জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ০৩, ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২৯ সেপ্টেম্বর একই মামলায় মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠান আদালত। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ’ ও ‘হত্যাচেষ্টার’ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁজজনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন: জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে–আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন মাহমুদুর রহমান। এক সময় বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এসব দায়িত্ব পালন শেষে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন। দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখালেখির কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়। তিনি বিগত সরকারের সব অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ও আপোষহীন ছিলেন।