জিনাত জাহান খানের তিনটি কবিতা
প্রকাশিত : জুন ১৭, ২০২১
অবধারিত
যারা উৎখাত হয়েছে, সূচনা ছিল তাদের উপসংহারে ঘেরা। এসেছো, ভূমিকা হয়ে থাকো। আমি অস্ত্র ব্যবসায়ী। গোলা-বারুদের ভাণ্ডার হয়ে আমাকে ঋদ্ধ করো। নদীর তলদেশে ঘুরতে গিয়ে শ্যাওলার সাথে জীবন পেঁচিয়ে লাভ করেছি হাঙরের সখ্য। যারা আছ কিনারে, তারা বুঝবে না, প্রেমিকের ঝাঁঝাল দাঁতের গভীর আকুতি।
আমি অবুঝ হয়েছি বোধগম্যতায়। গভীর দুর্যোগেও চূর্ণ করিনি তার ইশারার ব্যাপ্তি।
একাত্মতা
আমার শৈশবে তুমি এসেছিলে, উড়ন্ত কাছিম। স্কুলব্যাগে রেখে যখন আড়াল করেছি, তখন বাবার রুম থেকে ঢেউ উঠে আসত। আমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাইত তীরের গতিপথ থেকে। মায়ের হারমোনিয়াম আমাকে ইরেজারের উৎস খুঁজে দিত। তারা বুঝত, আমি তোমাকে মুছে ফেলেছি। তারা জানত না, আরও কোথায় কোথায় তুমি ঘনিষ্ঠ হয়েছো এই বাঘিনীর একাগ্রতায়!
আড়াল
টগবগা রোদ শরীরে নিয়ে আমি সাদা কাগজকে এড়িয়ে গিয়েছি। কারণ চেয়েছি সে বেঁচে থাকুক তার আগুন সহ্যের ক্ষমতা নিয়ে। মোটা গ্লাসে চোখ রেখে কেউ একজন আড়াল হয়ে আমাকে দেখছে। বাদুড়ের কালো পাখাকে মর্মর ফলক থেকে সরিয়ে ফেলা হলে মনে হতে পারে, জীবন এভাবেই ফুটে থাকে। আরও কাছে গিয়ে পলকহীন দেখলে বিরল নখাঘাতের চিহ্নকে ফুলের রেণু ভাবলেই ভ্রম সৃষ্টি হবে। বিভ্রম মানুষকে ভ্রমণের আনন্দ দ্যায়। সজাগ প্রহরীর চোখ বেঁধে আমি ফিরতে চেয়েছি প্রবাল দ্বীপে। যেখানে পাথর সহ্য করেছে তরলের আয়তন; যেখানে মানুষ সহ্য করে নেয় মানুষের আয়তন...