জাতীয় নির্বাচন কবে, জানালেন ড. ইউনূস

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৪, ২০২৪

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

ড. ইউনূস বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেওয়া হবে। সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করতে। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে দেশের সবাইকে এক হতে হবে। সরকার, সংসদ, নির্বাচনি বিধি কেমন হবে, এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতই কম হয় ততই ভালো। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।”

ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো দরকার, যা পৃথিবী এবং এর মানুষের জন্য কল্যাণকর। আমরা এমন অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছি যার মূল হচ্ছে ভোগ, ভোগ এবং ভোগ। এটি শুধু বর্জ্য, বর্জ্য ও বর্জ্য তৈরি করে। আমাদেরকে শূন্য বর্জ্যের বিশ্ব তৈরি করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের কী প্রয়োজন, তা আমরা জানি। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা উচিত। এটি দেশ অনুযায়ী হওয়া উচিত। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী (বর্জ্য) নিরসনের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রতি বছর এখানে দেখা করার দরকার নেই। প্রতি বছর আলোচনার জন্য মিটিং করা সময়সাপেক্ষ, অপচয়।”

বুধবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবং পৃথিবী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর সভ্যতার জন্য নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কপ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেয় ৫টি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ স্বল্পোন্নত দেশ। দেশগুলো হলো: নেপাল, মালাউই, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া ও বাংলাদেশ।