জাল

পর্ব ১

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৯, ২০১৯

সূর্যের আড়মোড়া ঘুমে জেগে উঠে সকাল, ঝকঝকে আকাশটা তখন দাঁতের ঝিলিক দিয়ে উঠে। সারাদিনের ক্লান্তি, পরিশ্রম, অভিশাপ নিয়ে যখন ঘুমের প্রস্তুতি নেয় তখন আকাশের বুকে সাদা আলো জ্বলে উঠে। ঘুমের এক প্রশান্তি ছেয়ে যায় পুরো আকাশে, আত্নাগুলো বেরিয়ে যায় সন্তর্পণে।   

 

গ্রামের পুকুর পেড়িয়ে মমতাজ মেম্বারের বাড়িতে আজ দুনিয়া ভেঙে পড়েছে, গ্রামের মেম্বার মমতাজ মিয়ার বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। দুনিয়া কাঁপিয়ে চিৎকারে কেঁদে উঠছে মমতাজ মিয়ার বউ, পাশে বসে থাকা মমতাজ মিয়ার ছোট ছেলে-মেয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে।

 

গতকাল রাতে মেম্বারের কলেজ পড়ুয়া বড় মেয়ে ‘পরী’ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে! বাড়ির উঠোনের মধ্যে দাড়িঁয়ে গ্রামের মানুষ আর পাড়া-পড়শি কানাকানি করে ভিন্ন ভিন্ন মনগড়া অপবাদ আর কুৎসিত রটনা রটিয়ে বলে যাচ্ছিলো তখনো, বলে যাচ্ছিলো – “ওত্তো ডাঙ্গর মাইয়া ফাঁস লাইগাছে! মনো হয় মুহে চুন-কালি মাখায়া শেষমেষ দড়ি...”, “কলেজের পোলাগো লগে ফস্টি-নস্টি কইরা সবকিছু ডুবায়া ওখন....”, “মেম্বাররে আগে কইছিলাম যে, মাইয়া ডাঙ্গর হইছে। বিয়া দাও, হুনলো না আমার...”   

 

মমতাজ মিয়া ঘরের বাইরে চেয়ারে বসে নিঃশব্দে সবকিছু শুনছিলো আর নীরবে দু’দন্ড অশ্রু সিক্ত করছিলো। হাতে কুঁচকে থাকা কাগজের উপর যখন নজর পড়তো, তখন মিন মিন বলতে থাকতো– তুই মা খালি আমারে একটা বারের লাইগা কইতি, আমি সবকিছু ঠিক কইরা দিতাম..মা রে...তুই কেন এমন করলি?

 

গুমোট পরিবেশে সবকিছু যেন থমকে গেছে, অস্তিত্ব সংকটে বিলীন হয়ে যাচ্ছিলো আত্মার সত্তাগুলো।  

“ঐ রাসেল? কি দেহোস এমনে তুই?” বাড়ির পিছনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ায় পিছন থেকে বলে উঠলো রফিক।

“গেরামে আইজকা অভিশাপ লাগছে। মরণের লীলাখেলা চলতাছে...” রাসেল বলে উঠলো।   

“মানে?” রফিক ভাঙা গলায় জিজ্ঞেস করলো।

“আমাগো রহিম মাস্টারের পোলাডাও কাইল রাইতে গলায় দড়ি লাইগাছে। পড়ালেহাও পোলাডা ভালা আছিলো। কেন যে মইরা গেলো.....” আফসোস করতে করতে বললো রাসেল।

“তুই এতো কিছু জানোস কেমনে? আর তোরে এতো কিছু জানতে কইসে কেডায়?” বিরক্তির সুরে বললো রফিক।

“আরে, মাইয়াডারে  কাইলকেও নদীর পাড়ে দেখছিলাম। তবে লগে কেউ একজন আছিলো...” আফসোসের সাথে বললো রাসেল।

“তোর ঘরের বউ লাগে মনে হয়? মরলে মরছে। চল, দেরি হইয়া যাইতাছে। ট্রেন ছুইট্টা যাইবো কইলাম...” বলে টেনে রাসেলকে নিয়ে যায় রফিক।  

“আমার মন কইতাছে..কেউ ‘পরী’ কে খুন করছে...” বিড়বিড় করে বলতে লাগলো রাসেল।

 

রফিক হাঁটা থামিয়ে দিয়ে পিছন ফিরে তাকালো, রাসেল তখন কচ্ছপের গতিতে হেঁটে আসছিলো। বিরক্ত হয়ে হনহন করে হেঁটে রাসেলকে ঝাঁকি দিয়ে বললো – “বিড়বিড় করতাছোস কেন তুই? ঠিক সময়ে যাইতে না পারলে চাকরি কিন্তু পাইবি না।”

