জহির রায়হানের গল্প ‘হারানো বলয়’
প্রকাশিত : জানুয়ারি ৩০, ২০২১
কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের আজ মৃত্যুদিন। ১৯৭২ এর ৩০ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে তার জন্ম। মৃত্যুদিনে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ‘হারানো বলয়’ গল্পটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো:
অফিস থেকে বেরুতেই ফুটপাতে দেখা হয়ে গেলো মেয়েটির সাথে। একটুও চমকালো না আলম। যদিও ক্লান্ত চোখ দুটি ওর বিস্ময়ের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।
আরে আলম না। তুমি এখানে? মেয়েটিও ভুল করেনি, ঠিক চিনতে পেরেছে তাকে। অনেক দিন পরে দেখা হলো, না? আবার বললো মেয়েটি।
হা বছর দুয়েক। সেই—
সেই ভৈরব স্টেশনে দেখা হবার পর এই প্রথম।
হ্যাঁ, এই প্রথম।
এবার ভালো করে ওর দিকে দৃষ্টি মেলে তাকালো আলম। আগের মতো ঠিক তেমনিটিই আছে আরজু। তবুও মনে হোল যেন অনেক বদলে গেছে ও। চোখের কোণে কালি জমেছে। হাসির ঔজ্জ্বল্যে ভাটা পড়েছে এখন।
তারপর, কি করছো আজকাল? আবার প্রশ্ন করলো আরজু।
কি আর করবো–কেরানিগিরি উত্তর দিলো আলম। তুমি কি করছো?
আমি? মান হাসলো আরজু। একটা কিছু করি আর কি।
তারপর একপ্রস্থ নীরবতা। রাস্তার পাশ ঘেঁষে এগিয়ে চললো ওরা। ধীর মন্থর পদক্ষেপ। আলম বললো–এসো চা খাওয়া যাক এক কাপ করে। আপত্তি করলো না আরজু। আলমের পিছু পিছু ঢুকলো স্টলে।
অর্ডার পেয়ে টেবিলে চা রেখে গেলো বয়। আর সেই মুহূর্তে একটি দিনের আর একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো আলমের।
আজকের মতো এমনি মুখখামুখি হয়েই বসেছিলো ওরা। আলম আর আরজু। কলেজের সামনে, কাফে হাউসের নির্জন কোণে। টেবিলে চায়ের পেয়ালা রেখে গেলো বয়, অন্য দিনের মতো। আর আরজুর প্রশান্ত চোখ দুটোতে নেমে এলো তৃপ্তির ঘন ছায়া। মুখোমুখি বসে দুজনা–অপরিসীম আনন্দঘন মুহূর্ত। কিন্তু ঠিক যেন একখণ্ড ঝড়ো মেঘের মতই সেখানে এসে দাঁড়ালো মুনির, আরজুর বড় ভাই। রক্তিম চোখ দুটোতে আগুনের ফুলকি ঝরছিলো মুনিরের। প্রেম ফ্রেমে বিশ্বাস করি না আমি। মুনির ধমক দিলো আজুরকে ওসব ছেলেমানুষি ছেড়ে দে। চাকরি করে ছোট ভাইবোনগুলোকে মানুষ করতে হবে তোকে, তা ভুলে যাসনে। লোকটাকে মাঝে মাঝে বিরক্তিকর ঠেকতো আলমের। তবুও কেন জানি শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে আসতো ওর ব্যক্তিত্বের কাছে।
কি চুপ করে রইলে যে। কি ভাবছো? আরজুর সরল কণ্ঠস্বরে অতীতের আলম আবার ফিরে এলো বর্তমানে।
কই না তো। কিছুক্ষণ আমতা আমতা করলো সে। তারপর বললো হ্যাঁ আরজু, মুনির ভাই কেমন আছেন? কি করছেন তিনি আজকাল?
মুখখানা বড় ফেকাসে হয়ে গেলো আরজুর–মুনির ভায়ের কথা বলছো? জানো না বুঝি? উনি এখন জেলে আছেন।
জেলে? অবাক না হয়ে পারলো না আলম। কেন? কি করেছিলেন তিনি?
আরজু গম্ভীর হোল। তারপর ম্লান হাসলো একটু! জানিলে, ওরাতো কারণ জানায় নি।
নিরাপত্তা বন্দি?
