চিন্তার দাসত্ব, ভয় এবং ভয়-ব্যবস্থাপনার দুনিয়া
শশী হকপ্রকাশিত : জুলাই ২৪, ২০২০
লেখাটা শুরু করতে চাই ভেড়া-নেকড়ে বিষয়ক ইবনে সিনার একটা গবেষণাকে স্মরণে এনে; যদিও সেটা ছিল নির্মম, এবং মূলত চিন্তা-গবেষণার একটা অংশ বিশেষ, তারপরও। ইবনে সিনা একই রকম একজোড়া ভেড়া ও একটা নেকড়ে আলাদা আলাদা খাঁচায় এমনভাবে রেখেছিলেন, যাতে শুধুমাত্র একটা ভেড়াই খাঁচা থেকে নেকড়েকে দেখতে পায়, আর অন্যটা না পায়। কয়েক মাস পর দেখা গেল সেই ভেড়াটা, যে সারাক্ষণ নেকড়েকে দেখতে পেত— শুকিয়ে, না খেয়ে, আতংকে মরে গেছে। অথচ অন্যটা, যে দেখতে পেত না, ছিল সুস্থ ও সবল।
ইবনে সিনার এই পরীক্ষা আর যাই বোঝাক, এতে একটা বিষয় কিন্তু পরিষ্কার, ভয়ের উৎস হচ্ছে চিন্তা, আক্রান্ত হওয়ার চিন্তা, আক্রান্ত হওয়া নয়। এবং এই ভয় এতটাই সাংঘাতিক যে, কখনো কখনো তা অই ভেড়ার মতো আমাদেরও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ এক অস্বস্তিকর উপলব্ধি, যা আজ আমাকে কেন জানি বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর তাবৎ রিফিউজিদের কথা, এবং সেইসব আদিবাসী বা সংখ্যালঘু, যারা নীরবে শুধু ধসে যায়, বা কোকো-বাগানের সেইসব শিশুদাস, যারা এই জেনে বড় হয় যে, আগামীকালের সূর্য তাদের জন্য নাও উঠতে পারে— সেই তাহাদের কথা। তা সত্ত্বেও, তারা যখন বাঁচে, টিকে থাকে, সংগ্রাম করে, হাসে, গান গায়; তখন তাদের সেই মহা সাহসের কাছে মাথা নত করে শুধু বলতে ইচ্ছা করে, এই তো তুমি! ক্ষম অপরাধ।
মৃত্যু-ভাবনাই মানুষের মৌলিক দুঃখ, এবং মৌলিক ভয়ও বটে; কেননা মৃত্যু সত্য হলেও এই অভিজ্ঞতা তার অজানা। এই দুঃখ ভয়ের রহস্য ঘিরেক, তাই যেন অন্য কোনো এক প্রয়োজনে ক্রমে ক্রমে তৈরি হয়েছে আর সব ভয়; তৈরি হয়েছে বিধান, ভার্চু, আর অসাম্যের এক প্রবল সমাজ। গৌতম বুদ্ধই সম্ভবত প্রথম যিনি এই মৃত্যু-রহস্যকে খুলতে চেয়েছিলেন; আর তাই, সেই দেখা থেকে শিষ্যদের আর্য-সত্য বোঝাতে প্রথমেই তাকে বলতে হয়, দুঃখ অনিবার্য। (এবং কিছু নিস্তব্ধতা)। কিন্তু পরের কথাগুলি থেকে সংঘের উচ্চাভিলাষী ধর্মপথ, কারণ-উপায়-শীল আর সম্যক-নিরোধের বিস্তার ঘটায়ে, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, হেলা করেছে দুঃখ-দর্শনের মূল মহিমা (চেতনার তিক্ত-অনুসন্ধান)। তারও পাঁচশো বছর পর জিসাস ক্রাইস্ট দেখালেন কী করে মৃত্যুকে মন্থন করে নিতে হয়। মিথ বলে হিসাস মরে নাই, আর আমি বলি, ক্রুশ-বিদ্ধ জিসাসের মহান-বেদনা Holly wound, Passon থেকে জন্ম নেয়া গসপেল, যখন বেদন-নামা না হয়ে চিকিৎসার উপায় হলো, তখন সেটাই ছিল জিসাসের আসল মৃত্যু।
যার কথা এখন বলতে যাচ্ছি, সেটা এক বিতর্কিত কালো দুনিয়া, যেখানে মানুষের জীবন নিরন্তর দুর্ভোগ, গ্লানি, অপমান আর যন্ত্রণার ভিতর পাক খেয়ে খেয়ে এগিয়ে চলছে। কেউ দেখতে পায়, কেউ পায় না। প্রকাশ থাক, এই পাক ভয়ের। একটা দুর্বল আর রুগ্ন সমাজের এগিয়ে যাওয়ায় ধর্মের মরালিটি আর ডিসিপ্লিনগুলি একসময় পথ্যির মতো কাজ করলেও সেটা ছিল আসলে একপ্রকার ভয়-ব্যবস্থাপনা, ভয়কে জানা না। পৃথিবীতে পাপ বাড়ার সাথে সাথে ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলির রত্নখচিত হয়ে ওঠার যে যোগসূত্র, সেটাই বলে দেয় দাসত্বের-ভয় আমাদের কতদূর নিয়ে যেতে পারে।
