‘ছাত্রদের উচিত ছিল, আ.লীগের বিচারের দাবিতে অবস্থান করা’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ছাত্রদের উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর উচিত ছিল, গণহত্যায় জড়িতদের শহিদ মিনারে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা। কারণ, তারা ভয়ঙ্ককর রূপে ফেরার পাঁয়তারা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদের উচিত ছিল, আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা। কিন্তু সবাই তা করছে না। আওয়ামী লীগ চাইলেও নির্বাচন করতে পারবে না। এদেশে তাদের কবর রচনা হয়েছে।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “যে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, যারা এতগুলো মানুষকে হত্যা করেছে, রাজপথে রক্ত ঝরেছে, গুলি করেছে, বাংলাদেশকে বিদেশি তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “পুরোনো পদ্ধতি জিইয়ে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তাই পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।”
নুরুল হক নুর বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল। কোনো রাজনৈতিক ছত্রছায়া বা সেনা কর্মকর্তার মদদে এ দলের সৃষ্টি হয়নি। তাই রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কারে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে গণঅধিকার পরিষদ।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় জনভোগান্তি দূর করতে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই আমরা নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করেছি। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল জালিয়াতির নির্বাচন। ভোট ডাকাতির নির্বাচন।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “২০০৮ সালেও ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাতানো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ পাখির মতো মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কয়েক বছর তরুণ, ছাত্র, যুব শ্রমিকরা যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল তার ফলেই কিন্তু ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৫ বছরে বিরোধীমতের সবার ত্যাগকে লিপিবদ্ধ করতে হবে।”
নুরুল হক নুর বলেন, “শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কিংবা নিহতদের পরিবারকে নয়। ১৫ বছরে লড়াই করতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। যারা জীবন দিয়েছিল তাদের পরিবারকেও সহযোগিতা করতে হবে।”
এ সময় সভায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য মুখপাত্র হানিফ খান সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, রংপুর বিভাগীয় কার্যকরী সদস্য হাজী কামাল হোসাইন প্রমুখ।