হ্যাঁ।
কিন্তু কিসের অপরাধে
জানিনে–চুপ করো। হঠাৎ আলমের হাতে একটা প্রবল ঝাকুনি দিয়ে ওকে থামিয়ে দিলো আরজু। তারপর চাপা গলায় বললো, জানো না? দেয়ালেরও কান আছে।
তারপর আবার চুপচাপ। একটানা নীরবতা। চায়ের বিলটা চুকিয়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো ওরা। আলম ভাবলো আরজু বিয়ে করেছে কিনা একবার জিজ্ঞেস করলে হয়। একদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলো কিন্তু থাক সে কথা। ও আবার কি মনে করে বসবে কে জানে!
কিছুক্ষণ পরে আরজুই প্রশ্ন করলো তাকে বিয়ে করেছে?
বিয়ে? না। তুমি
আমি? তথৈবচ। হাসতে চেষ্টা করলো আরজু। সে হাসি বড় করুণ ঠেকলো আলমের।
কিন্তু দেখ আরজু, তুমি তো প্রায়ই বলতে, বিয়ে করে একটা সুন্দর ফুটফুটে ছেলের মা হয়ে সংসার বাধাটাই নারীর ধর্ম। বলতে না তুমি?
ঘাড় বাঁকা করে তাকলো আলম আরজুর দিকে। মুখখানা তখন দেখবার মতো আরজুর। কিন্তু কথার মোড় ঘুরিয়ে নিলো আরজু।
এই দেখ, রাত যে আটটা বেজে নয়টা হতে চললো। খেয়ালই নেই। চলি এবার। বাসায় ছোট বোনটার অসুখ। ওকে নিয়ে আবার রাত জাগতে হবে।
কার অসুখ বললে? আসকারির? আলমের প্রশ্নে আবার দাঁড়াতে হলে আরজুকে। হ্যাঁ–আসকারির। আরজু বললো।
কি রোগ?
মরণ রোগ। গলার স্বরটা অস্বাভাবিকভাবে কেঁপে উঠলো আরজুর। কিছু টাকা পেলে একটা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাতাম ওর। জানি, ভালো হবার নয় ও রোগ। তবুও মন বোঝে না। একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললো আরজু। তারপর আবার বললো, আনো আলম, ওর মুখের দিকে তাকালে বড় মায়া লাগে। ভীষণ কষ্ট হয়। কেমন করুশ চোখ মেলে ও তাকায় আমাদের দিকে। এ বয়সে কেইবা মরতে চায় বলো। কথা শশল্প হতে মাথার কাপড়টা অল্প একটু টেনে দিয়ে ছোট ছোট পা ফেলে সরু পথের মোড়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো আরজু। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো আলম। তারপর ভালো মানুষ কত সহজেই না বদলে যেতে পারে?
কলেজ জীবনে সে দেখেছে আরজুকে। আর সেখানেই তো আরজুর সাথে প্রম পরিচয় আলমের! গোলগাল মুখের ওপর টিকোল নাক, তারি গোড়ায় ছোট একটা তিল, ভাসা ভাসা দুটি চোখ, শ্যামলা রং, দোহারা গড়ন। সরু পাড়ের শাড়ির সাথে হাতকাটা ব্লাউজ আর প্লেন বাটা সান্ডেল পরে কলেজে আসতে ও দেখতে বেশ মানাতে একে। মুখের কোণে একটা স্নিগ্ধ হাসির রেখা লেগেই থাকতো সব সময়। আর যখন শব্দ করে হাসতো ও তখন আরো সুন্দর, আরো লাবণ্যময়ী মনে হোত ওকে।
অলঙ্কার পর একটা প্রবল ঝোক ছিল ওর। সেবার স্কলারশিপের টাকাগুলো হাতে আসতেই আলমকে বললো, চলো সরকারের দোকানে যাবো একটু। পুরোনো চুড়ি আছে দুটো ভালো লাগে না আর সেকেলে সেকেলে দেখতে। ওগুলো বিক্রি করে নতুন প্যাটার্নের একজোড়া কিনে আনবো।
ছোট পাথর সেটের একজোড়া বালা। দেখেই পছন্দ করলো আরজু। বললো, কি সুন্দর দেখ! কিনবো এগুলো কিনে হাতে নিয়ে বললো, দাও, পরিয়ে দাও তুমি আমার হাতে। ওর হাতটাকে মুঠোর ভেতর চেপে ধরে, চুড়িগুলো পরিয়ে দিলো আলম। বাইরে বেরিয়ে এসে বললো আরজু, এগুলো কেন কিনলাম জানো? যদি কোনদিন আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় কিংবা যদি একটা গাঢ় অন্ধকারের ভেতরে ডুবে যাই আমরা, তখন এ সুন্দর চকচকে পাথরগুলো আলোর সৃষ্টি করে পথ দেখাবে আমাদের। অন্ধকারে হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। আরজুর ভাবালুতায় সেদিন মৃত অবাক হয়েছিলো আলম, তার চাইতে আরো বেশি অবাক হোল তার বছর তিনেক পরে, ভৈরব স্টেশানে আরজুর সাথে হঠাৎ দেখা হতে। হাত দুটো খালি আরজুর বালা নেই। সুটকেসে তুলে রেখেছো বুঝি? হাসি টেনে জিজ্ঞেস করলো আলায়।