ধর্ম-ভয়ের বাইরেও, এই দুনিয়ায় নানা ধরনের নতুন নতুন সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় ভয় law and order এবং একইসঙ্গে সেইসব ভয়-ব্যবস্থাপনার পলিটিক্স আছে, যা অনেক বেশি সক্রিয়। এখন না মানলেও মনে রাখতে হয় যে, কোনো কিছুই পলিটিক্সের বাইরে না, এবং এই সর্বগামী পলিটিক্স কুটিল। এই পলিটিক্স মানুষকে ব্যক্তি-সিম্বলে ক্রমশ আসক্ত করে তার জ্ঞান-দক্ষতা বিভাজিত করে দিচ্ছে, যাতে সে আরো শার্প, আরো স্মার্ট (মূলত দুর্বল), আরো বাধ্য হয়; এবং ভয়ের একটা নিপুণ সিস্টেমের ভিতর বিকশিত হতে পারে নিয়ম মাফিক। এভাবেই কাণ্ডারির ভূমিকায় রাষ্ট্র/প্রতিষ্ঠান/দল তার মিশন আর ভয়-ব্যবস্থাপনা দিয়ে সমাজের সব দায়িত্ব, সব নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে চায়। এই ক্ষমতায়নের সবচেয়ে ভদ্রস্ত পথ হচ্ছে আজকের গণতন্ত্র, আমি যাকে বলি এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় নান্দনিক ধোঁকা। রাজতন্ত্র বা এক-নায়কে ভয় যত বিশালই হোক না কেন, তা থাকে নির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট; গণতন্ত্র সেটাকেই ভেঙে শুধু বহুগামী আর বিক্ষিপ্ত করে, আর কিছু না।
অদ্ভুত এক ঝাপ্সা দুনিয়া এসেছে আজ। এখানে যা কিছু শ্বাশত আর চিরঞ্জীব বলে মনে হয় তা যেন ঠাট্টার মতো হারিয়ে যাচ্ছে; এবং সেই ক্ষণিক উদ্ভাস আর অস্থিরতার ভিতর একটা খাপছাড়া অস্পষ্ট ভয় (তরল ভয়, উদ্বেগ) যেন দানা বাঁধছে আমাদের বোঝার বাইরে। আসল সংকট সেখানেই। এককভাবে একজন মানুষ এই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসহায় প্রাণী, অথচ সে যখন প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির চেইনে যুক্ত হয়, তখনি সে হয় মানুষ, হয় শক্তিধর। এই দুনিয়া যেন বহুর প্রপঞ্চ; মনে হয় সব আছে আবার কিছুই নাই, মনে হয় সবকিছুতেই আছি, আবার কোনো কিছুতেই যেন নাই। ছিন্ন-বিজড়িত হয়ে `থাকা আর না-থাকার` এই যে আলো-আঁধারি, আজকের মানুষের ভয়কে সেই জাক্সটাপজিশন থেকে বুঝতে হবে। মানুষের নিগূঢ় প্যাশনের জায়গা সেটাই, যা আর্টের মহান পাগলামি Order of disorder ছাড়া, মানুষের আর কোনো প্রকাশে ধাবিত হয়েছে বলে মনে হয় না।
আমরা এখন এমন এক কারাগারে থাকি যার কোনো দেয়াল নাই, প্রহরী নাই, সার্চলাইট নাই, তারপরও কারা ছেড়ে কেউ পালাই না। এখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রহরী, তাই অদ্ভুত এক ফ্রীডম কাঁধে নিয়ে প্রশ্নহীন বাধ্যবাধকতায় শুধু কাজ করে যাওয়া। এখানে সাক্সেস নামে একটা ক্রেইজি সিঁড়ি আছে, যা উন্মুক্ত সবার জন্য, আর সেই উন্মুক্ত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চাইছে সবাই; কেউ পারছে, কেউ পারছে না; খসে পড়ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে, একজন আরেকজনকে টেনে ধরছে, ধাক্কা দিচ্ছে, কিন্তু কেউ জানে না সিঁড়ির শেষ কোথায়। একটা উপরে ওঠার ভয়-সিঁড়ি, অথচ আমরা যার প্রতিটা ধাপকে মনে করছি সাক্সেস, উত্তরণ। এ এক অদ্ভুত অচেতন আইরনি, ভয়-ব্যাবস্থাপনার বিভ্রমের ভিতর দিয়ে গড়ে ওঠা এক নিষ্ঠুর পরিমাপ।
