চুরির অপবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৪, ২০২৫

চুরির অপবাদে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: একই গ্রামের আবদুল গফুর (৫০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)।

হত্যায় জড়িত তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে। তারা হলেন: নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত সাবান আলীর ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৬৫), মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (১৩) ও পার্শ্ববর্তী পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল গফুরের প্রতিবেশী প্রবাসী রাশেদ কিছুদিন আগে দেশে আসেন। ২ দিন আগে তার ঘর থেকে কিছু কাগজ ও একটি মুঠোফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় আবদুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে রোববার বেলা ১১টার দিকে সালিস বসানো হয়।

রাশেদের বাড়ির সামনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে সালিসটি বসে। কিন্তু চুরির সঙ্গে মেহেদী জড়িত নয় দাবি করে সালিসে যাননি বাবা-ছেলে।

সালিস বসার পর সেখান থেকে লোকজন গিয়ে আবদুল গফুরকে তার ছেলেকে নিয়ে হাজির হতে বলেন। কিন্তু সালিসের ডাকে হাজির না হওয়ায় সেখানে থাকা লোকজন দুপুর ১টার দিকে আবদুল গফুরের বাড়িতে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

এর জেরে আবদুল গফুরের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু করে সালিসের লোকজন। এ সময় আবদুল গফুর ও তার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।

নিহত আবদুল গফুরের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, “আমার স্বামীর সঙ্গে স্বামীর চাচাতো ভাই আবদুল মোতালেবের জমি নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা ছিল। এরই জের ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।”

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন।”