কি বলছো? বোকা বোকা চাহনি আরজুর।
হাত দুটো খালি দেখছি। সন্ন্যাস ব্রত নিলে নাকি? কথাটা এবার ঘুরিয়ে বললেও বুঝলো আরজু! কেমন ফেকাসে হয়ে গেলো ওর মুখখানা। ম্লান হেসে বললো, বিক্রি করে দিয়েছি ওগুলো, উপায় ছিলো না। যেন কৈফিয়ৎ দিচ্ছে সে বাবা মারা গেলেন। তাঁর অসংখ্য দেন। কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে টাকা ধার করতেন তিনি। সে টাকা পরিশোধ করতে হোল। চোখের কোণে দুফোঁটা জল মুক্তোর মতো চকচক করছিলো আরজুর। আর তারই কথা চিন্তা করতে করতে মেসে যখন ফিরে এলো আলম রাত তখন এগারোটা। সেদিনের রেশ কাটতে না কাটতেই হপ্তা দুয়েক পরে আবার দেখা হয়ে গেলো আরজুর সাথে আলমের। অফিস ফেরত পথে। চোখাচোখি হতে আজ আর হাসলো না আরজু। উদ্ভ্রান্তের মতো কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো ওর দিকে। বোবা চাহনি।
কি ব্যাপার! আসছে কোত্থেকে? আলম প্রশ্ন করলো। নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো আরজু, তারপর অনুচ্চ কণ্ঠে বললো। গোরস্থান থেকে।
গোরস্তান?
হ্যাঁ, আসকারি মারা গেছে।
মারা গেছে, কখন অস্বাভাবিক গলায় বিড়বিড় করে উঠলো আলম।
পরশু সকালে। মৃদু গলায় বললো আরজু। মরবার ঘণ্টা কয়েক আগে আমার গুলা জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না আসকারির। আমায় মরতে দিসনে আপা? আমার ভীষণ ভয় করে। স্বরে জাঙ্গল ধরলো আরজুর ও খামলো।
সান্ত্বনা দেবার কোন ভাষা খুঁজে পেলো না আলম। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না সে। কাটার মতো আটকে গেল গলার ভেতর।
তুমি অমন কাপছ কেন আরজু শরীর ভালো নেই? এতক্ষণে সুরটা বেরিয়ে এলো আলমের। মাটির দিকে চুপ করে চেয়ে রইলো আরজু! কি যেন ভাবলো। তারপর এক সময় মুখ তুললো আলমের দিকে, কেন কাঁপছি জানো? দুটো দিন, এক মুঠো ভাতও খেতে পাইনি আমি, শুধু আমি নই। আমার ছোট ছোট ভাইবোন, আমার বুড়ো মা কেউ খায়নি। সবাই উপোস। নির্জুন রাস্তায় ছোট্ট শিশুর মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো আরজু।
কিন্তু এ মুহূর্তে কি করতে পারে আলম কোম্পানি অফিসের একজন সামান্য কেরানি বই তো আর কিছুই নয়। মাস শেষের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে পাকেট তার গড়ের মাঠ। ওকে ভাবনা থেকে রেহাই দিলো আরজু নিজেই। ভেজা কন্ঠে বললো, জেল থেকে চিঠি পেয়েছি একখানা মুনির ভায়ের। ওরও শরীর বিশেষ ভালো নয়। আমাশায় ভুগছেন। তবুও লিখেছেন–চিন্তা করিসনে তোরা, ভালো হয়ে যাবো। তোমাদের কথা মনে পড়লে দুঃখ হয় খুব বড় কষ্ট হচ্ছে তোমার নারে? কিন্তু কি করবো বল ……….তারপরেই সেন্সরবোর্ডের কালি লেপ! পড়া যায়নি কিছু। কথা শেষ করলো আরজু।
মেমে ফিরে সে ব্রা আর মোস্ট পারলো না আলম। বার ব্রার উঠলো কালো বিছানার উপর। পাশের সিটের রহমান সাহেব নিরাশ্রু বো কলেন বোপ্ত স্থায়। তাই বললেন, এমন স্কুরাচ্ছেন কেন সাহেব। খাওয়া হয়নি বুঝি শ্রাজকে? শুনলাম মেসের ম্যানেজার ডাইট বন্ধ করে দিয়েছে আপনার?