“আমার মনে হইতাছে পরীরে কেউ খুন করছে...” ঠান্ডা গলায় বললো রাসেল।

“কিহহহ? মানে? কি কইতাছোস তুই?” বিচলিত কন্ঠে বলে উঠলো রফিক।

উপর্যুক্ত জবাব না পাওয়ায় রফিক আবারো উৎকন্ঠায় বলে উঠলো – “এইগুলো কিন্তু পুলিশি ঝামেলা। তুই কইলাম এইসবের মধ্যে যাইস না...”

“তোর ওতো ফাটতাছে কেন? খুন মনে হয় তুই করছোস?” বিরক্তির সুরে বলে উঠলো রাসেল।

“আরে না..নাহ...কি কইতাছোস তুই? আ...আমি কেন এসবে..রর মধ্যে যামু। চল, চল...ট্রেন ছুইট্টা যাইবো কইলাম।” বলে রাসেলের হাত টেনে পায়ের গতি বাড়িয়ে দিলো রফিক।  

পিছন ফিরে দ্বিতীয়বারের মতো তাকায় রফিক, ‘জানের বদলায় জান’ যেন এ যাত্রায় মিথ্যা প্রমাণিত হলো। আকাশের দিকে চেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে উঠে পড়লো ট্রেনে।  

 

“চাচা, জানাযার সময় হয়ে গেছে। চাচীরে বলেন পরীরে গোসল দিতে, ইমাম সাহেবের মত পাল্টানোর আগে আগে জানাযা পড়ায়া ফেলতে হইবো। নাইলে পরে আবার ‘আত্মহত্যাকারীর জানাযা সাধারণ মানুষ পড়াইবো, আমি পারুম না..’ এই ফতোয়া দিয়া দিবো।” অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলে উঠলো আপন ভাতিজা সোহেল।

“বাবা...আমার মাইয়াডা মইরা গেলো রে বাবা। আমার মাইয়াডা.....” বলতে বলতে হুড়মুড় করে কেঁদে উঠলেন মমতাজ মাস্টার। আর সেই কান্নার ভাগিদার হলেন সন্তানতুল্য ভাতিজা সোহেল, আর কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই পরিবার।  

“চাচা, সবর করেন। আল্লাহ সবরকারীদের ভালোবাসেন...” বলে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো সোহেল।

দেড় বছর পর।

ঢাকার লেকের পাশে বেড়ে উঠা ভবনের ৯ তলায় ছাদ বিস্তৃত, ছাদের উপর বসতি গড়েছে এক যুবক। পেশায় সেলস অফিসার, চেহারার গড়নে আর আচরণে নিজের পরিপাটি ছবি বানাতে পারায় অফিসের সিনিয়র স্যারের সুপারিশে ‘ফ্যামিলি ফ্ল্যাট’ ভবনের ছাদে নিজের আশিয়ানা গড়েছে যুবকটি।

 

তবে, মাঝে মাঝে রাতের আঁধারে যখন অশরীরী আত্মার পরিস্ফূটন ঘটে তখন গভীর ঘুমে স্বপ্নে অনুভব করতে পারে যে, নিজের হাত-পা নাড়াতে পারছে না, কথা বলতে পারছে না। অশরীরী কোনো এক আত্মা এই যেন খপ করে ধরে ফেলবে ওর গলা, নিমিষের মাঝে গলা টিপে মেরে দিয়ে টানিয়ে দিবে দড়ির ফাঁদে!

 

খানিক পরে আঁৎকে উঠে ঘুমের ঘোর থেকে বেরিয়ে এসে লাফ দিয়ে হাঁ করে বড় বড় দম নিতে থাকে রফিক, গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা সেদিনের যুবকটি।

 

মেঝেতে পাতা তোষোক পাতিয়ে সেটাকে বিছানা বানিয়েছে রফিক, একাকী জীবনের স্বাদ এই সময়ে এসে বড্ড তিক্ত লাগছে!

 

ভয়ার্ত স্বপ্নের অলিগলি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসে ফ্রিজের দিকে ছুটে যায় রফিক, এক লিটারের পানির বোতল বের করে ডক-ডক করে গিলতে থাকে পানি। বুক পর্যন্ত ভিজিয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলে রফিক।

 

বিছানার পাশে থাকা সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলে যায় রফিক, ছাদের এই অংশে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের আসা ‘নিষেধ’ রয়েছে বিধায় খোলা আকাশ আর খোলা ছাদ রফিক একচ্ছত্র রাজ্য বলা চলে!

