনের জন্য দায়ী। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরে হরমোন কম বা বেশি উৎপন্ন হয়। এছাড়া নারীর ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের পরিবর্তন, যা মাসিক ঋতুস্রাব, প্রসব পরবর্তী ঋতুস্রাব, পেরিমেনোপজ বা মেনোপজের সময় হয়ে থাকে; তা ডিপ্রেশন ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

শারীরিক অসুস্থতা
অনিদ্রা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসারসহ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ব্যথা
যারা দীর্ঘসময় ধরে মানসিক বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ব্যথা অনুভব করেন তাদেরকে ডিপ্রেশন ঘিরে ধরে।

মস্তিষ্কের রসায়ন
মস্তিষ্কের যে অংশ মনঃমেজাজ, চিন্তা-ভাবনা, ঘুম, ব্যবহার ইত্যাদি পরিচালনা করে, সেখানে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ডিপ্রেশন হতে পারে।

শৈশবের ট্রমা
খুব ছোটোবেলার কোনো স্মৃতি যা এখনও মনে ভয়ের সৃষ্টি করে, সেগুলোর কারণে ডিপ্রেশন হতে পারে।

এসব কারণ ছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে যেগুলো ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। চলুন জেনে নিই কোন বিষয়গুলো আমাদের ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয়-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে ডিপ্রেশনের প্রকোপ দ্বিগুণ বেশি।

আর্থিক সমস্যা, নিম্ন সামাজিক অবস্থা ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ভিটামিন ডি-এর অভাব ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।

ঘুমের ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, কর্টিকোস্টেরয়েড এবং বিটা ব্লকারসহ কিছু ওষুধ বিষণ্ণতার বর্ধিত ঝুঁকির সাথে যুক্ত হতে পারে।

মাদক সেবনেও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।

মনে রাখবেন, মানুষ ভেদে ডিপ্রেশনের লক্ষণ আলাদা আলাদা রকম। তবে ডিপ্রেশনে থাকলে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।