ভয় যে কী তা জানতে হলে, যা জানা, আগে তার ভিতরেই খুঁজতে হবে। ভয় যেন সবকিছুই; দুঃখ যন্ত্রণা হতাশা ব্যর্থতা ত বটেই, এমন কী আমাদের প্রেমানন্দ, সাফল্য আর সুখের গভীরেও ভয় ওৎ পেতে থাকতে পারে, থাকেও। না পাবার চেয়ে অনেক সময় হারাবার ভয় যে অনেক বেশী থাকে, তা কে না বোঝে। এখানে ভয় এক আসক্তি-মায়া; ভয় `আমার আমার` ভাবনার মোহ। আমরা যদি জীবনের সবকিছু সচেতন স্বভাবে অবলোকন করতে পারতাম, তাহলে হয়তো দেখা যেত আমাদের অধিকাংশ ভয়ই আসলে অমূলক। দেখা যেত, ভয় বিষয়ে থাকে না, থাকে বিষয়-চিন্তায়। এবং লজিক্যালি, মানতেই হয়, ভয় হচ্ছে অতীত (স্মৃতি) থেকে জন্ম নেয়া ভবিষ্যৎ। ভয় হচ্ছে সময়ের দুই তীর, বর্তমানকে timeless বুঝতে না পারার মানসিক কেওস; ভয় হচ্ছে কালো ঢেউ।
যদি বিশ্বাস এমন যে, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সব ঘটে বা রাখো মারো হাত তোমারই; তাহলে যখন মার তার ভয়ংকর রুদ্র-রূপ নিয়ে হাজির হয়, ভয়টা কিসের? আমরা কার হাত প্রতিহত করতে চাই? কাকে ঘৃণা করি? কার ইচ্ছা কাটি? —বিশ্বাসীদের আজ সেটা ভাবার দরকার আছে। তারা এই সত্য কেন ভুলে যায় যে, ঈশ্বর কখনো কখনো মানুষকে বঞ্চনা দিয়েও কৃপা করতে পারেন। তবু আমরা ভয় পাই, কারণ দুঃখকে আমরা সবচেয়ে কম জানি। আমরা ভয় পাই, কারণ আমাদের চিন্তা সময়ের দাস হয়ে গেছে। শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের শুধু অতীতের সেই জ্ঞানগুলিই শেখায় যা দিয়ে ভবিষ্যতে যথাযথ দাস হতে পারি। এখানে একই জ্ঞান আর একই কর্মের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু যেন নাই, আর মানুষের জীবনের এই অর্থহীন পুনরাবৃত্তিই হচ্ছে চিন্তার দাসত্ব। ভয় আর কিছুই না, অই দাসত্বের স্মৃতি, যা জৈব-রাজনীতির Bio-politics চাকা ধরে ঢুকে পড়েছে আমাদের শরীরের ভিতর, চরিত্র হনন করতে। আধুনিক রাষ্ট্র এখন এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে ইবনে সিনার অই ভেড়াই যেন আমরা সবাই, যদিও খাঁচা নাই, আর অই যে নেকড়ে, তাও হয়তো নাই, কিন্তু সার্বক্ষণিক একটা ভয় যেন চিন্তা হয়ে ঢুকে থাকে মগজে। আজকের মানুষের স্বাস্থ্য তাই মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। ওষুধশিল্প তাদের অভিনব আবিষ্কার আর সেবা-প্রকল্প (জৈব-রাজনীতি) দিয়ে যদিও নিরলস তার মতো করে মানুষকে টিকিয়ে রাখছে; তা সত্ত্বেও, সরল স্বাস্থ্য নাই, আনন্দ নাই, মন বিকারগ্রস্ত, এবং মানুষ আর মানুষের মত আচরণ করতে পারছে না।