কোন উত্তর দিলো না আলম। এ তো একটা বহু প্রাচীন কথা। কি উত্তর দেবে? উত্তর এলো ওপাশের খলিল সাহেবের কাছ থেকে। আমার ডাইটও বন্ধু করে দিয়েছে সাহেব। কিন্তু উপোস থাকবার হাত থেকে বড় জোর বেঁচে গেছি। ফুফাতো ভাই একটা থাকে শরৎলাস লেলে। ওর কাছে গিয়ে মুখ ফুটে চেয়ে খেয়ে এলাম এক পাট। কি আর কা যায়। মাসের এ শেষ কটি দিল বড় একঘেয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এ একঘেয়ে দিন কটিও কেটে গেলো পর পর। নতুন মাস। বকেয়া মাসের পাওনা টাকাগুলো হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে এলো আলম। আজকের মধ্যেই শেষ হবে এগুলো-দেনা পরিশোধ করতে করতে। বাড়িতে মায়ের কাপড় নেই লিখেছে। ওঁর জন্য কাপড় কিনতে হবে একখানা। ছোট ভাইবোনগুলোর জন্য কয়েকটা ফ্রক, প্যান্ট। আর বছরের আফিয়াটার জন্য একটা কাপড় পাঠালেই নয়। মাথাটা কেমন গরম হয়ে উঠলো আলমের। টাকা হাতে নিয়েও বেশ ঘাজিয়ে উঠছে সে। অন্ধকার, চারিদিকে যেন অন্ধকার।
হঠাৎ আরজুর কথা মনে পড়ে গেলো তার। যদি পথের ভেতর দেখা হয়ে যায় ওর সাথে। আর ও যদি আজ হাত পেতে বসে আলমের কাছে তাহলে চলার গতিটা আরো একটু বাড়িয়ে দিলো আলম। কিন্তু একটু পরেই থমকে দাঁড়াতে হলো তাকে রাস্তার মোড়ে। একটা বিরাট ভিড় জমেছে সেখানে।
দারুণ তেজি মেয়ে, সাহেল। পলিশ রাতে এলো তো চট করে গালে এর চুড় বসিয়ে দিলো একটা। এ পাশের লোক ও পাশের ভদ্রলোককে বলছিলেন কথাগুলো। কানে এলে আলমের, তার সাথে একটা ঔৎসুকাও এসে দানা বাধলো মনের ভেতর।
ব্যাপার আবার কি সাহেব। ওরাতে বললো চুরির আসামী, দেখে কিন্তু মনে হলো না। মুখে একটা ভুদ্র ভদ্র ছাপ মেয়েটার।
ভদ্র অভদ্র বাছবিচার ছেড়ে দিন সাহেব। সেদিন পুরোনো হয়ে গেছে। এ পাশে ও পাশে জমাট বাধা লোকের টুকরো টুকরো কথা! ভিড় ঠেলে আরো একটু এগিয়ে গেলো আলম। আবছা দেখা যাচ্ছে মেয়েটাকে। চারপাশে পুলিশের বেষ্টনি। মাটিতে ছড়িয়ে আছে কতগুলো ছাপানে কাগজ।
আপত্তিকর প্রচারপত্র বিলি করছিলো নাকি মেয়েটি ধরা পড়েছে একটু আগে! পাশের লোকটা ফিসফিসিয়ে বললো, কাকে আরো কি যেন বলছিলো সে। কানে গেলো না আলমের। মাথাটা তখন ভীষণভাবে চক্কর দিয়ে উঠেছে ওর। চোখ দুটো আরজুর শাস্তু গম্ভীর মুখের ওপর একান্তভাবে নিবদ্ধ। বৈকালীন সূর্যের রক্তিম আভা তির্যকভাবে গড়িয়ে পড়ছে আরজুর হাতের হাতকড়াটার ওপর আর কেমন চকচক করছে ওটা। যেন ওর হারানো বালা দুটো। হঠাৎ মনে পড়লো আলমের আরজু বলেছিলে–ওর বালা অন্ধক্কারে পথ দেখায়।