 

ছাদের কোণায় এসে পাতানো এক চেয়ারে ঠেস দিয়ে বসে সিগারেট জ্বালিয়ে নেয় রফিক, ঠান্ডা বাতাসের বিশুদ্ধ স্বাদ পুরো শরীর জড়িয়ে দেয়।

 

সিগারেট টানতে টানতে বেশ আনমনা হয়ে পড়ে রফিক, আর তখন চোখগুলো আটকিয়ে যায় সামনের ১২ তলা ভবনের ১০ তলার ফ্ল্যাটের দিকে!

 

গত এক মাসে ধরে রফিক সমান্তরলে থাকা দশম ফ্ল্যাটের মেয়েকে দেখে আসছিলো, প্রথম দেখায় বুকের ভিতর ‘ছলাৎ’ করে উঠেছিলো ওর। কেমন জানি পুরোনো এক চেহারার সাথে মিলে যায় পুরোটা, চোখগুলো যেন কিছু বলতে চায় তাকে।

 

গত তিন-চার মাস ধরে লাগাতার দৃষ্টি সব কুয়াশা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তবে, বারান্দার বসে থাকা মেয়েটির সিক্ত চোখগুলো রফিককে খুব কাছে টানে। রফিকের ইচ্ছে হয় যেন বলতে – “এই, তুমি কেঁদো না। আমি আছি না....!”

 

আবার, মাঝে মাঝে দু-তিনদিনের জন্য যেন কুয়াশায় মিশে যায় মেয়েটি। কোনো হদিস পাওয়া যায় না তার, হারিয়ে যায় বিষন্নতায়।

 

প্রতিদিন সকালের যখন মেয়েটি বাসার নিচে থাকা ভ্যান থেকে তরকারি কিনতে আসে, রফিক তখন অফিসের যাবার জন্য নিচে আসে। প্রতিদিন সকালে মেয়েটির ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত আর বিষম চেহারা দেখে নিজেকে অপরাধী ভাবে, ভাবে নিজের কাঁধ এলিয়ে দিয়ে বলতে – “এই দেখো, আমি চলে এসেছি। তুমি কেঁদো না আর....!”

কিন্তু, রফিক বলবে না। বলতে পারবে না।

কারণ, মেয়েটি বিবাহিত। সে এখন অন্যের সম্পদ, অন্যের ঘরের আমানত।

 

মেয়েটি স্বামী প্রায়শঃ মেয়েটির উপর হাত তুলে, গায়ে ‘ঠাস’ করে চড় দেয়। চড়ের আওয়াজ আর মেয়ের বুক ফাঁটা কান্না হয়তো ঘরের কাঁচের ভিতর আবদ্ধ থেকে যায়, কিন্তু সে আওয়াজ আর কান্না ঠিক যেন বান হয়ে বিঁধে যায় রফিকের নরম বুকে!  

 

এখনো সমান্তরালে থাকা ফ্ল্যাটের মেয়েটি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, পাথরের মতো বসে-দাঁড়িয়ে মার খাচ্ছে মেয়েটি। নিশ্চুপ, নির্বাক, নিরুপায় হয়ে কেঁদে যাচ্ছে রফিকের সমান্তরাল ফ্ল্যাটে অবস্থান করা কাজল ভেজা চোখের মেয়েটি। আর, এমনটা কেন হয় যখন....

 

ভাবনার জগতে ছেদ পড়লো ফোনের আওয়াজে, ভিতরে থাকা ফোনের আওয়াজে বাজতে থাকলো ভিতর থেকে। চেয়ার ছেড়ে উঠে যাবার সময় রফিক দেখলো যে...মেয়েটির স্বামী উচ্চস্বরে চিৎকার করে জানালার বাইরে দিয়ে আঙুল তুলে রফিকের ছাদের দিকে কি যেন ইশারা করছে, জবাব না পাওয়ায় আবারো চড় মেরে মাটিতে ফেলে দেয় মেয়েটিকে!

 

রুমের ভিতর ফোন তখনো বাজতে থাকে, এক রাশ বিরক্তি মুখে নিয়ে সিগারেট প্যাকেট নিয়ে ভিতরে চলে গেলো রফিক। বিছানার উপর পড়ে থাকা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ভয়ে চেহারা কুঁচকে গেলো রফিকের, এক ডুক গিলে ফোন রিসিভ করে বললো – “জ্বি, স্লামালাইকুম। কেমন আছে....”