আমি বলতে চাই, ঠিক এই জায়গাটাই ক্রিটিক্যাল। এক অর্থে মানুষ তো শুধু মানুষই হইতে চায়, আর কিছু না, আর অনবরত এই না-হতে পারার অক্ষমতা যখন শেষ সীমানায় গিয়ে পৌঁছবে, তখন সেই শেষ থেকে, `মানুষ` শব্দটির এমন এক গুণগত পরিবর্তন সম্ভব হবে যা আগে হয় নাই। মানুষ জানে, এই দুনিয়ায় তার ইচ্ছা এক বিশাল দুর্বলতা; কিন্তু জানে না, তার এই দুর্বলতা যখন ক্রমাগত নিষ্পেষিত দলিত আর নিগৃহীত হতে থাকে, তখন এক ধরনের নতুন সবলতা কোথাও না কোথাও গিয়ে জমা হয়, হতেই হয়, ভরসা সেটাই। তারপরও আমি বলবো, বলতেই হয়, মানুষ হয়ত একদিন জীবনের নানা দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারবে, এবং হচ্ছেও; কিন্তু চিন্তার দাসত্ব থেকে যতদিন না সে মুক্ত হতে পারবে, ততদিন ভয় এবং ভয়ের এই দুনিয়া থাকবে। এই মুক্তির সাথে মুক্ত-চিন্তার কোনো অনৈক্য নাই, তবে এক্টিভিস্টরা যখন `বাধাহীন ভাবে চিন্তা করার (মূলত কথা বলার) অধিকার` অর্থে মুক্ত-চিন্তাকে ব্যবহার করে, তখন, তার সাথে এই অর্থের ফারাক থাকে। বাধাহীনভাবে চিন্তা করার অধিকার পেলেই যে সবাই চিন্তার দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারবে, ব্যাপারটা তা না। এখানে আসল বাধাটা বাইরের না, ভিতরের। মুক্ত-চিন্তা হচ্ছে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা; ভেতর বাহির সব ধরনের নির্ভরতা থেকে মুক্ত হয়ে, স্বতন্ত্র ভাবে ব্যক্তির চিন্তা করতে পারার ক্ষমতা। এই স্বকীয় চলন কত সহজ আর কত স্বাভাবিক হতে পারত, অথচ আমরা সেটাকে সভ্যতার চাকা করে অসম্ভব আর অসাধ্য করে ফেলেছি।
এ এক সাধনা, চিন্তার দাসত্ব থেকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত হতে পারা। আর তা যখন কেউ পারে তখন তার আর কোনো ভয় থাকতে পারে না, এমনকি তখন মৃত্যুকেও সে আলিঙ্গন করতে পারে অনায়াসে। মানুষের অর্জন তো ততটুকুই, যততুকু সে নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতে পেরেছে। আর যে সম্পূর্ণরূপে তা পারে, সে হয় অপ্রমাদ, জ্যান্তে মরা। জানা মতে মহামতি সক্রেটিস ছিলেন তাই। তিনি মৃত্যুকে দর্শন philosophize করতে পেরেছিলেন। তাই হেমলক পানের আগেও তার কোনো ভাবান্তর ঘটেনি। একইভাবে তিনি কথা বলে যাচ্ছিলেন, আগে যেভাবে বলতেন। সক্রেটিস আসলে চিন্তার দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছিলেন, দাসত্বের সমস্ত পথ তার ভিতর বিস্মৃত unlearn হয়ে গিয়েছিল। সক্রেটিসের শিষ্যরা, পরে, একথাই বলে গেছে বারবার। আজ, এই করোনা মহামারির আতংক যখন আমাদের সব অর্জন আর অহংকার অর্থহীন করে দিচ্ছে, তখন কারো কারো মনে হতেই পারে, আর না, একটা কিছু হওয়া দরকার, নতুন কিছু। মানুষ কি কোনোদিন পারবে ভয়হীন একটা পৃথিবীর ভিতর নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে? সেখানে হয়ত দুঃখ থাকবে দুর্দশা থাকবে, কিন্তু ভয় থাকবে না। মানুষ কি তার ইচ্ছার শক্তিকে will to power সত্যিকার অর্থে কোনোদিন চিনতে পারবে? হয়ত সেটা এভাবে হবার নয়, হয়ত অন্যভাবে হবে, অন্য কোন কর্ম-দর্শনের ভিতর দিয়ে নতুন এক সভ্যতা তৈরির স্বপ্ন থেকে হতে পারে। আমি এখনো হেমিংওয়ের মতো বিশ্বাস করি, মানুষ হচ্ছে তাই, যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু পরাজিত হয় না কখনো।
লেখক: কবি