“শুয়ারের বাচ্চা, এত্তোক্ষণ লাগে কেন তোর ফোন ধরছে? মইরা গেছিলি নাকি?” অপর প্রান্ত থেকে ধিক্কার সুরে বলে উঠলো একজন।

“না, মানে...ইয়্যে...আমি...”

“তোতলানি বন্ধ কর, রফিইক্কা। তুই তোর ঠিকানা জানাইবি না আমারে? আমি কিন্তু শেষবারের মতো কইতাছি...” চেঁচিয়ে বলে উঠলো একজন।  

“দেখেন, আমি আপনেরে আগেও কইছি। এখনো কইতাছি। আমি কিছু জানি না, আমারে আপনে এইসবের মধ্যে জড়াইবেন না।”

“তোরে আমি চারদিনের সময় দিলাম, নিজের খবর আমারে জানা। নাইলে তোর কইলজ্জা ছিঁইড়া কুত্তারে খাওয়ামু...”

“আপনের ঘরের আগুন আপনে নিজেকে থামান, আমারে ডাইকেন না। রাখলাম, বিদায়.....” বলে ফোন রেখে দেয় রফিক।

প্রচন্ড এক ভয়-আকুলতা আর ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে রফিক, তা অন্ধকার ঘরে চেঁচিয়ে বলতে থাকে – “কুত্তার বাচ্চা! তোর লাইগা আমি দেশান্তরি হইছি। কসম আল্লাহর, তোরে আমি জানু ছাড়ুম না....” অনবরত বলে যেতে থাকে রফিক।  

 

পরদিন সকালে, রফিক প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের করে দরজার বাইরে এসে রিকশা খুঁজতে থাকে। প্রথম দৃষ্টিতে চোখে পড়ে যায় মেয়েটি, ভ্যান থেকে সবজির দোকানীর সাথে দাম দরাদরি করছে।

“নাহ, আজকে তো বলতে হবে। নাহলে, দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো তাড়াতাড়ি। বুকের মধ্যে এতো ব্যথা রাখতে পারবো না..” বলে বড় এক দম নিয়ে সামনের দিকে পা বাড়ায় রফিক।

 

সবজির দোকানীর সামনে এসে কোনো রকম ভণিতা না দিয়ে বলে উঠে – “শুনুন, আপনাকে আমার ভালো লেগেছ। জানি আপনি বিবাহিত, কিন্তু এরপরও আমি নিজেকে আপনার কাছে আসা থেকে দমিয়ে রাখতে পারছি না। আপনি কি....” বলা শেষ করার আগে মেয়েটি আগুন ঝরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে উঠলো রফিকের দিকে।

 

যেন আজন্মের এক প্রতিশোধ এখনো বাকির খাতায় তোলা রয়ে গেছে, সুযোগ করে খপ করে রাঙানো ছুরি বসিয়ে দিবে পাতানো বুক বরাবর!

মেয়েটি হনহন করে চলে গেলো সামনে থেকে, রফিক কিছু বুঝে উঠার আগে দোকানী বলে উঠলো – “দূর মিয়া, দিলেন তো সকাল সকাল কাস্টমার নষ্ট কইরা। লাগানির মন চাইলে বাড়িত যান, আমাগো পেটে লাথ দেন কেন?” বলে বিরক্তিতে কুঁচকে নেয় কপাল।  

বেচারা রফিক একূল-ওকূল পার না পেয়ে রিক্সা ডেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

 

এরপরের দু’দিন আবারো হারিয়ে গেলো সমান্তরালের মেয়েটি, নিজের উপর বিতৃষ্ণা জন্মে আসার জন্য আগুন টেনে নিজের প্রায়শ্চিত্ত করার ঠান নিচ্ছে রফিক।

সিগারেটের দগ্ধতা পুড়ে নিষ্পেষিত হয়ে যাচ্ছে অতীতগুলো, তবে রাতের গভীরে আত্মাগুলো জেগে উঠে অতৃপ্তি নিয়ে। 

 

“ঠক...ঠক...ঠক....ঠক...” শব্দ আসতে থাকে দরজার অপর থেকে, বিরক্তি মুখ করে ঘুমকাতুরে চোখ নিয়ে রফিক বলে উঠেছে – “কেডা রে ঐখানে? পরে আয়...”

“আমি এসেছি!” অপরিচিত কিন্তু একটা শীতল কণ্ঠস্বর ভেসে এলো দরজার ওপাশ থেকে।

 

 

 চলবে